কিভাবে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো - ফ্রিল্যান্সিং শিখার সহজ উপায়
প্রিয় পাঠক, আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন? কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও আর্টিকেল করার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনার অবশ্যই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং তাতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন।
ভূমিকা
বর্তমানে আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী। কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে তারা সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারছে না। যদি আপনি সঠিক গাইড লাইন পেয়ে থাকেন তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে আপনি লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে যাচ্ছেন তারা একটি সঠিক গাইডলাইন পেলেই খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আয়ত্ত করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার আগে একটি বিষয়ে আপনার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। আর তা হলো ধৈর্য। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ধৈর্য থাকতে হবে।
ধৈর্যশীল না হলে কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব নয়। এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায় কি
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং শিখছে। সেই সাথে তারা এটিকে পেশা হিসেবে বাছাই করে নিচ্ছে। অনেকে আবার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ঠিক মত ধারণা না রাখার কারণে এটিকে পেশা হিসেবে বাছাই করার পরও সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছে না।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি? ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার জানা থাকে তাহলে খুব সহজে আপনি ফ্রিল্যান্সিংকে আয়ত্ত করতে পারবেন। কেননা বাজারে অনেক ধরনের কোর্স রয়েছে যেগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়।
আপনি যদি জেনে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজের উপর একটি কোর্স সম্পূর্ণ করে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। তাহলে চলুন কিভাবে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং আয়ত্ত করব সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই। তার আগে ফ্রিল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে জেনে নেই।
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং হল এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অন্য ব্যক্তিদের কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করবেন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত পেশা।
এখানে আপনি কারো আন্ডারে কাজ না করে নিজেই নিজের আন্ডারে ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে আপনি মাসে $500-$1000 বা তার বেশি ডলার ইনকাম করতে পারবেন যা যেকোনো ধরনের সরকারি বা বেসরকারি চাকরি অপেক্ষা অনেক বেশি।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল নাকি হারাম
আপনি এখানে আপনার ইচ্ছামত যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন। এর জন্য কারো কাছে জবাবদিহি তার প্রয়োজন নেই। মোট কথা এখানে আপনি নিজের স্বাধীন মত কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এই ধরনের স্বাধীন কাজকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। আর যিনি ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন তাকে ফ্রিল্যান্সার বলে।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং শেখা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার অনেক বেশি ধৈর্য থাকতে হবে। কেননা এই কাজ করতে গেলে অনেক বেশি ধৈর্যের প্রয়োজন। যদি আপনি ধৈর্যশীল না হয়ে থাকেন তবে আপনি কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না।
সেইসাথে আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আগে থেকে কিছুটা ধারণা থাকে এবং ইংরেজি ভাষার প্রতি আপনার যদি দক্ষতা ভালো থাকে তবে খুব সহজে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি/একাধিক বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হবে।
এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব ভিডিও দেখে, বাংলা ও ইংরেজি কনটেন্ট করে, কোন আইটি ফার্মে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করে সেই জ্ঞান লাভ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখতে হলে আপনাকে বুঝে শুনে সঠিক জায়গায় টাকা খরচ করতে হবে।
যেখানে আপনার পছন্দকৃত বিষয়ের উপর ১০০% কাজ শেখাবে। আপনি যদি কোন বড় বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কোর্স করেন তাহলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে কি কি প্রয়োজন
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চায়। কিন্তু সঠিক জ্ঞান ও পরামর্শের অভাবে তারা তাদের লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যায়। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যেগুলো ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা অসম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে যেগুলো বিষয়ে প্রয়োজন সেগুলো হলো-
- কম্পিউটার বা ল্যাপটপঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনার অবশ্যই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। সেই সাথে এটি চালানোর দক্ষতা ও থাকতে হবে। কেননা মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না। এছাড়াও কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সফটওয়্যার ইনস্টল/আনইন্সটল করা, লেখালেখি করা, MS Excel, MS Word, MS PowerPoint ইত্যাদি ধরনের কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
