OrdinaryITPostAd

আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - আপেল কখন খাবেন?

আপনি প্রতিদিন আপেল খান কিন্তু আপনি আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি তা জানেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই এ সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ে আপেল কখন খাবেন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপেল খাওয়ার নিয়ম
আপেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আপনাকে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে হবে। আপেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই আপেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

আমরা সকলে কম বেশি আপেলের সাথে পরিচিত। কেননা আমরা পথে ঘাটে চলতে ফিরতে আপেলের সাথে আমাদের দেখা হয়। আপেল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। একজন মানুষ যদি প্রতিদিন একটি করে আপেল খায় তবে তার শরীরের পুষ্টি চাহিদা সেই আপেল পূরণ করতে পারবে।

আপেল সাধারণত সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে হেমন্তকালে পাকা আপেল পাওয়া যায়। আপেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপেল খেলে দাঁত ভালো থাকে। অনেকেই দাঁত সাদা রাখতে প্রতিদিন আপেল খায়। কেননা প্রতিদিন আপেল খেলে দাঁতে থাকা ব্যাকটেরিয়া সব মরে যায় ফলে।

দাঁত ভালো থাকে। এবং আপেলে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতকে সাদা করে। আপেলের পুষ্টিগুণ বিচার করলে আপেল খুবই উপকারী ফল। তাই আমাদের প্রতিদিন আপেল খাওয়া উচিত।

আপেল কোন ঋতুতে হয়

আপেল হলো এক ধরনের ফল। আমরা সকলেই কমবেশি আপেলের সাথে পরিচিত। আপেল একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে আপেল গাছে ফুল আসে। তবে সেই সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকার কারণে ফুল ঝরে যায় এবং পরবর্তীতে ঠান্ডা কমে যাওয়ার সাথে সাথে কাছে আবার ফুল ফুটতে শুরু করে।


মূলত বসন্তকালে আপেল গাছে ফুল ফুটে এবং ধীরে ধীরে ফুল ফলে রূপান্তরিত হয়। গ্রীষ্মের শুরুতে এবং শরৎকালে আপেল পরিপক্ক হয়। তবে হেমন্তকালের সময় পাকা আপেল পাওয়া যায়। আপেলে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত আপেল খাওয়া।

আপেল কোথায় বিখ্যাত

আপেল সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় যুক্তরাষ্ট্রে। আপেল উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের পরে রয়েছে চীন। বিশ্বের মোট আপেলের ৩৫ ভাগ চীনে উৎপাদিত হয়। এছাড়া জাম্বু ও কাশ্মীরিতে আপেল চাষ করা হয়। কাশ্মীরি আপেল পৃথিবী বিখ্যাত। পুরো বিশ্বের আপেলের চাষ হয়ে থাকে। তবে মধ্য এশিয়াকে আপেলের উৎপত্তিস্থল মনে করা হয়।

যুগ যুগ ধরে ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশে আপেলের চাষ হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে পুরো পৃথিবীতেই আপেলের চাষ হয়ে থাকে। যেহেতু পৃথিবীর সকল স্থানে আপেল পাওয়া যায় তাই আমাদের উচিত আপেল খাওয়ার নিয়ম মেনে আপেল খাওয়া। একদিনে অধিক পরিমাণ আপেল খাওয়া উচিত নয়।

আপেলের পুষ্টিগুণ

আমরা সকলেই কমবেশি আপেলের সাথে পরিচিত। আপেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের দেশে একটা কথা উল্লেখ রয়েছে যে " প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না"। অর্থাৎ আপেল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যার কারণে প্রতিদিন আপেল আক্রান্ত হয় না।

তবে সেক্ষেত্রে খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে। যখন তখন আপেল খাওয়া যাবে না। আপেলের পুষ্টিগুণ বিচার করে দেখা যায় প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে ৫২ কিলোক্যালরি শক্তি রয়েছে। এছাড়াও শর্করা রয়েছে ১৩.৮১ গ্রাম, আমিষ রয়েছে ০.২৬ গ্রাম, আঁশ রয়েছে ২.৪ গ্রাম, চর্বি রয়েছে ০.১৭ গ্রাম।

এছাড়াও ভিটামিন এ ৫৪ আইইউ, ভিটামিন সি ৪.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ০.১৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১০৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম রয়েছে ৬ মিলিগ্রাম। এছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে আরো রয়েছে সোডিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম সহ আরো অনেক পুষ্টিক উপাদান। তবে আপেলে কোন কোলেস্টেরল নেই। আপেল খাওয়ার ফলে শরীরে অবস্থিত খারাপ কোলেস্টেরল নষ্ট হয়ে যায়।

