OrdinaryITPostAd

Buying Keyword - লং কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ - আর্টিকেল লেখার স্ট্র্যাটেজি - গেস্ট ব্লগিং

প্রিয় পাঠক, আপনি কি গেস্ট ব্লগিং সম্পর্কে জানেন না। তাহলে আর্টিকেলটা আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি গেস্ট ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই গেস্ট ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। এছাড়াও আপনি আর্টিকেলটি করার মাধ্যমে Buying Keyword ‍ কি সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
লং কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ - আর্টিকেল লেখার স্ট্র্যাটেজি - গেস্ট ব্লগিং
আর্টিকেলটি পড়ার ফলে আপনি আর্টিকেল লেখার স্ট্র্যাটেজি এবং কিভাবে কিওয়ার্ড এনালাইসিস করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। কোন আর্টিকেল লেখার পূর্বে তার কিওয়ার্ড এনালাইসিস করা উচিত। তাই গেস্ট ব্লগিং ও আর্টিকেল লেখার স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

কোন একটা আর্টিকেল লেখার পূর্বে সর্বপ্রথম যে জিনিসটির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হলো সঠিকভাবে কিওয়ার্ড নির্বাচন। যদি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা না যায় তবে সেই আর্টিকেলকে গুগল রাঙ্কে কখনোই উপরের দিকে উঠানো যাবে না। তাই খুব সতর্কতার সাথে এবং মানুষ যেসব বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করে সেসব কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। নতুন ব্লগাররা কিওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই লং টেল কিওয়ার্ড নির্বাচন করবে।

কেননা এতে করে খুব সহজে আর্টিকেলকে র‍্যাংক করানো যায়। কারণ বেশিরভাগ ব্লগাররা শর্ট টেল কি ওয়ার্ড নিয়ে লেখালেখি করে। এর কারণে লং টেল কিওয়ার্ড নিয়ে লিখলে খুব সহজেই গুগলে র‍্যাংক করানো যায়। এছাড়াও নতুন ব্লগাররা তাদের হাত খরচ চালানোর জন্য ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার পাশাপাশি গেস্ট ব্লগিংও করতে পারে। এর ফলে তাদের লেখা আর্টিকেলটি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারে। অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা গেস্ট ব্লগিং এর উপর পার্ট টাইম বা ফুল টাইম জব অফার করে।

Buying Keyword ‍ র‍্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম

যেসব কিওয়ার্ড ব্যবহার করে মানুষ গুগলে কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে সার্চ দেয় সেসব প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটি পোস্ট লেখে সেটিকে গুগলের র‍্যাংক করানোর পর যদি ঐ পোস্টে সেই প্রোডাক্টটি যোগ করা যায় যেখান থেকে মানুষজন ওই প্রোডাক্টটি ক্রয় করতে পারবে তাহলে মানুষজনদের সার্চ করা সেই কি ওয়ার্ডকে Buying Keyword বলে।

একটি উদাহরণের মাধ্যমে এটি খুব ভালো হবে বোঝানো যেতে পারে। যেমন ধরেন গ্রীষ্মের সময় প্রচুর আম পাওয়া যায়। এই সময় যদি আপনি আম নিয়ে একটি পোস্ট লিখে তা গুগলে র‍্যাংক করাতে পারেন এবং সেই পোস্টে যদি আম ক্রয় করার একটি উপায় যোগ করেন যেখান থেকে মানুষজন আম ক্রয় করতে পারবে তাহলে আপনার লেখায় আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে অনেকজন আপনার কাছ থেকে আম কিনবে। এতে করে আপনার প্রচুর আম বিক্রি হবে।

এছাড়াও আপনি অন্য কারো পেজের লিংক দিয়ে দিতে পারেন যেখান থেকে মানুষজন আম ক্রয় করতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনি উক্ত পেজের মালিকের সাথে একটি চুক্তি করবেন যে যত জন ব্যক্তি আপনার ওয়েবসাইট থেকে তার পেজে যাবে সে অনুযায়ী আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে। এতে তারও লাভ হলো এবং তার সাথে সাথে আপনারও ইনকাম হলো। এই পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।

লং টেল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ

মানুষ যা কিছু লিখে গুগলে সার্চ করে তাকেই কি ওয়ার্ড বলে। কিওয়ার্ড সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি শর্ট কিওয়ার্ড ও অপরটি লং কিওয়ার্ড। শর্ট কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষজন গুগলে বেশি সার্চ করে। তবে আমরা যারা নতুন ব্লগার তারা শর্ট কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে আমাদের ঐ পোস্ট গুগলে সহজে র‍্যাংক করবে না। কেননা ঐসব শর্ট কিওয়ার্ড নিয়ে আগে অনেক জন অনেক কিছু লিখেছে।

তবে আমরা যদি লং কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করি তাহলে খুব সহজেই গুগলে আমার লেখা ঐ আর্টিকেল র‍্যাংক করানো যায়। এক্ষেত্রে কি ওয়ার্ড নির্বাচনের সময় দেখতে হবে কোন কোন কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষজন গুগলে সার্চ করে এবং ঐসব কিওয়ার্ডের মধ্যে কোন কোন কিওয়ার্ড দিয়ে কোন পোস্ট লেখা নাই।