- ইন্টারনেট সংযোগঃ আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনার বাসায় অবশ্যই ২৪ ঘন্টার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এর জন্য সুবিধা জন্য হলো ওয়াইফাই ব্যবহার করা। কেননা এতে খরচ কম হয়।
- সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাঃ ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে অবশ্যই কোন একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি ভুল সিদ্ধান্ত আপনার সম্পূর্ণ ক্যারিয়ার কে নষ্ট করে দিতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং করার শুরুতে কখন একাধিক বিষয় নিয়ে কাজ করা উচিত নয়। যেকোন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করা উচিত।
- সমস্যার সমাধানের দক্ষতাঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর সেই সব সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার সমস্যার সমাধানের দক্ষতা থাকতে হবে।
- ইংরেজিতে দক্ষতাঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য যেহেতু বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে যেহেতু কথা বলা প্রয়োজন হয় তাই তাদের সাথে কথা বলার জন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। তাদেরকে ইংরেজি বোঝানোর এবং তাদের ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।
- কৌশলঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো খুব সহজেই শর্টকাটে করা সম্ভব। আপনি যদি সেই কাজগুলোর কৌশল ব্যবহার করে শর্টকাটে কাজ করেন তাহলে অনেক কাজ খুব তাড়াতাড়ি করা সম্ভব। এছাড়াও কোন কাজ বা বিষয় সম্পর্কে না জানলে তা কিভাবে গুগল বা ইউটিউব থেকে জানা যায় সেই কৌশলও আপনার থাকতে হবে।
- আত্মবিশ্বাসঃ আপনাকে অবশ্যই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কোনো কাজ করতে পারবেন না এমন চিন্তা করা যাবে না। যেকোনো কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি করতে পারবেন সে বিষয়ে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।
- ধৈর্যঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হলো ধৈর্য। কেননা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার কাজ পেতে/ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা উপার্জন করতে অনেক সময় এমনকি কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যের সাথে কাজের সাথে লেগে থাকতে হবে। যদি আপনি ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন তাহলে কখনোই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না।
মোবাইলের মাধ্যমে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়
বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও সহজে করে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। যদিও ফ্রিল্যান্সিং এর সফল কাজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। তবে এমন কতগুলো কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করতে পারেন।
কেননা বর্তমানে মোবাইল ফোনে উন্নত মানের টেকনোলজি ব্যবহার করার কারণে এসব কাজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যাবে এমন কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং কাজের তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হলো-
- আর্টিকেল রাইটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতের কয়েকটি জনপ্রিয় কাজের মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং একটি। আর্টিকেল রাইটিং হলো এমন একটি কাজ যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লেখা হয়। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এসব কনটেন্ট লেখা যায়। আপনি চাইলে বাংলায় এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই কনটেন্ট লিখতে পারবেন। তার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ কাজের মাধ্যমে আপনি অল্প পরিশ্রমে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অধিক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনার মোবাইলে Google docs, Wps office, Microsoft office word, Note pad এই কয়েকটি অ্যাপস ইনস্টল করে নিতে হবে। এগুলোর সাহায্যে আপনি খুব সহজে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন।
- গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন তবে মোবাইল ফোনে শুধুমাত্র কয়েকটি অ্যাপস ব্যবহার করে মোটামুটি লেভেলের গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করতে আপনার মোবাইলে Canva, pixellab, Adobe Spark, Adobe Illustrator Draw অ্যাপসগুলো ইনস্টল করে নিন। এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে খুব সহজে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারবেন। সেগুলো অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে প্রফেশনালি গ্রাফিক ডিজাইন মোবাইল দ্বারা করা সম্ভব নয়।
- ব্লগ রাইটিংঃ বর্তমান সময় মানুষ ব্লগিং সাইটের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকছে। তারা তাদের ব্লগিং সাইটে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আপলোড করে ও কিছু মাধ্যম ফলো করে ইনকাম করতে সফল হচ্ছে। আর এই কাজটি আপনি খুব সহজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করতে পারবেন।
- ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন কাজে যে দুটি ল্যাঙ্গুয়েজ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেটি হলো html ও css। আপনি চাইলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুব সহজে এ দুটি ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে পারেন। এই কাজ শিখে আপনি সহজে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে এডভান্স লেভেলের ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে গেলে আপনার অবশ্যই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হবে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুধুমাত্র বেসিক ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা যাবে।