আপেল খাওয়ার নিয়ম

আমরা অনেকেই মনে করি খালি পেটে ফল খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এই কথা মোটেও সত্যি নয়। কেননা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর একটু পানি পান করে নিলে তারপর যদি ফল খাওয়া হয় তাহলে শরীর ওই ফলে থাকা সমস্ত গুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।

খালি পেটে ফল খাওয়া নিয়ে আমাদের চিন্তা হলো খালি পেটে ফল খেলে বাড়ে এসিডিটি কিন্তু বিশেষজ্ঞরা খালি পেটে ফল খেতে বলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে একটি করে আপেল খেলে তার শরীরের অধিকাংশ পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। কেননা আপেলে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সহ অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

আপেল সব সময় আমরা খোসা সহ খাওয়ার চেষ্টা করব। কেননা আপেলের খোসায় ফ্ল্যাভোনয়েড কোয়ারসেটিন থাকে যা শরীরের ফোলা কমাতে সাহায্য করে। তাই আমাদের আপেল খাওয়ার নিয়ম মেনে প্রতিদিন অন্তত একটি করে আপেল খাওয়া প্রয়োজন।

আপেলে কি ভিটামিন আছে

তাহলে রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে ভিটামিন এ রয়েছে ৫৪ আইইউ এবং ভিটামিন সি রয়েছে ৪.৬ মিলিগ্রাম। তার প্রতিদিন যদি একটি করে আপেল খাওয়া যায় তবে তার শরীরের ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এর অভাব অনেকটা পূরণ করে থাকে। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে আপেল খাওয়া উচিত।

আপেল খেলে কি গ্যাস হয়

অনেকে মনে করেন খালি পেটে আপেল খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু আসলে কথাটি সত্য নয়। কেননা বিশেষজ্ঞরা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে করে শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে এবং শরীর সারাদিন চাঙ্গা থাকে। তবে অতিরিক্ত আপেল খাওয়া ঠিক নয়। অর্থাৎ দৈনিক একটি থেকে দুটি আপেল খাওয়া উচিত এর বেশি আপেল খাওয়া উচিত নয়।

আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রতিদিন আপেল খেলে তার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কেননা আপেলে রয়েছে আমিষ, শর্করা, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, আইরন, পটাশিয়াম সহ নানা রকম পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন আপেল খেলে তা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে দেহ রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়াও আপেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিএন্টস, ভিটামিন।


আপেল হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন আপেল খাওয়া দাঁতের জন্য ভালো। এতে দাঁত পরিষ্কার থাকে। তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো মেরে ফেলে। এছাড়াও আপেল ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপেল খেলে হার্ট ভালো থাকে। একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে আপেল খাওয়া উচিত।

প্রতিদিন অন্তত একটি করে আপেল খেলে তার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার তেমন কোন প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়াও আপেল শরীরের ত্বক ভালো রাখে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই আমাদের উচিত আপেল খাওয়ার নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন আপেল খাওয়া। তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে।

আপেল খাওয়ার অপকারিত

আপেল খাওয়ার তেমন কোন উপকারিতা নেই। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। অতিরিক্ত আপেল খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। আবার আপেল আঁশ জাতীয় খাবার হয় অনেকক্ষণ পেটে থাকে। যার কারণে অতিরিক্ত আপেল খেলে পেট ভরা ভরা লাগতে পারে।

ফলে শরীরে পুষ্টি চাহিদার ঘাটতে দেখা যেতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত আপেল খাওয়া ঠিক নয়। তবে নিয়ম মেনে প্রতিদিন আপেল খেলে তার শরীরের জন্য কোন ক্ষতির কারণ হয় না বরং অনেক উপকারে আসে।

উপসংহার

আমাদের প্রতিদিন আপেল খাওয়ার নিয়ম মেনে অন্তত একটি আপেল খাওয়া উচিত। এতে করে আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা অনেক অংশে পূরণ হয়ে যাবে। তবে অতিরিক্ত আপেল খাওয়া ঠিক নয়। আপেলে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এতে ফাইবার থাকার কারণে অতিরিক্ত আপেল খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি তো আপনার আপনজনের মধ্যে শেয়ার করবেন। এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url