OrdinaryITPostAd

কপিরাইটিং ও প্লেজিয়ারিজম কি? আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং কিভাবে করে?

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কপিরাইটিং কি তা জানেন না। তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেল করার মাধ্যমে আপনি কপিরাইটিং কি তা জানতে পারবেন। তাই কপিরাইটিং কি তা জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এছাড়াও আপনি এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে প্লেজিয়ারিজম কি সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই কপিরাইটিং ও প্লেজিয়ারিজম কি সে সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
প্লেজিয়ারিজম কি? কপিরাইটিং কেন করা হয়
এছাড়া এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন প্লেজিয়ারিজম কি ধরনের অপরাধ।প্লেজিয়ারিজম করলে আপনি কপিরাইট মামলা খেতে পারেন। এতে করে আপনার শাস্তি পেতে হতে পারে।

ভূমিকা

আমরা অনেকেই কপিরাইটিং বলতে কোন কিছু কপি করা এবং তা অন্য কোথাও পেস্ট করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে বোঝায়। কিন্তু আমরা যেটা মনে করি সেটা আসলে হলো প্লেজিয়ারিজম। আর কপিরাইটিং ব্যাপারটা হল গ্রাহকের Attension গ্রহণের মাধ্যমে তাকে কিছু প্রতিজ্ঞা করার পর কোন সেবা তার নিকট বিক্রি করাকে বোঝায়।

এক্ষেত্রে একজন কপিরাইটার কে সর্বপ্রথম যে দিকটিতে নজর দিতে হয় সেটি হলো কিভাবে গ্রাহকের Attension গ্রাপ করা যাবে। কপিরাইটিং করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। অন্যদিকে প্লেজিয়ারিজম হলো এক ধরনের অপরাধ। এই অপরাধ করলে অপরাধীকে শাস্তি পেতে হয়। শাস্তি হিসেবে তাকে নির্দিষ্ট অর্থদণ্ড অথবা কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তাছাড়া আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই একটি আর্টিকেল লিখা যায়। কিন্তু এটি করা ভালো কাজ নয়। আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটে হয়ে থাকেন তবে এ কাজটি আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমাদের সকলেরই এই কাজথেকে বিরত থাকা উচিত।

কপিরাইটিং কি

আমাদের অনেকেরই ধারণা কপিরাইটিং হলো কোন পোস্ট বা লেখা কপি করে তা অন্য কোথাও পেস্ট করাকে বোঝায়। কিন্তু কপিরাইটিং ব্যাপারটা আসলে তেমন নয়। কপিরাইটিং হলো গ্রাহকের Attention গ্রহণ করার পর তাকে কিছু promise করার মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে কোন সেবা দেওয়াকে বুঝায়।

কেন কপি রাইটিং করবেন

কপিরাইটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। আমরা রাস্তাঘাটে যেসব বিজ্ঞাপন পোস্টার দেখে থাকি তাতে যে দু-এক লাইন লেখা থাকে সেটিই কপিরাইটিং। কপিরাইটিং এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম গ্রাহকের Attention গ্রহণ করা হয়। এরপর তার সাথে কিছু প্রতিজ্ঞা করার মাধ্যমে তাকে কোন সেবা বা পণ্য বিক্রি করা হয়।

বর্তমানে আমরা ফেসবুক/ইউটিউব/টিভি চ্যানেল ইত্যাদি সকল মিডিয়া প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। এইসব বিজ্ঞাপনে যেসব কথা বলা হয় তা একজন কপিরাইটারই লিখে থাকেন। বর্তমানে এটি একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়াও যার কপিরাইটিং যত ভালো তার ডিমান্ডও তত বেশি।

একজন কপি রাইটার কি কি কাজ করেন

একজন কপিরাইটার অনেকগুলো কাজ করে থাকেন। সর্বপ্রথম তিনি একটি পণ্যের প্রতি গ্রাহকের Attention গ্রহণ করেন। এরপর তিনি সেই গ্রাহককে কিছু প্রতিজ্ঞা করার মাধ্যমে সেই পণ্যটি তার কাছে বিক্রি করে থাকেন। আমরা রাস্তাঘাটের এসব পোস্টার দেখে থাকি তার সবগুলোই দেয়া হয়ে থাকে গ্রাহকের Attention গ্রহণ করার জন্য। তবে এক্ষেত্রে ক্ষেত্রে যত কম লেখার মাধ্যমে গ্রাহককে ঐ পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করা যায় তত ভালো।