- কাস্টমার সাপোর্টঃ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইনকাম করার আরও একটি সহজ উপায় হচ্ছে কাস্টমার সাপোর্ট এর কাজ। অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যাদের কাস্টমারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মানুষের প্রয়োজন হয়। কাস্টমাররা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় আপনাকে ফোন দিলে আপনাকে সেই সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে কাস্টমারের সাথে চ্যাট করার মাধ্যমে তার সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে, এটি হলো কাস্টমার সাপোর্ট। এটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই করা যায়।
- অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়ঃ আপনার মোবাইল ফোনটি যদি ভাল ছবি ক্যাপচার করতে সক্ষম হয় এবং আপনার যদি ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা থেকে থাকে তবে এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ছবি বা ভিডিও বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ছবি বিক্রি করার অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনার মোবাইলে তোলা বিভিন্ন ধরনের ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা প্রয়োজন? তাদের উদ্দেশ্যে এ পর্বে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকার প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোচনা করবো। ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আসলে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন নেই। বর্তমানে ১৫-২০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখতে পারবেন।
তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করতে হবে। যেখানে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখতে পারবেন। সেই সাথে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে আপনার একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন পড়বে।
যদি আপনার আগে থেকেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকে তবে আপনাকে সেগুলো কিনে নিতে হবে। এতে করে আপনার খরচ বেড়ে যাবে। কিন্তু যদি আপনার আগে থেকেই ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে থাকে তাহলে আপনি ১৫-২০ হাজার টাকার মধ্যেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। এই পর্বের ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো নিজে আলোচনা করা হলো-
ব্লগিংঃ বর্তমানে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে তার মধ্যে অধিকাংশই ব্লগিংয়ের দিকে ঝুকছে। অর্থাৎ বর্তমানে ব্লগিং ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। ব্লগিং করে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে ইনকাম করা যায়। তবে এর জন্য আপনার একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট থাকতে হবে। আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে কিছুদিন কাজ করার পর যদি পরবর্তীতে আর কাজ নাও করতে পারেন তবে সেখান থেকে আপনার ইনকাম হতেই থাকবে। এটি এমন এক ধরনের কাজ যেটিতে কম কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি কাজ যেখানে মারকেটাররা তাদের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বাড়ানোর জন্য কাজ করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর হিসাব অনুযায়ী কম কষ্টের সবচেয়ে বেশি ইনকাম করার সহজ ও সেরা উপায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি।
এসইওঃ এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ হলো Search Engine Optimization। এটি এমন একটি কাজ যেখানে যেকোনো ধরনের লেখা, ওয়েবসাইট বা প্রোফাইল র্যাংকিং এ নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করা হয়। এটি একটু জটিল কাজ। এই কাজ শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এর উপর নির্দিষ্ট কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতের কয়েকটি জনপ্রিয় কাজের মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং একটি। কন্টেন্ট রাইটিং হলো এমন একটি কাজ যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা হয়। আপনি চাইলে বাংলায় এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই কনটেন্ট লিখতে পারবেন। তার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ কাজের মাধ্যমে আপনি অল্প পরিশ্রমে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অধিক পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি ঘরে বসে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন কোম্পানি বা অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের বিক্রয়কৃত কোন পণ্য যদি আমরা আমাদের মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারি তাহলে তার বিনিময়ে আমরা যে টাকা বা কমিশন পায় সেটি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। এর জন্য আপনার শুধুমাত্র একটি সচল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকতে হবে এবং এতে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে সেই পণ্য বিক্রয় করে দিয়ে কমিশন গ্রহণ করতে পারবেন।
সিপিএ মার্কেটিংঃ সিপিএ মার্কেটিং হলো অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতই। তবে এখানে কোন পণ্য বিক্রি করতে হয় না। সিপিএ মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে আপনার সাইটে আসার সকল ভিজিটর কে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। বর্তমানে সকল ধরনের অনলাইন কাজে সিপিএ মার্কেটিং ব্যবহার করা হচ্ছে। ধরুন আপনার ওয়েবসাইটে একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়া আছে। সে পণ্যটিতে ক্লিক করা মাত্রই তাকে মূল্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সিপিএ মার্কেটিং বলে।
