OrdinaryITPostAd

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা - ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক, আপনি কি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এই আর্টিকেলে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংক একাউন্টের প্রকারভেদ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে হবে। তাই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ইসলামী ব্যাংক একাউন্টের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

ইসলামী ব্যাংক হল বাংলাদেশের মানুষের বহুল ব্যবহৃত একটি বেসরকারি ব্যাংক। এই ব্যাংক দেশের সব জায়গায় থাকার কারণে এবং সবখানে এটিএম বুথ থাকার কারণে খুব সহজে লেনদেন করা যায়। এই ব্যাংকের মাধ্যমে ঘরে বসে অর্থ লেনদেন করা যায়। এছাড়াও ছাত্রদের জন্য এই ব্যাংক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। স্টুডেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে কোন এটিএম চার্জ দিতে হয় না। এছাড়া মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে একাউন্ট খোলা যায়।

এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক কোন হারাম লেনদেন করে না। এখানে কোন প্রকার সুদের লেনদেন হয় না। এরা মূলত পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে মুনাফ অর্জন করে থাকে। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য তেমন কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র গ্রাহক এবং নমিনের ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন। ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তারা গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে।

ইসলামী ব্যাংক কী

ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে এমন এক ধরনের বেসরকারি ব্যাংক যার মূল উদ্দেশ্য ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ব্যাংকিং সেক্টরকে পরিচালনা করা। অর্থাৎ এই মাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টরে কোন সুদের লেনদেন হবে না। এটি একটি কোম্পানি যেখানে ইসলামের সকল বিধি বিধান মেনে চলা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলামী ব্যাংক রয়েছে।

বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকের নাম ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ইসলামী ব্যাংক মূলত দুটি নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার একটি হলো লাভ ও লোকসানের ভাগ নেওয়া এবং অপরটি হলো সুদবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা। অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংক সম্পন্ন ইসলাম এর উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি ইসলামবিরোধী কোন কর্মকান্ডকে সমর্থন করে না।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর প্রকারভেদ

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত একটি ব্যাংক। একটি ইসলামী শরিয়াহ মেনে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকের মোট ১৭ টি জোন রয়েছে এবং সেই ১৭ টি জোনের সর্বমোট শাখার সংখ্যা ৬২৩টি। এছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথের সংখ্যা প্রায় ১৮৫২টি। এই সমীক্ষা থেকে বোঝা যায় ইসলামী ব্যাংক সারারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিস্তৃত। ইসলামী ব্যাংকের মূলত তিন ধরনের একাউন্ট খোলা যায়। যথাঃ
  • সেভিংস একাউন্ট
  • কারেন্ট একাউন্ট
  • স্টুডেন্ট একাউন্ট
ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে কোন গ্রাহক তার সর্বোচ্চ সেবা পেয়ে থাকে। এই ব্যাংকটি সারাদেশব্যাপী থাকায় গ্রাহককে টাকা উত্তোলনের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় না।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম মূলত দুইটি একটি হলো সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট খোলা এবং অন্যটি হলো অনলাইনে সেলফিন অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে একাউন্ট খোলা। নিচে এই দুই প্রকারে একাউন্ট খোলার নিয়ম বর্ণনা করা হলো

সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট গিয়ে একাউন্ট খোলার কথা বললে তারা চার পৃষ্ঠার একটি ফরম দিবে। সে ফর্মটি সঠিক তথ্য দিয়ে ফিলাপ করতে হবে। এরপর আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও নমিনির ভোটার আইডি কার্ড এবং সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। সেই সাথে ফর্মে উল্লেখ থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে।

সকল কাগজপত্র এবং ফরম জমা দেওয়ার পর ব্যাংক কর্মকর্তা যাচাই করবে। এরপর সকল কিছু যাচাই হয়ে গেলে আপনার সিগনেচার ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবে। এরপর যদি সকল তথ্য ও ডকুমেন্ট সঠিক হয় তবে আপনাকে প্রাথমিক ডিপোজিট ১০০০ টাকা প্রদান করলে সাথে সাথে আপনার একাউন্ট চালু হয়ে যাবে। পরবর্তীতে তারা ডেবিট কার্ড ও চেক বই দেওয়ার তারিখ আপনাকে জানিয়ে দিবে।

ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার আরেকটি নিয়ম হলো অনলাইনে সেলফিন অ্যাপ এর মাধ্যমে একাউন্ট খোলা। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সেলফিন অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এরপর সেই অ্যাপটিতে প্রবেশ করে একাউন্ট খোলার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে সেটি ফলো করে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে একাউন্ট খুব সহজে খোলা যায়।

এক্ষেত্রে যেই শাখার আন্ডারে অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই শাখায় তিন মাসের মধ্যে উপস্থিত হতে হবে। সকল ডকুমেন্ট সত্য হলে সেই শাখায় গেলে তারা আপনাকে চেক বই ও ডেবিট কার্ড প্রদান করবেন।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে তেমন কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। একাউন্ট খোলার জন্য আপনার পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যে কোন একটি এবং সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন। সাথে সাথে আপনার একাউন্টের যিনি নমিনি হবেন তার পরিচয় পত্র এবং সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন।

এছাড়াও যদি কেউ ব্যবসার কাজে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তবে অবশ্যই তাকে ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যেসব কাগজপত্র লাগে তার একটি তালিকা দেয়া হলো
  • গ্রাহকের পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • গ্রাহকের সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • নমিনির পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম নিবন্ধন
  • নমিনির সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • ব্যবসার কাজে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে ট্রেড লাইসেন্স

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট এর সুবিধা

ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। একাউন্টে ধরণের উপর ভিত্তি করে তাদের আলাদা আলাদা সুযোগ সুবিধা রয়েছে। নিচে কয়েকটি সুবিধার কথা তুলে ধরা হলো
  • সেভিংস একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের জমা করা অর্থের উপর নির্দিষ্ট হারে লাভ পাওয়া যায়।
  • ইনকামের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন টাকা জমা করা যায়।
  • ইসলামী ব্যাংক কারেন্ট একাউন্টে সীমাহীন লেনদেন করা যায়।
  • জমাকৃত টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফ অর্জন করা যায়।
  • কারেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ব্যাংকের কোন সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হয় না।
  • স্টুডেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে কোন ATM চার্জ প্রদান করতে হয় না।
  • ঘরে বসে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায়।
  • ব্যাংকের যেকোন শাখায় একাউন্ট ব্যালেন্স স্থানান্তর করা যায়।
  • এছাড়াও এই ব্যাংক সকল জায়গায় থাকার কারণে যে কোন জায়গায় গিয়ে খুব সহজে টাকা উত্তোলন করা যায়।

অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সর্বপ্রথম প্লে স্টোর থেকে সেলফিন অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে। এরপর নিম্নোক্ত ধাপগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
  • প্রথমে অ্যাপটি ওপেন করে রেজিস্টার (REGISTER) বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর রেজিস্ট্রেশন ফ্রম বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপর ন্যাশনাল আইডি সিলেক্ট করুন।
  • তারপর আপনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার অপারেটর সিলেক্ট করুন।
  • এরপর মোবাইলে আসা কোড দিয়ে ভেরিফাই করুন।
  • তারপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের দুই দিকের ছবি আপলোড করুন।
  • এরপর ক্যামেরার সামনে আপনার ফেস ভেরিফাই করুন
  • এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন
  • সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করলে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। এরপর আপনি পুনরায় লগইন অপশনে গিয়ে মোবাইল নাম্বার ও পিন নাম্বার দিয়ে লগইন করুন।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক

ইসলামী ব্যাংক হলো মানুষের বহুল ব্যবহৃত একটি ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক গ্রাহককে আধুনিক সেবা দেওয়ার জন্য ঘরে বসেই ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া কেউ যদি চায় ব্যাংকে গিয়ে তার একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করবে সে ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে ঘরে বসে যদি ব্যালেন্স চেক করা যায় তবে কে আর ব্যাংকে গিয়ে ব্যালেন্স চেক করতে চাইবে।

যারা ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক তারা সকলেই এই সুবিধাটি পেয়ে থাকেন। আপনি বিভিন্ন উপায়ে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। যেমন অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে, মোবাইলের মাধ্যমে ইত্যাদি। অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে হলে অবশ্যই আপনার একাউন্টে অনলাইনে রেজিস্টার করতে হবে।

