মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনি কি মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। যদি না জেনে থাকেন তবে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
এছাড়াও আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আমরা মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারব। শীতকালে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে চাইলে এর বীজ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বপন করতে হবে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভুমিকা
মিষ্টি কুমড়া বাংলাদেশের অন্যতম সবজি। মিষ্টি কুমড়ার মত মিষ্টি কুমড়ার বীজেও অনেক উপকারিতা রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ বাতের ব্যথার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা এটি হাড়ের সন্ধিস তলের চর্বি সমূহের পরিমাণ বাড়তে দেয় না। আমাদের অনেকে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে অনেক পছন্দ করেন।
কেননা এটি একদিকে যেমন পুষ্টিকর অন্যদিকে খেতেও সুস্বাদু। সঠিক পরিমাণ এটি গ্রহণ করা হলে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ের ক্ষয় রোধ করে থাকে। তাই যারা বয়স্ক মানুষ তাদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার বীজ গ্রহণ করা উচিত। মিষ্টি কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম এর অভাব পূরণ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম ও এর যত গুণাগুণ
যার কারণে শরীরের বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা পায়। ফাইটোস্টেরল এক বিশেষ রাসায়নিক উপাদান যা দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এই ফাইটোস্টেরল একটি উৎস হল মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ বিবেচনায় এটি অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। কিন্তু তারপরেও এটি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা ঠিক নয়। আমাদের উচিত প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার বীজ গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন অধিক পরিমাণে খাওয়া না হয়।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম
আমাদের দেশে প্রায় সকল অঞ্চলেই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়া এর মধ্যে অন্যতম।মিষ্টি কুমড়া প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এটা আমিষ জাতীয় সবজি। আমাদের দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া অতি পরিচিত একটি নাম। আমরা কমবেশি সবাই মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করি।
খুব কম মানুষই পাওয়া যায় যে মিষ্টি কুমড়া পছন্দ করেন না। মিষ্টি কুমড়ার কোন কিছুই ফেলে দিতে হয় না। এর বীজ সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে খাওয়া যায়। এর নানা রকম উপকারি দিক রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ অনেকভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা মিষ্টি কুমড়ার বিচি ভর্তা করে খাওয়া বেশ মজাদার। রান্না করে খাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা
আবার রোদ্রে শুকিয়ে ভেজে খাওয়া যায়। কুমড়ার বীজ দিয়ে কেক, স্যুপ ও সালাত বানিয়ে ও খেতে পারেন। বীজ গুড়া করে আটার সাথে মিশিয়ে রুটি বানাতে পারেন। মিষ্টি কুমড়ার বীজ অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি
যেকোনো ধরনের উদ্ভিদ চাষ করতে চাইলে সর্বপ্রথম মাটিকে ভালোভাবে তৈরি করে নিতে হয়। মাটি উপযুক্ত হলে বীজ বপন করতে হয়। মিষ্টি কুমড়া শীতকালীন সময়ে চাষ করতে চাইলে অক্টোবর- ডিসেম্বর এরমধ্যে এর বীজ বপন করতে হবে। উন্নত ফলন চাইলে নভেম্বরের মাঝামাঝি বীজ বপন করতে হবে।
বর্ষজীবী এই সবজি গ্রীষ্মকালে চাষ করতে চাইলে ফেব্রুয়ারি -মার্চ মাসে বীজ বপন করতে হবে। উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর প্রয়োজন হয় মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য। মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা তৈরি করে তার রোপন করা সবচেয়ে উত্তম। এক্ষেত্রে চারা গজানোর ১৬ থেকে ২০ দিনের মাথায় চারাটি জমিতে রোপণ করতে হবে।
চারা রোপণের জন্য প্রকৃতি ও স্থানভেদে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি উঁচু ও তিন ফুট চওড়া একটি বেড তৈরি করতে হবে যাতে পানি শেষ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো থাকে। এরপর সেখানে একটি গাছ রোপন করতে হবে। একটি গাছ থেকে ওপর একটি গাছের দূরত্ব কমপক্ষে দুই ফুট হবে। এছাড়া সরাসরি জমিতে বীজ বপনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম মাটি প্রস্তুত করতে হবে।
সার দেয়ার ৭ থেকে ১০ দিন পর বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে বীজ যেন মাটির খুব গভীরে চলে না যায়। এর গভীরতা হবে ১ ইঞ্চি। বীজ বপণের চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই চারা গজাবে। চারা গজানোর দুই সপ্তাহ পর দুই থেকে তিনটি সুস্থ সবল চারা রেখে বাকি চারাগুলো তুলে ফেলতে হবে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপকারিতা
মিষ্টি কুমড়া আমরা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি। এটি যেমন স্বাদে অতুলনীয় তিমনি এর নানাবিধ উপকারী দিক রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক এর মতো একাধিক উপাদান।
আমরা অনেকেই কুমড়ার বীজ সম্পর্কে জানিনা। না জানার কারণে আমরা বীজ ফেলে দেই। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারি দিক।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে নানাবিধ উপাদান থাকায় এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
- কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকায় এটা আমাদের হাড়ের সমস্যা নিরাময়ের সহায়তা করে।
- কুমড়ার বীজে রয়েছে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিক উপাদান যা অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
- কুমড়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, জিংক, সালফার ইত্যাদি।এর কারণে চুল লাবণ্যময় ও ঘন করতে সহায়তা করে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কুমড়ার বীজ খুব উপকারী এটি শরীরে ইনসুলিন সরবরাহ করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি রক্তের শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণ করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