ভিডিও এডিটিংঃ বর্তমানে ভিডিও এডিটিং ইনকাম করার একটি চমৎকার উপায়। যারা সঠিকভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারেন বর্তমানে তাদের চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা ভিডিও এডিটরদের খুজে থাকেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা তাদের ওয়েবসাইট বা পেইজের জন্য যেসব ভিডিও করে থাকে ভিডিও এডিটররা সেগুলো এডিট করে পরিপূর্ণ ভিডিওতে রূপান্তর করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ একটি সফটওয়্যার কিভাবে কাজ করবে সেটি উল্লেখ করা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ। এক্ষেত্রে অ্যাপ ডেভেলপাররা কিছু ক্ষেত্রে অ্যাপের নিজস্ব ডিজাইন দিয়ে থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করে থাকে। যদি আপনি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চান তবে এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং হল এমন এক ধরনের মার্কেটিং যার মাধ্যমে আপনি আপনার যে কোন পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে সেই পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে মূলত বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করা সম্ভব। কেননা একটি পণ্য সম্পর্কে যত বেশি মানুষ জানবে সেই পণ্যের বিক্রি তত বেশি হবে।
লিড জেনারেশনঃ কোন উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে যখন একটি নির্ধারিত লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তখন সে প্রক্রিয়াকে লিড জেনারেশন বলা হয়। ধরুন আপনার একটি কেক এর দোকান রয়েছে। আপনি যদি এখন যারা কেক পছন্দ করে তাদের নাম্বার কালেক্ট করে তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের কেকের অফারের মেসেজ পাঠান তবে আপনাকে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর এই নম্বর ও তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করাকে লিড জেনারেশন বলে। এটি একটি ক্রিয়েটিভ প্রক্রিয়া। আপনি আপনার বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন উপায়ে এই কাজটি করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ স্ক্রিনশট টেকনিক - গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার
ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটাবেজে বিভিন্ন ধরনের ডাটা সেভ করা হলো ডাটা এন্ট্রির কাজ। বিভিন্ন ধরনের অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় কোম্পানির ডাটা সংরক্ষণ করে রাখার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার হওয়ার কারণে এসব ডাটা কাগজে সংরক্ষণ না করে ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়। আর এই কাজ করার জন্য লোকের প্রয়োজন হয়। অনলাইন এর মাধ্যমে কাজ করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।
এসএমএস মার্কেটিংঃ এটি হলো আপনার ব্যবসা বা পণ্যের প্রমোশনের জন্য কিছু কাস্টমারকে টার্গেট করে তাদের ফোনে মেসেজ পাঠানো। এটি উপার্জনের একটি দারুন উপায়। এর মাধ্যমে কাস্টমারগন খুব সহজেই আপনার সম্পর্কে জানতে পারে। এতে করে আপনার পণ্যের মার্কেটিং হওয়ার পাশাপাশি বিক্রিও ভালো হয়। এতে করে ইনকাম ভালো হয়।
ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন কাজে যে দুটি ল্যাঙ্গুয়েজ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেটি হলো html ও css। এছাড়াও এতে আরো অনেক ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ এর প্রয়োজন হয়। এই কাজ শিখে আপনি সহজে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইনের কাজ ভালো হবে তো করতে পারলে আপনি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২০-৩০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এটি আপনি অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই করতে পারবেন। যেহেতু এই কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তাই এই কাজ করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তবে অফলাইনে ইনকাম করার পাশাপাশি Fiverr, Upwork ইত্যাদি অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটিংঃ ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার পণ্য সম্পর্কে সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীকে জানাতে পারবেন। এছাড়াও ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন। সেই সাথে কাস্টমার আকর্ষিত হলে সে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। মূলত ফেসবুক মার্কেটিং এর দ্বারা আপনি ঘরে বসেই আপনার পণ্য সম্পর্কে সকলকে জানাতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিংঃ ব্যবসার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং হলো ইমেইল মার্কেটিং। এর মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট কিছু কাস্টমারকে টার্গেট করে আপনার পণ্য সম্পর্কে তাদের ইমেইলে একটি মেইল পাঠাতে পারেন। এতে করে তারা ইমেইলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। সেই সাথে আপনার দেয়া বিভিন্ন অফার সম্পর্কেও জানতে পারবে।
অটোক্যাডঃ অটোক্যাড হলো একটি অটোডেস্ক ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক উদ্ভাবিত দ্বি-মাত্রিক ও ত্রি-মাত্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং যা একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে কোন বাড়ি, অফিস আদালত, লোগো ইত্যাদি খুব সহজে ডিজাইন করা যায়। এছাড়াও এর মাধ্যমে আপনি আপনার করা ডিজাইন কেমন হবে তা দেখতে পারবেন। বর্তমানে অটোক্যাড এর মাধ্যমে বিভিন্ন নকশা করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