আপনার যদি অনলাইনে রেজিস্টার করা থাকে তবে আপনি IBBLPORTAL এ গিয়ে আপনার একাউন্টটি অনলাইনে লগইন করতে হবে। এরপর ব্যালেন্স নামক বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স জানতে পারবেন।

মোবাইলে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম

মোবাইলের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স দুইভাবে চেক করা যায়। একটি হলো অ্যাপ এর মাধ্যমে এবং অপরটি হলো এসএমএস এর মাধ্যমে।

অ্যাপের মাধ্যমে ব্যালেন্স চেক করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ইন্সটল করতে হবে। এরপর অ্যাপে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি লগইন করতে হবে। তারপর অ্যাপ এ প্রবেশ করে ব্যালেন্স অপশনে ক্লিক করলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স দেখাবে।

এছাড়াও মোবাইলের এস এম এসের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা যায়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক রেজিস্টার করা সিম থেকে এসএমএস প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে IBB< space >BAL< space > এরপর সেন্ড করতে হবে 26969 নম্বরে।

ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ পদ্ধতি অনেক রকম হয়ে থাকে। নিচে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ পদ্ধতি তুলে ধরা হলো
বাই মুরাবাহাঃ এই পদ্ধতিতে ব্যাংক প্রথমে পণ্য ক্রয় করে এবং পরে তা গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করে। বাই মুরাবাহা তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়।
  • এক্ষেত্রে প্রথমে গ্রাহক নির্দিষ্ট পূর্ণ ক্রয় করার জন্য ব্যাংকের নিকট আসে এবং ব্যাংকের সাথে চুক্তি করে।
  • এরপর ব্যাংক গ্রাহকের জন্য নিজে পণ্য ক্রয় করে নিয়ে আসবে।
  • পরবর্তীতে ব্যাংক পণ্যের ক্রয় মূল্যের সাথে অন্যান্য খরচ ও লভ্যাংশ যুক্ত করে গ্রাহককে পণ্যের মোট মূল্যের একটি স্পষ্ট ধারণা দেবে। গ্রাহক সে মূল্যটি নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিতরে পরিশোধ করবে। যদি মেয়াদ অতিক্রম হয় তবে গ্রাহককে জরিমানা দিতে হবে। তবে সে জরিমানা ব্যাংক গ্রহণ না করে জনকল্যাণমূলক তহবিলে দিয়ে দিবে।
বাই মুয়াজ্জলঃ এটি অনেকটা বাই মুরাবাহা এর মতই। তবে সম্পূর্ণ এক নয়। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহককে পণ্যের ক্রয় মূল্য কত তা সরাসরি বলে দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রেও গ্রাহক ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্য নির্দিষ্ট মেয়াদে পরিশোধ করবে। বাই মুয়াজ্জলে ব্যাংকের লভ্যাংশ অজ্ঞাত থাকে। তা এক্ষেত্রে শরীয়াহ লঙ্ঘন হতে পারে।
বাই সালামঃ এই পদ্ধতিতে ব্যাংক গ্রাহকের নিকট অগ্রিম মূল্য প্রদান করে থাকে। একটি উদাহরণ দিলে খুব ভালো বোঝা যাবে। ধরুন একজন কৃষককে ব্যাংক ১০ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করল এবং বলল তিন মাস পর ১০ মন পেয়াজ ব্যাংককে দিতে হবে। এক্ষেত্রে পেঁয়াজের গুনাগুন ও পরিমান কষ্ট হবে উল্লেখ থাকবে।

এছাড়াও ইসলামী ব্যাংকে মুশারাকা, কর্য, মুদারাবা পদ্ধতিতে বিনিয়োগ হয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক সর্বদা শরীয়াহ মেনে লেনদেন করে।

শেষ কথা

ইসলামী ব্যাংক যেহেতু শরীয়াহ মেনে লেনদেন করে তাই আপনার ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট থাকলে আপনিও লেনদেনের ক্ষেত্রে হারাম থেকে বেঁচে থাকবেন। এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক গ্রাহককে শরীয়াহ মোতাবেক ঋণ প্রদান করে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের কিছু শর্ত থাকে। তবে এসব কিছুই হয় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক। এখানে কোন সুদের লেনদেন হয় না। তাই একজন মুসলিম হিসেবে আমি মনে করি আমাদের সকলেরই ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন করা উচিত।

প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই তা আপনার আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করবেন। এই আর্টিকেলটা আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url