OrdinaryITPostAd

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর সেবাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর সেবাসমূহ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর সেবাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তাই এই সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর সেবাসমূহ
এছাড়াও আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এ আমানত অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও রাকাব ই ব্যাংকিং সেবা চালু করার কারণে গ্রাহকগণ ঘরে বসে লেনদেন করতে পারছেন। তাই রাকাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেল কি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাত ধরে ১৯৮৬ সনের ৫৮নং অধ্যাদেশ বলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখাসমূহের দায় ও সম্পদ নিয়ে ১৯৮৭ সনের ১৫ মার্চ কার্যক্রম শুরু করে। এই ব্যাংকে কর্তব্যরত লোক সংখ্যা ৬১৮০ জন। এর মধ্যে কর্মকর্তা ৩৮৮৮ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ১৪৫৪ জন।

এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিকাজের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য, যেমন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ, প্রাতিষ্ঠানিক উৎস থেকে প্রয়োজনীয় কৃষি ঋণ নিশ্চিত করা। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে আর্থিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা এবং পরিষেবার মান উন্নতকরণকে শক্তিশালী করা এদের উদ্দেশ্য।

রাকাব তাদের গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য ই ব্যাংকিং ও রাকাব e-KYC সেবা চালু করেছে। এর ফলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছে। এই আর্টিকেলে আমরা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর সেবাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই চলুন দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখাসমূহ

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৭ সালের ১৫ই মার্চ। ঢাকা শাখা ও স্থানীয় মুখ্য কার্যালয় সহ এ ব্যাংকের মোট ৩৮৩ টি শাখা রয়েছে। যার মধ্যে ৩৩৩ টি শাখা গ্রামীণ শাখা নামে পরিচিত এবং শহুরে শাখা ৫০ টি। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক যার প্রধান কার্যালয় ঢাকার বাইরে অবস্থিত।

সরকার কর্তৃক ঘোষিত নীতিমালার সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যাংকে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। রাকাব-এর অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮২৫ কোটি টাকা।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এ আমানত হিসাব খোলার নিয়ম

প্রত্যেকটি ব্যাংকের ই অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এর জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হয়। তেমনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এ আমানত হিসাব খোলার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এই পর্বে আমরা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এ আমানত হিসাব খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।

(রাকাব) এ আমানত হিসাব খোলার যেসব কাগজপত্র প্রদান করতে হবে তা অবশ্যই আপনাকে সঙ্গে আনতে হবে। এর জন্য আপনাকে যেসব কাগজ আনতে হবে তা নিচে দেয়া হলো-
  • আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
  • নমিনীর আইডি কার্ড/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
  • নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
সেসব কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে সর্বপ্রথম রাকাব এর নিকটস্থ কোনো শাখায় যেতে হবে। হেল্প ডেক্সে কর্তব্যরত কোন কর্মকর্তাকে আমানত অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে বলতে হবে। তিনি আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম প্রদান করবেন।

ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করে স্বাক্ষরের স্থানে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা জমা দেওয়ার স্লিপের সাহায্যে কাউন্টারে টাকা জমা দিতে হবে। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার নির্ধারিত একাউন্টটি খুলে দিবেন। এরপর থেকে আপনি চাইলে ব্যাংক খোলা থাকার যে কোন সময় টাকা জমা দেওয়া কিংবা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লোন সমূহ

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক মূলত কৃষকদের দুরবস্থা দূর করতে এবং চাষাবাদ করার সময় লোন প্রদান করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে স্বল্প সুদে বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। নিচে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লোন সমূহ আলোচনা করা হলো-
সি সি লোন
  • কৃষি লোন
  • ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প লোন
  • গরু মোটাতাজাকরণ লোন
  • হাঁস মুরগি ছাগল ভেড়া গরু মহিষ ইত্যাদির খাবার তৈরির কারখানার জন্য লোন
  • শিক্ষা সেবা
  • কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতি বাজারজাতকরণ
  • মৎস্য চাষ
  • বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পুনঃঅর্থায়ন স্কীমে আওতায় ১০ টাকার হিসাবধারীদের লোন
  • লবণ শিল্প
  • RCC লোন
  • মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মধ্যমেয়াদি কৃষি লোন
  • দারিদ্র বিমোচন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির কার্যক্রম
এছাড়াও রাকাব আরো অনেক ধরনের খাতে লোন প্রদান করে থাকে। উদ্যোক্তার সাথে পারস্পরিক আলোচনা সাপেক্ষে এবং উদ্যোক্তাদের যোগ্যতা যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে লোন প্রদান করা হয়।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সুদের হার

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদের হার এক এক রকম। এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন ঋণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সুদ প্রদান করতে হয়। যেমন শস্য ঋণ,মৎস্য ঋণ, পশু সম্পদ, কৃষিভিত্তিক শিল্প, চলমান ঋণ ও দরিদ্র বিমোচন ঋণের ক্ষেত্রে ৯% হারে সুদ প্রদান করতে হয়।