কেননা গ্রাহক যদি অল্প সময়ের মধ্যে সেটি পড়তে না পারে তবে গ্রাহক সে পণ্যটি সম্পর্কে আকৃষ্ট হবে না। কারণ আমরা রাস্তাঘাটে যেতে যেতে ঐ পোস্টার বা বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। আর একজন কপিরাইটের মূল উদ্দেশ্যই থাকে গ্রাহকে আকর্ষণ করা। তাই পোস্টার বা বিজ্ঞাপনে যত কম লেখা থাকবে পণ্যের মার্কেটিং তত ভালো হবে।

কারা কারা কপি রাইটিং করতে পারবেন

যে কেউ কপিরাইটিং করতে পারবেন। একজন কপিরাইটের হওয়ার জন্য কোন যোগ্যতা বা ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না। শুধু সঠিক দক্ষতা ও প্রচুর শব্দ ভান্ডার যদি কারো মাঝে থেকে থাকে সে ইচ্ছা করলেই একজন সফল কপি রাইটার হতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করতে পারে কপিরাইটিং কোর্স।

প্লেজিয়ারিজম কি

কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের লেখা কোন কিছু কপি করে অন্য কোথাও পেস্ট করার পর তা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া কে প্লেজিয়ারিজম বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখেছেন এখন এই আর্টিকেলটি যদি কেউ সম্পূর্ণ/কিছু অংশ কপি অথবা সামান্য পরিবর্তন করে অন্য কোথাও পেস্ট করে এবং পোস্টটি তার নিজের বলে চালিয়ে দেয় তাহলেই সেটিকে প্লেজিয়ারিজম বলে।

প্লেজিয়ারিজম এর প্রকারভেদ

প্লেজিয়ারিজম বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নিচে কয়েকটি প্লেজিয়ারিজম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

Direct Plagiarism (সম্পূর্ণ প্লেজিয়ারিজম)

অন্যের লেখা বা গবেষণা হুবহু কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে সম্পূর্ণ প্লেজিয়ারিজম বলে। অর্থাৎ যদি কেউ অন্যের লেখা বা গবেষণা সম্পন্ন কপি করে বা তার কিছু অংশ হুবহু কপি করে কোন রেফারেন্স ছাড়াই নিজের নামে চালিয়ে দেয় তখন তাকে সম্পূর্ণ প্লেজিয়ারিজমের আওতাভুক্ত করা হয়।

Paraphrase Plagiarism (প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজম)

প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজম হলো অন্যের লেখা বা গবেষণা সামান্য পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে বুঝায়। অর্থাৎ কোন লেখা বা গবেষণার কিছু শব্দের প্রতিশব্দ ব্যবহার করে বা কিছু বাক্য এলোমেলো করে তা নিজের বলে দাবি করাকেই প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজম বলে।

Mosaic Plagiarism (মোজাইক প্লেজারিজম)

এটি এমন এক ধরনের প্লেজারিজম যেখানে প্লেজারিজমকারী অন্যের লেখা কিছু শব্দ বা ব্যাখ্যাংশ নিজের লেখার মধ্যে ব্যবহার করে কোন প্রকার রেফারেন্স করা ছাড়াই। এটি অনেকাংশে প্যারাফ্রেজ প্লেজারিজমের মতোই।

Accidental Plagiarism (এক্সিডেন্টাল প্লেজারিজম)

যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির লেখা বা গবেষণা নিজের লেখা বা গবেষণায় প্রকাশ করে কিন্তু সেই ব্যক্তির রেফারেন্স দিতে ভুলে যায় তখন তাকে এক্সিডেন্টাল প্লেজারিজম। এটি অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত হবে হয়ে যায়।

প্লেজিয়ারিজম কোন অপরাধের সাথে জড়িত

সময়ের সাথে সাথে মানুষ সৃষ্টিশীল হতে শুরু করেছে। আর তার এই সৃষ্টিশীলতা তার লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চায়। আর এই লেখালেখির ক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম কথাটিও জড়িত। কেননা প্লেজিয়ারিজম করার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে একজন মানুষ অন্যের লেখা কোন কিছু নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারে। সারা বিশ্বে প্লেজিয়ারিজমকে একটি মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন নীতিমালা ও প্রয়োগ করা হয়েছে। এমনকি কোন কোন দেশে এই অপরাধের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি অন্যের লেখা চুরি করে আর সেটা যদি প্রমাণিত হয় তবে হয়ে লেখার মূল মালিক যে চুরি করেছিল তার নামে মামলা করতে পারে। এর ফলে প্লেজিয়ারিজমের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।

