ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ,অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি কি ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা জানেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা জানতে পারবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেই সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য অবশ্যই আপনাকে এই আর্টিকেলটি পুরো পড়তে হবে।
এছাড়াও আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং ও এনালগ মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আপনি পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভূমিকা
সহজ কথায় ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যবসাকে বর্ধিত করা। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রয়োজন। আমরা যে কোন ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারি। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করায় ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে উঠেছে একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং প্লাটফর্ম। তবে এখানে অনেক বেশি ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে সাধারণত এক বছর সময় প্রয়োজন।
তবে এক্সপার্ট হতে মিনিমাম তিন বছর সময় দরকার। মোবাইলের মাধ্যমে ও ডিজিটাল মার্কেটিং খুব সহজে করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং যেহেতু ইন্টারনেটের সাহায্যে চালানো হয় আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিংও আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আবার এনালগ মার্কেটিং এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি সহজ ও লাভজনক হয় মানুষজন দিন দিন ডিজিটালের মার্কেটিং এর দিকে ছুটছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল প্লাটফর্মে যে মার্কেটিং করা হয় তাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ও প্রযুক্তি যেমন মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এটিকে আমরা অনলাইন মার্কেটিং বলে থাকি। এখন সেটি ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি যেকোনো মাধ্যমে হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং হতে পারে ইনকামের অন্যতম মাধ্যম। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক। ভবিষ্যতে চাহিদা আরও বৃদ্ধি হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে খুব বেশি জিনিসের প্রয়োজন নেই। তবে কিছু কিছু জিনিস না হলে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিম্নরূপ
- দক্ষতা
- ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন ,কম্পিউটার ইত্যাদি
- ইন্টারনেট সংযোগ
- কনটেন্ট ক্রিয়েশন
- SEO এর সম্পূর্ণ জ্ঞান
- মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি
- ধৈর্য
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
আমরা সাধারণত ইউটিউবে অথবা ফেসবুকে ভিডিও দেখার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এবং পরবর্তীতে শেখার চেষ্টা করি। আবার অনেকে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করেন। তবে সেই ক্ষেত্রে তেমন কোন উপকার পাওয়া যায় না। আমরা যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাই তবে অবশ্যই আমাদের একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটরের কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে শুরু করতে হবে।
তিনি যেহেতু একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার তাই তার ইন্সট্রাকশন ফলো করলে আপনিও একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন। তাই আমাদের সর্বপ্রথম একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটের কাছ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। তবে একটি জরিপ করে দেখা গেছে এভারেজে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে এক বছর সময় প্রয়োজন। তবে একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটের হতে মিনিমাম ৩ বছর সময় লাগে। তবে সবার ক্ষেত্রে এই সময় কার্যকর হবে এমন কোন কথা নেই। কারো কারো ক্ষেত্রে এর চেয়ে কম সময়ে সে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটে হতে পারে আবার অনেকে এর চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেও সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারে না। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে চাই অনেক ধৈর্য এবং এর সাথে লেগে থাকার মানসিকতা।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলো কি কি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম গুলো হচ্ছে
- SEO মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া(যেমন facebook, twitter, instagram ইত্যাদি) মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- মোবাইল মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও CPA মার্কেটিং
- এসএমএস মার্কেটিং
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের মাধ্যম রয়েছে যেগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি
ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্তম্ভ অনেকগুলো। এর মধ্যে প্রধান স্তম্ভ ৮ টি। যেগুলো নিচে করা হয়েছে
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO
- কন্টেন্ট মার্কেটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- মোবাইল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ধাপ হয় যার যেটা ভালো লাগে সে সেদিকে যেতে পারে। এনালগ মার্কেটিং এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে খরচ কম হওয়াই অনেক কম করেছে আপনি অনেক বেশি কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে পারবেন এবং আপনার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
এছাড়াও এনালগ মার্কেটিং এ কাস্টমারকে আপনার কাছে আসতে হয় যার কারণে অধিক কাস্টমার পাওয়া যায় না।কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কাস্টমারকে আপনার কাছে আসতে হয় না বলে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন সকল কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় বলে অধিক সংখ্যক কাস্টমার পাওয়া যায় এতে করে আপনার পণ্যের বিক্রয় বেশি হয়।
এর ফলে আপনার আয়ও বেশি হয়। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেহেতু কাস্টমার টার্গেট করে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় তাই অন্যের বিক্রি বেশি হওয়ার চান্স অনেক বেশি থাকে।এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার সময়কে সাশ্রয় করে থাকে। কেননা খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। পরিশেষে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
ডিজিটাল মার্কেটিং বনাম অ্যানালগ মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ঘরে বসে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় এবং পণ্য বিক্রয় করা যায় অন্যদিকে এনালগ মার্কেটিং-এ বিক্রেতা এবং ক্রেতাকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয়। এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন সহজে দেয়া যায় এবং এতে খরচ কম হয়। অন্যদিকে এনালগ মার্কেটিং এ পণ্যের বিজ্ঞাপন সহজে দেওয়া যায় না এবং পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে গেলেও খরচ অনেক বেশি হয়ে যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং যেহেতু ইন্টারনেটের মাধ্যমে চলে তাই যে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। এতে করে অনেক বেশি কাস্টমার পাওয়া সম্ভব। পক্ষান্তরে এনালগ মার্কেটিং এ কাস্টমারকে যেহেতু সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় তাই খুব বেশি কাস্টমার পাওয়া যায় না। এতে করে পণ্যের বিক্রিও বেশি হয় না।