যেসব কিওয়ার্ড দিয়ে এক্সাক্ট ভাবে পোস্ট লেখা নাই সেসব কিওয়ার্ড দিয়ে যদি পোস্ট লেখা হয় তাহলে ঐসব কিওয়ার্ড মানুষজন সার্চ দিলে ঐ পোস্টটি সবার আগে দেখাবে। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে আর্টিকেলকে ‍র‍্যাংক করানো তুলনামূলক সহজ। তাই আমরা যারা নতুন ব্লগার তারা সবসময় লং টেল কি ওয়ার্ড নিয়ে লেখালেখি করব এবং কিওয়ার্ড নির্বাচনের সময় খুব সতর্কতার সাথে বিচার বিশ্লেষণ করে কেউ আট নির্বাচন করবো।

আর্টিকেল লেখার স্টাটিজি

আমরা যদি কোন একটি আর্টিকেল লিখতে চাই তবে সর্বপ্রথম আমাদের দেখতে হবে সেই আর্টিকেল সম্পর্কে মানুষজন কিভাবে সার্চ করে। এর জন্য আর্টিকেল লেখার পূর্বেই আমরা যে কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চাই সেই কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করতে হবে। যদি দেখি ঐ কি ওয়ার্ড নিয়ে মানুষজন আগে কখনো সার্চ করেনি তবে ঐ আর্টিকেল দিয়ে পোস্ট লেখা আর না লেখা একই কথা হবে।

এজন্য আর্টিকেল লেখার পূর্বে সর্বপ্রথম সঠিকভাবে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। অর্থাৎ আর্টিকেল লেখার স্ট্র্যাটেজি হলো লোকজন যেভাবে গুগলে সার্চ করে ঠিক সেভাবেই কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। তারপর ঐ সম্পর্কে লিখতে হবে।

আর্টিকেল লেখার টপিক খোঁজা ও কিওয়ার্ড এনালাইসিস

আমরা যদি আর্টিকেল লেখার টপিক খুঁজে না পাই তবে গুগল এ গিয়ে কিছু একটা লিখলে গুগল আমাদের ঐ রিলেটেড অনেকগুলো কিওয়ার্ড দেখাবে। সেখান থেকে আমরা কোন কিওয়ার্ডে লিখতে চাই সেটি নির্বাচন করে সেই সম্পর্কে আর্টিকেল লিখতে হবে। তবে আমরা যারা নতুন ব্লগার তাদের কিওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন লং কিওয়ার্ড হয়।

এমন কোন কিওয়ার্ড নির্বাচন করব না যেগুলো দিয়ে মানুষজন গুগলে কোন সার্চ করে না। এছাড়াও ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করার পর ঐ রিলেটেড আরো অনেকগুলো কিওয়ার্ড দেখতে পাবো। সেখান থেকে পাঁচ থেকে দশটি কেউ আট নির্বাচন করে আর্টিকেলটি লেখা শুরু করবো।

গেস্ট ব্লগিং কি?

অতিথি হয়ে অন্য কোন ওয়েবসাইটে লেখালেখি করাকে গেস্ট ব্লগিং বলে। বর্তমানে গেস্ট ব্লগিং একটি পার্ট টাইম জব হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

গেস্ট ব্লগিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

গেস্ট ব্লগিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনার ইচ্ছামত যে কোন বিষয়ের উপর আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং সেই আর্টিকেলটি যে কোন ওয়েবসাইটে বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি উক্ত ওয়েবসাইটটি ওই আর্টিকেল থেকে লাভ করলো নাকি লস করল তার উপর আপনার কোন প্রভাব পড়ে না। এটি অনেকটা জবের মত।

তবে এর একটি অসুবিধা আছে যদি আপনার লেখা আর্টিকেলটি থেকে কোন ওয়েবসাইট প্রচুর লাভ করে তবে সে ক্ষেত্রে আপনি কোন বেনিফিট পাবেন না। আপনার কাছ থেকে একবারই আর্টিকেলটি ক্রয় করবে। অর্থাৎ বলা যায় এক্ষেত্রে যিনি আর্টিকেল বিক্রি করবেন তিনি ওয়ান টাইম পেমেন্ট পাবেন এবং যিনি আর্টিকেলটি ক্রয় করে তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবেন তিনি লাইফ টাইম ইনকাম করবেন।

গেস্ট ব্লগিং করে অনেক রকম উপায়ে ইনকাম করা যায়। যেমন আর্টিকেল ফেরি করে বিক্রি করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট লিখলেন যে আপনি ১০০০ শব্দের একটি আর্টিকেলের জন্য ২০০ টাকা নিয়ে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দেওয়ার ফলে অনেক ওয়েবসাইট আপনার থেকে আর্টিকেল কিনতে চাইবে। তাদের কাছে আপনার আর্টিকেল বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি আপনার আর্টিকেল বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন UpWork, Fiverr ইত্যাদিতে বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়া অনেক ওয়েবসাইট গেস্ট ব্লগিং এর উপর জব দিয়ে থাকে। সেখানে আপনি পার্ট টাইম বা ফুল টাইম জব করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য

আমরা অনেকেই আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে জানিনা। আর্টিকেল লিখার জন্য নতুন ব্লগারদের সর্বপ্রথম কি ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। আর সেই কি ওয়ার্ডটি যেন লং কিওয়ার্ড হয়। তাহলে খুব সহজে গুগলে সেই আর্টিকেলকে র‍্যাংক করানো যায়। যদি হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে তবে নতুন ব্লগারদের শুরুর দিকে গেস্ট ব্লকিং করা উচিত। এতে করে তাদের হাতখরচ উঠে যাবে। যখন তাদের ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম শুরু হবে তখন পুরো সময়টা তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া উচিত।

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তা আপনার আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। আমার এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url