শাস্তি হিসেবে ঐ ব্যক্তিকে জেল অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। প্লেজিয়ারিজম কপিরাইট লংঘন মামলার অন্তর্ভুক্ত। তাই কেউ যদি প্লেজিয়ারিজম করে থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় এনে স্বাস্থ্য প্রদান করা যেতে পারে। যেহেতু প্লেজিয়ারিজম একটি মারাত্মক অপরাধ তাই সকলের উচিত এই অপরাধ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা। যাতে করে তাকে কোন আইনের ঝামেলা সামলাতে না হয়।

প্লেজিয়ারিজম চেকার

আপনার কোন লেখা কেউ চুরি করে অন্য কোথাও ব্যবহার করছে কিনা তা চেক করার মাধ্যমে হলো প্লেজিয়ারিজম চেকার। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি এটি চেক করতে পারেন। তবে বেশিরভাগ ওয়েবসাইটগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিষদের মাধ্যমে এই সেবা দিয়ে থাকে। তবে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা বিনামূল্যে এই সেবা দিয়ে থাকে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্লেজিয়ারিজম চেকার (Plagiarism Checker)। এখানে আপনি আপনার লিখার অংশ বা লিংক এড্রেস কপি করে পেস্ট করার মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার লেখা কেউ কপি করে অন্য কোথাও ব্যবহার করেছে কিনা। এই কাজটি আপনি এখানে বিনামূল্যে করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন রেজিস্ট্রেশন বা সাইন ইন করতে হবে না।

এছাড়া আপনি এর পেইড ভার্সন ব্যবহার করার মাধ্যমে আরো অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও CopyScape ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনি আপনার লেখা চেক করতে পারবেন। তবে এখানে দিনে দুই থেকে তিনবারই চেক করতে পারবেন। এর বেশি চেক করার জন্য আপনাকে এর পেইড ভার্সন ক্রয় করতে হবে।

আর্টিকেল স্পিনিং কি

কোন একটি আর্টিকেলের শব্দগুলো অন্য কোন সমার্থক শব্দ দ্বারা পরিবর্তন করে অথবা কোন একটি বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে সেই ব্যাংককে পরিবর্তন করে নতুন একটি আর্টিকেল লেখাকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে। সহজ কথায় আর্টিকেল স্পিনিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি আর্টিকেল থেকে ভিন্ন নতুন একটি আর্টিকেল তৈরি করার প্রক্রিয়া।

আর্টিকেল স্পিনিং এর কাজ কি

আর্টিকেল স্পিনিং এর কাজ একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো যেতে পারে। ধরুন আপনি অনেক গবেষণা করে ইন্টারনেট নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছেন। অন্য একজন ব্যক্তি আর্টিকেল স্পিনিং ওয়েবসাইটে আপনার আর্টিকেলটি কপি করে পেস্ট করলো। তারপর তিনি Basic Paraphrase এ ক্লিক করলেই তাকে একটি নতুন আর্টিকেল দেওয়া হবে।

যেটি আপনার আর্টিকেল থেকে ভিন্ন অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলের ভিতরের কিছু কিছু শব্দকে পরিবর্তন করে একটি নতুন আর্টিকেল তৈরি করেছে। এইভাবে খুব সহজেই আর্টিকেল স্পিনিং এর মাধ্যমে নতুন আর্টিকেল তৈরি করা যায়। তবে এ কাজটি করা উচিত নয়। কেননা এটি একটি বেআইনি কাজ।

আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং কি? এটি কিভাবে কাজ করে

এমন অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে বা AI tools রয়েছে যেগুলোতে আপনি শুধুমাত্র কোন বিষয়ের উপর লিখতে চান তা দিয়ে দিবেন। এরপর তারা আপনাকে সেই বিষয়ের উপর একটি আর্টিকেল প্রদান করবে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং। আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটে হন তবে আপনার কখনো এটি করা উচিত নয়।

কেননা বর্তমানে এটি সনাক্ত করা যায়। তাই যদি আপনি কোন AI tools ব্যবহার করে এই কাজটি করে থাকেন তবে আপনার লেখাটি কখনোই গুগলে রেংক করবে না এমনকি আপনার ওয়েবসাইটও নষ্ট করে দেয়া হতে পারে।

শেষ কথা

আমাদের কখনোই কোন আর্টিকেল লেখার জন্য প্লেজিয়ারিজম, আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং করা উচিত নয়। এতে করে আমাদের বিভিন্ন ঝামেলার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। আমাদের উচিত আমাদের লেখা আর্টিকেলের একটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকবে। সেটি অন্য কোন আর্টিকেলের কপি হবে না।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে তা আপনার আপনজনদের সাথে শেয়ার করুন। এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url