- ওজন কমাতে কুমড়ার বীজের জুরি মেলা ভার। কেননা এটি আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ায় সহজে হজম হয় না। ফলে খুদা কম লাগে ও ওজন কম থাকে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
- হার্ট সুস্থ রাখতে কুমড়ার বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে ডাই হাইড্রো এপি অ্যান্ড্রসটেনেডিয়ন নামের উপাদান থাকে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড থাকায় এটি ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
- এটি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইবার থাকার কারণে এটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ
মিষ্টি কুমড়া বিভিন্ন পুষ্টিগুনে ভরপুর। এতে কোন কোলেস্টেরল নেই। পুষ্টিবিদরা বলেন ভিটামিন 'এ ' এর একটি সমৃদ্ধ উৎস হলো মিষ্টি কুমড়া। এটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু কুমড়াতে নয়, এর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ।
কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, যদি কেউ নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ খায় তবে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে এবং এগুলা প্রোটিন সমৃদ্ধ। আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার, ভিটামিন ই, ফাইবার, ফসফরাস, আইরন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ আখ চাষ পদ্ধতি - আখের সাথে সাথী ফসল চাষ
প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় আছে ১৩ কিলো ক্যালরি ৬.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৩৬ গ্রাম শর্করা, ০.৫ গ্রাম আঁশ, ০.১ গ্রাম চর্বি, ১.০ গ্রাম প্রোটিন, ৩৬৯ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন 'এ' ,৯.০০মিগ্রা ভিটামিন 'সি', ৩৪০ মিগ্রা পটাশিয়াম,০.৩২ মিগ্রা জিংক, ১.০৬ মিগ্রা ভিটামিন 'ই'।
মিষ্টি কুমড়া খেলে কি গ্যাস হয়
মিষ্টি কুমড়া দেখতে যেমন মোটাসোটা, নাদুসনুদুস। তেমনি খেতেও মজা। নানা রকমের পুষ্টিগুনে ভরপুর। সীমিত পরিমানে মিষ্টি কুমড়া সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। অতিরিক্ত খাইলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অধিক পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
মিষ্টি কুমড়ার ক্ষতিকর দিক
এবার জেনে নেয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। শরীরের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। মিষ্টি কুমড়া আমাদের অনেকের অনেক পছন্দের একটি খাবার কিন্তু অধিক পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খেলে আমাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে। আর যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা বেশি পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাইলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে।
রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য পরিমিত হারে মিষ্টি কুমড়া সেবন করা উচিত। অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণ সঠিক পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাব।
মিষ্টি কুমড়ার বিচির দাম
দিনদিন মিষ্টি কুমড়ার বীজের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এটি অনেক সহজলভ্য হওয়ায় এর দাম অনেক কম। যারা জানে এই বীজের উপকারিতা সম্পর্কে তারাই এটা সংগ্রহ করার আগ্রহ দেখায়। এক কেজি পরিশোধিত মিষ্টি কুমড়ার বিচির দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়ে থাকে। অঞ্চল ভেদে এর দাম কম বেশি হতে পারে। এটি যে কোন কাঁচা বাজার বা কনফেকশনারী দোকানে পাওয়া যেতে পারে।
মিষ্টি কুমড়া বীজের অপকারিতা
মিষ্টি কুমড়া বীজ খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে এর ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হলো।
- মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইবার থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কিন্তু যদি অধিক পরিমাণে খাওয়া হয় তবে তার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- যাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম তাদের এটি অল্প পরিমানে খাওয়া উচিত। কেননা এটি গ্লুকোজের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়।
- যাদের এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি চুলকানি, ফুসকুড়ি ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- এই বীজ অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ওজন কমার পরিবর্তে ওজন আরো বেড়ে যেতে পারে।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে কি হয়?
উত্তরঃ পরিমিত পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার বীজ গ্রহণ করার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেননা এটি শর্করার মাত্রা হ্রাস করে। এটি ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। হার্ট ভালো রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ কাদের খাওয়া উচিত নয়?
উত্তরঃ যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ফেলে যার কারণে যাদের শরীরে শর্করার মাত্রা কম তাদের এটি খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও এতে অনেক বেশি ক্যালোরি থাকায় যারা ডায়েট করছেন তাদের এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
প্রশ্নঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ কিভাবে খাব?
উত্তরঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সকালে নাস্তার সাথে খালি চিবিয়ে খাওয়া। এছাড়া আপনি এর গুড়া করে রুটি বানিয়ে খেতে পারেন। সালাদের সাথে মিষ্টি কুমড়ার বীজ যোগ করতে পারেন।
শেষ কথা
মিষ্টি কুমড়ার বীজ অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। এটি খাওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের মুক্তি দেয়। তবে কখনো এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করার ফলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হবে। এটি যেহেতু অনেক পুষ্টিকর খাবার তাই আমাদের সকলেরই প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার বীজ গ্রহণ করা উচিত।
প্রিয় পাঠক, আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার আপনজনের মাঝে একটি শেয়ার করুন। এই আর্টিকেলটা আপনার কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url