ফলে লাভ কম হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অল্প সময়ের প্রয়োজন হয় কিন্তু এনালগ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন। এসব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় এনালগ মার্কেটিং এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক বেশি সুবিধা রয়েছে।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমানে আমরা আমাদের বেশিরভাগ সময় অনলাইনে থাকি। সেক্ষেত্রে আমরা কোন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার জন্য অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিতে পারি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে দেখা যাবে বেশিরভাগ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা বুঝি ফেসবুক, টুইটার,ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। আমাদের সকলেরই অন্তত একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট রয়েছে। যেগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি।
আর এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া মোবাইল দিয়ে চালানো সম্ভব। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া হল ফেসবুক। আমরা ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারণা দেখি। সেগুলোতে আমরা লাইক,,কমেন্ট, শেয়ার করি। আবার অনেক সময় অন্যটি পছন্দ হলে আমরা তা অর্ডার করি। এই যে আমরা বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছি এটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপে পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করা যেতে পারে। তাছাড়া এখন মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করা যায় যা এক ধরনের মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। এগুলো নিচে আলোচনা করা হলো
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কাস্টমারকে টার্গেট করে মার্কেটিং করা যায়। যা এনালগ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
- অল্প পুজিতে মার্কেটিং শুরু করা যায়। এখনকার দিনে একটি ছোট ব্যবসা করতেও লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কয়েক হাজার টাকা হলেই আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
- সঠিকভাবে মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনেক বেশি পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব।
- মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে কখনোই মানুষের কাছে যাইতে হবে না। একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন।
- ইচ্ছামত বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় এবং বন্ধ করা যায়। আপনি চাইলেই যে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন এবং বন্ধ করতে পারবেন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনার খুব বেশি জ্ঞান থাকার প্রয়োজন নেই। প্রথম অবস্থায় অল্প জ্ঞান থাকলেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
- আপনি বিজ্ঞাপন তৈরির বাজেট কমাতে পারবেন এবং বাড়াতে পারবেন এতে কোন সমস্যার সৃষ্টি হবে না
- যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে চলে তাই আপনার তৈরি করা বিজ্ঞাপন পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান অসুবিধা হলো এর জনপ্রিয়তা। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ঝুকছে। ফলে এখানে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল মার্কেটাররা অনেক বেশি বিজ্ঞাপন তৈরি করছে। যা মানুষের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আবার ডিজিটাল মার্কেটিং এ নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হওয়াই ডিজিটাল মার্কেটারদের এসব প্রযুক্তির সাথে খারাপ করে নিতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত খাপ খাওয়াতে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে অস্থিরিশীল করে তুলছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে এর সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বাজার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটারদের আরেকটি বড় সমস্যা হলো ডলার।
কেননা এক প্রচার করতে ডলারের প্রয়োজন হয় যা সহজে পাওয়া যায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা খরচ করার পরেও সেখান থেকে লাভ নাও হতে পারে। এমন অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং আছে যাতে অনেক বেশি জ্ঞানের দরকার হয়। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা থেকে সুবিধা বেশি হওয়ায় মানুষ আজকাল ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে বেশি ছুটছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর বর্তমান মার্কেট ভ্যালু কত?
আজকাল মানুষ আর টিভি বা রেডিওতে কোন বিজ্ঞাপন দিতে চাচ্ছে না। কেননা এটি অনেক ব্যয়বহুল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এতে খরচ কম হয়। কম বেশি সব ধরনের ব্যবসায় এখন ডিজিটালাইজড হচ্ছে। সকলে ডিজিটাল মার্কেটিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০২০ সালে গ্লোবাল ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভ্যালু ছিল ৩৫০ বিলিয়ন ডলার। ধারণা করা যায় ২০২৬ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এ থেকে বোঝা যায় মানুষ কতটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি
বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০% লোকেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যা গত দুই বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ৪০%। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে মানুষ কত তাড়াতাড়ি অনলাইনের দিকে ঝুকছে। ডিজিটাল মার্কেটিং যেহেতু অনলাইন প্লাটফর্ম তাই যত বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে এই মার্কেটিং তত বেশি ভালো হবে।
যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং দিন দিন আরো জনপ্রিয় হবে। যতদিন পৃথিবীতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে ততদিন পর্যন্ত ডিজিটাল মার্কেটিং থাকবে। কারণ ইন্টারনেটের উপর ডিজিটাল মার্কেটিং নির্ভরশীল। তাই বলা যায় ভবিষ্যতের ডিজিটাল মার্কেটিং আরো বেশি জনপ্রিয় হবে। আর তা হবে ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য উপার্জনের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।
লেখকের মন্তব্য
ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন একটি মার্কেটিং যা খুব সহজে ঘরে বসে করা যায়। এতে সময় ও মূলধন অনেক কম লাগে। তবে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে সবার প্রথমে উচিত একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। তবে একজন সকল ডিজিটাল মার্কেটার হতে গেলে প্রয়োজন সময় ও ধৈর্যের। ধৈর্য যদি না থাকে তাহলে কখনোই একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া সম্ভব নয়।
আমারে আর্টিকেল যদি আপনার কোন উপকারে আসে, আপনি যদি এর থেকে উপকৃত হন তবে অবশ্যই তা আপনার আপনজনদের সাথে শেয়ার করুন। এই আর্টিকেলটি আপনার কতটুকু ভালো লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। এরকম আরো আর্টিকেল করতে আমার এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url