গুগল এডভার্টাইজমেন্টঃ আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তাহলে সেখানে গুগল এডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে যদি গুগল এডভার্টাইজমেন্ট অন করে থাকে তাহলে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনার ইনকাম হতে থাকবে। সকল ফেসবুক পেজ, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল এই প্রক্রিয়া টাকা ইনকাম করে থাকে।
ড্রপ শিপিংঃ ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। এখানে আপনি বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন ও ছবি দিলেন। আপনার ওয়েবসাইডে ঢুকে কোন কাস্টমারের সেই পণ্যটি ভালো লাগলো। সে আপনাকে সেই পণ্যটি অর্ডার করল। এরপর আপনি পরিপূর্ণ একটি অন্য একটি ওয়েবসাইট থেকে কম টাকায় অর্ডার করে তার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন। এই প্রক্রিয়াকে ড্রপ শিপিং বলে। এতে করে আপনার ভালো টাকা উপার্জন হবে।
ইউটিউব ভিডিও তৈরিঃ বর্তমানে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং আপনি যদি সেখানে রেগুলার ভিডিও আপলোড করেন তবে সেই ভিডিও মানুষজন দেখার মাধ্যমে আপনার ইনকাম হবে। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার ইউটিউবে মনিটাইজেশন অন থাকতে হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইনঃ বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের মনমতো একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে নিতে চায়। তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন তবে এটি করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে এই কাজটি অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমে করতে পারেন।
ফটোগ্রাফারঃ আপনি যদি খুব ভালো ছবি তুলতে পারেন তবে আপনার তোলা বিভিন্ন ধরনের ছবি অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। এই কাজটি করে আপনি মাস শেষে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ নতুনদের জন্য করা সহজ
আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে আগ্রহী। কিন্তু আমরা জানি না কোন কাজ আমাদের জন্য সহজ হবে। আজ আমরা এই পর্বে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ নতুনদের জন্য সহজ হবে সে সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন ফ্রিল্যান্সিং জগতে কি কি কাজ রয়েছে যেগুলো নতুনদের জন্য করা সহজ সে সম্পর্কে জেনে নিই। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ কয়েকটি কাজ নিচে দেয়া হলো-
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- লোগো ডিজাইন
- এসইও (SEO)
- ডাটা এন্ট্রি
- ফটো এডিটিং
- টি শার্ট ডিজাইন
- কপি পেস্ট রাইটিং
- ভয়েস আর্টিস্ট
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি
জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনগুলো
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ চাকরি বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর তাদের কাজ দিচ্ছে বিভিন্ন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো। এই পর্বে আমরা জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কে জানবো। জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিম্নরূপ-
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইলে আপনাকে বেশ কিছু ধার অনুসরণ করতে হবে। ধাপগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
একটি নির্দিষ্ট বিষয় সিলেক্ট করুন
আপনি কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ধরুন আপনি ব্লগিং করতে চান। এক্ষেত্রে আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানতে হবে। এর জন্য আপনাকে আগে থেকেই নির্দিষ্ট একটি বিষয় সিলেক্ট করতে হবে।
একাউন্ট তৈরি
আপনি কোন বিষয়ের উপর কাজ করবেন সেটা ঠিক করার পর আপনাকে একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনি যদি ব্লগিং নিয়ে কাজ করতে চান তবে আপনার একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য কাজের জন্য প্রচুর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
কাজের বিনিময়ে অর্থ
প্রতিটা কাজের বিনিময়ে আপনি বায়ারদের কাছ থেকে কত টাকা নিবেন সেটি নিয়েও আপনাকে ভাবতে হবে। প্রথম অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই কম টাকা নিয়ে কাজ করতে হবে। কেননা নতুন অবস্থায় যদি আপনি কম টাকা নিয়ে কাজ করেন তবে অনেক কাজ পাবেন। এরপর একবার বিশ্বস্ত হয়ে গেলে আপনি আপনার টাকার পরিমান বাড়াতে পারবেন।
নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সাবমিট
ফ্রিল্যান্সিং জগতে সময়কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি কোন একটি কাজ সঠিক সময় করে দিতে পারেন তবে ওই বায়ার আপনাকে পুনরায় কাজ দিতে আগ্রহী থাকবে এবং আপনাকে ভালো রিভিউ দেয়া হবে। আর আপনি যদি সঠিক সময়ে কাজ করে দিতে না পারেন তবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে পরবর্তীতে আপনার অন্যান্য কাজ পেতে অনেক বেশি বেগ পোহাতে হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ কিভাবে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় - ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে মানুষ ধৈর্য সহকারে কাজ করলে সে তার ধৈর্যের ফল একসময় না একসময় পাবেই। কেউ যদি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চায় তবে অবশ্যই তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেশ কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং করার মধ্যে দিয়ে বায়ারদের কাছ থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সেরা উপায়
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের এবং কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করুন।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url