এছাড়াও যদি ব্যাংকে আমানত রাখে তাহলে ব্যাংক কর্তৃক সঞ্চয় আমানতের উপর ৪% সুদ প্রদান করে থাকে। এছাড়াও সঞ্চয়ী হিসাব-স্কুল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে ৭% ক্ষুধা হয়। তাছাড়াও স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদের বিভিন্ন ধরনের সুদ প্রদান করা হয়ে থাকে।

তবে যদি কেউ স্থায়ী আমানতের বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করেন তবে আমানতের উপর প্রদত্ত সুদহার অপেক্ষা ৩% বেশি প্রদান করতে হবে। তবে রাকাব মাসিক মুনাফা স্কীম ( RMPS) এর ক্ষেত্রে ৯% (সরল সুদ) প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে রাকাব হজ্জ্ব সঞ্চয়ী হিসাবে কোন প্রকার সুদ প্রদান করা হয় না।

রাকাব-এর আমানত সমূহ

রাকাব সারা দেশে সর্বমোট ৩৮৪ টি শাখায় আমানত হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে থাকে। রাকাবের আমানত সমূহ নিম্নরূপ-
  • সঞ্চয়ী আমানত
  • প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ
  • সঞ্চয়ী হিসাব-স্কুল ব্যাংকিং
  • স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট (SND)
  • স্থায়ী আমানত
  • রাকাব মাসিক মুনাফা স্কীম ( RMPS)
  • রাকাব মাসিক সঞ্চয় স্কীম ( RMSS)
  • কৃষক সঞ্চয় প্রকল্প
  • ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প
  • রাকাব হজ্জ্ব সঞ্চয়ী হিসাব
  • রাকাব শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্প
  • শিক্ষক সঞ্চয় প্রকল্প
  • রাকাব সস্তান-সন্তুতি বিবাহ সঞ্চয় প্রকল্প
  • রাকাব দৈনিক লাভ হিসাব (RDP)
  • রাকাব ট্রাভেল সঞ্চয় স্কীম (RTSS)
  • রাকাব ডাবল মানি স্কীম (RDMS)
  • রাকাব গৃহিণী সঞ্চয় স্কীম (RGSS)
  • রাকাব গ্রামীণ পেনশন সঞ্চয় প্রকল্প (RGPS)
  • রাকাব সঞ্চয় প্রকল্প (RSS)
  • রাকাব মিলিয়নিয়ার ডিপোজিট স্কীম (RMDS) ইত্যাদি

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সিসি লোন নীতিমালা

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সিসি লোন নীতিমালা জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে সিসি লোন কি। সিসি লোন হলো এমন এক ধরনের লোন যেখানে জমির দলিল ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে লোন নিতে হয়। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সিসি লোন নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার জমির দলিল থাকতে হবে।

এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার জমির মূল্যের উপর ভিত্তি করে ঋণ প্রদান করে থাকেন যা বন্ধকী ঋণের চেয়ে অনেক বেশি। আপনি যখন সি সি লোনের জন্য আবেদন করবেন তার পূর্বে আপনার জমির যাবতীয় কাগজপত্র যেমন খাজনা, ভিসিআর, খারিজ, খতিয়ান, চেক কাটা ইত্যাদি সবকিছুই থাকতে হবে।

এসব কাগজপত্র ব্যাংকে নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দেখালে তিনি এসব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে যদি আপনার জমি ঋনের জন্য উপযুক্ত হয় তবে আপনার জমির মূল কাগজ ব্যাংক এর কাছে রেখে আপনাকে ঋণ প্রদান করবে।

সিসি লোনের টাকা পরিষদের ক্ষেত্রে প্রতিবছর আপনাকে ৪ শতাংশ সুদ হারে অর্থপরিষদ করতে হবে। তবে আপনি চাইলে ঋণ প্রদানের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ঋণ নেয়া অর্থ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিয়ে আপনার জমির দলিল ফেরত নিতে পারেন।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ডিপিএস

রাকাব কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মেয়াদী আমানতের বিপরীতে ডিপিএস স্কিম সুবিধা প্রদান করে থাকে। রাকাব মিলিয়নিয়ার ডিপোজিট স্কীম (RMDS) নামের পাঁচ বছর, সাত বছর ও ১০ বছর মেয়াদী ডিপোজিট স্কিম প্রদান করে।

পাঁচ বছর মেয়াদী স্কিম এর ক্ষেত্রে ৮ % হারে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধিতে মাসিক কিস্তি ১৩৬৫৫ টাকা, সাত বছর মেয়াদী RMDS এর ক্ষেত্রে ৮.৫% হারে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধির মাসিক কিস্তি ৮৮৩০ টাকা এবং দশ বছর মেয়াদী RMDS এর ৯% বার্ষিক চক্রবৃদ্ধির মাসিক কিস্তি ৫২৬৫ টাকা প্রদান করতে হবে।

রাকাব দ্বিগুণ অর্থ স্কিম (RDMS) নামে পরিচিত সেক্ষেত্রে আপনাকে ১০ বছরের জন্য আপনার অর্থকে ডিপোজিট করতে হবে যা নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত হার সুদে মূলধনের দ্বিগুণ অর্থ ফেরত দেয়া হবে।

ডিপিএস এর ক্ষেত্রে আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে এর গুণিতক টাকা ব্যাংকে রাখতে পারেন। ডিপিএস এর মেয়াদ পূরণ হয়ে গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট লাভের ভিত্তিতে মুনাফা আসল প্রদান করা হবে।

রাকাব ই ব্যাংকিং

ই ব্যাংকিং হলো এমন একটি মাধ্যম যার ফলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারবেন। রাকাব ই ব্যাংকিং হচ্ছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকগণ একাউন্ট খুলতে পারেন সেই সাথে লেনদেন করতে পারেন। ব্যাংকের সকল সুযোগ সুবিধা এই অ্যাপ্লিকেশনে পাওয়া যায়।

এছাড়াও এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ঘরে বসেই লেনদেন করা যায়, টাকা ট্রান্সফার করা যায়। গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ই ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। এর মাধ্যমে গ্রাহকগণ বাড়িতে বসেই যাবত ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রাকাব-এর একাউন্ট খুলবেন কিভাবে

রাকাব গ্রাহকদের সুবিধার জন্য ই ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। এই পদ্ধতিতে ঘরে বসেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রাকাব এর সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায়। রাকাব ই ব্যাংকিং চালু করার জন্য আপনাকে ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নেই। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই রাকাব ই ব্যাংকিং চালু করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে-
  • সর্বপ্রথম আপনাকে প্লেস্টোর থেকে RAKUB eBanking অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
  • এরপর লগইন পৃষ্ঠা থেকে Self-Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর আপনার একাউন্টটি রাকাব এর কোন শাখায় রয়েছে সেটি নির্বাচন করতে হবে।
  • আপনার ১১ সংখ্যার একাউন্ট নাম্বারটি দিতে হবে।
  • আপনার একাউন্টটি কি ধরনের (অর্থাৎ সঞ্চয়ী, চলতি, স্কুল ব্যাংকিং, স্থায়ী আমানত ইত্যাদি) সেটি লিখতে হবে।
  • এরপর আপনার মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
  • আপনার ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে।
  • এরপর আপনার জন্ম তারিখ নির্বাচন করতে হবে।
  • এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে/ইমেইলে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। সেটি প্রদান করতে হবে।
  • সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর আপনি একটি আইডি নাম্বার ও অস্থায়ী পাসওয়ার্ড যুক্ত একটি ইমেইল পাবেন।
  • আইডি নাম্বার ও অস্থায়ী পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করুন।
এভাবে আপনি ব্যাংকে না গিয়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রাকাব ই ব্যাংকিং সেবা করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ব্যাংকের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেই সাথে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

রাকাব e-KYC

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)-এ e-KYC চালু হওয়ার ফলে ব্যাংকিং সেবা সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এর ফলে রাকাব ব্যাংকিং সেবায় আরো একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। e-KYC মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক ঘরে বসে খুব তাড়াতাড়ি হিসাব খোলা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাকাব ই-ব্যাংকিং এ নিবন্ধন, ঘরে বসে দৈনন্দিন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

e-KYC এর ফলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রমের আঞ্চলিক প্রতিবন্ধকতা অনেকাংশে লোপ পেয়েছে। সেই সাথে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ব্যাংকের সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।

এর ফলে রাকাব ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে পেপারলেস ব্যাংকিং। যেখানে কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। এর সাথে যোগ হয়েছে রাকাব এর QR Code Based চেকবিহীন লেনদেন সেবা। এটি ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেমের নতুন মাইল ফলক।

রাকাব ই-ব্যাংকিং মোবাইল App এর iOS ভার্সন

রাকাব ই-ব্যাংকিং মোবাইল App এর iOS ভার্সন চালু হওয়ার কারণে এখন থেকে Android Phone ব্যবহারকারীদের মতো iPhone ব্যবহারকারীগণও রাকাব ই-ব্যাংকিং মোবাইল App এর সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

বর্তমানে রাকাব ই-ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকগণ দেশের যে কোন প্রান্ত হতে দৈনন্দিন ব্যাংকিং লেনদেনের পাশাপাশি ব্যাংক হিসাব খোলাসহ যাবতীয় সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে। রাকাব হতে গ্রাহকগণ বিকাশ, নগদ, রকেট উপায় ইত্যাদি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ফান্ড ট্রান্সফার, নেসকো, রাজশাহী ওয়াসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হচ্ছেন।

এছাড়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, টেলিটক, রবি ও এয়ারটেল এর মোবাইল রিচার্জ সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়াও ব্যাংকের লেনদেনের কোন স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হলে সেটি রাকাব ই ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে। রাকাব ই ব্যাংকিং আমাদের জীবনযাত্রার মানকে আরো বেশি সহজ ও উন্নত করেছে।

শেষ কথা

রাকাব হলো কৃষকদের সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যাংক। এ ব্যাংক বিনিয়োগ, সঞ্চয়, মুনাফা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, রপ্তানি, আঞ্চলিক শিল্পায়ন এবং জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নসহ যাবতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনারা উপরের আলোচনা থেকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর সেবাসমূহ সম্পর্কে আশা করা যায় কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।

প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন এবং আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে দয়া করে আপনি আপনার কাছের মানুষ ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url