ভিসা করতে যেসব কাগজপত্র লাগে - ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্ত
প্রিয় পাঠক আপনি কি ভিসা করতে চাচ্ছেন? কিন্তু আপনি জানেন না ভিসা করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন এবং ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্ত কি কি? তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়া আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে মেডিকেল ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই এসব তথ্য পাওয়ার জন্য সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
যখন কোন ব্যক্তি বিদেশে ভ্রমণ করতে বা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যেতে চাই তখন তার পাসপোর্ট ও ভিসার প্রয়োজন হয়। পাসপোর্ট অফিসের জন্য সে ওই দেশে থাকার অনুমতি পায়। অর্থাৎ ভিসা হল একটি অনুমতি পত্র যা একজন লোককে একটি দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে।
আপনি যদি ভিসা ছাড়া বিশ্বের কোন দেশে যান তাহলে আপনি ঐ দেশের অবৈধ নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন। যদি ওই দেশের সরকার আপনাকে ধরতে পারে তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তাই বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই পাসপোর্ট এর পাশাপাশি ভিসার প্রয়োজন রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি
পাসপোর্ট ও ভিসা একে অপরের সাথে গভীরভাবে জড়িত। এই আর্টিকেলে আমরা ভিসা করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন এবং ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।
ভিসা কিভাবে করতে হয়
আমরা অনেকেই জানিনা যে ভিসা কিভাবে করতে হয়। তবে এটি জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে ভিসা জিনিসটা আসলে কি। ভিসা হলো কোন একটি দেশে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি পত্র। পাসপোর্ট ছাড়া যেমন আপনি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না তেমনি ভিসা ছাড়াও আপনি বিদেশ যেতে পারবেন না। পাসপোর্ট ও ভিসা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত।
তাই যারা বিদেশে যেতে চান তাদের অবশ্যই পাসপোর্ট এর পাশাপাশি ভিসার প্রয়োজন হবে। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ভিসা কিভাবে করতে হয়। ভিসা বিভিন্ন মেয়াদের হয়ে থাকে। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে কোন কাজের জন্য কোন দেশে যাচ্ছেন তার উপর। দেশ ও কাজের ভিত্তিতে আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারবেন।
তবে যে কোন ব্যক্তি চাইলে এই আবেদন করতে পারবে না। এর জন্য কিছু শর্তাবলী ও যোগ্যতা প্রয়োজন। যেগুলো সে পূরণ করে ভিসার আবেদন করতে পারবে। ভিসা করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ভিসার ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। কেননা ভিসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নিচে ভিসার প্রকারভেদগুলো তুলে ধরা হলো-
- কাজের ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- মেডিকেল ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
- রিসার্চ ভিসা
- ট্রানজিট ভিসা
ভিসা করার জন্য আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনি নিজে ভিসার আবেদন করতে পারেন অথবা কোন এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে এজেন্সির সাহায্যে ভিসা করার জন্য আপনাকে উক্ত এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিসার কার্যক্রম শুরু হবে।
সেইসাথে এজেন্সিকে ভিসা মূল্য পরিশোধ করতে হবে। বিশেষ করে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ ছাড়া ভিসা সংগ্রহ করা যায় না। এছাড়াও আপনি নিজে নিজে অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের সরকারি ভিসা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তার জন্য আপনাকে গুগলে গিয়ে Bangladesh Visa লিখে সার্চ করলে www.visa.gov.bd নামের একটি ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। সেখানে প্রবেশ করে আপনি আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভিসা করতে কি কি লাগে
আমরা এতক্ষন ভিসা কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে জানলাম। এখন আমাদের জানতে হবে ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন। কেননা ভিসা তৈরির জন্য কিছু যোগ্যতা ও শর্তাবলী পূরণ করতে হয়। তাই আপনি ভিসা পাওয়ার যোগ্য কিনা তার জন্য প্রয়োজনে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। তাহলে চলুন ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
- কোন ব্যক্তি যদি ভিসা নিতে চান তবে অবশ্যই তার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং এই পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর পাসপোর্টে ন্যূনতম তিনটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদনপত্রে পাসপোর্ট নাম্বার ও নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদন পত্রটি পূরণ করার ৮ দিনের মধ্যেই আবেদন পত্রটি ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে।
- দূতাবাস কর্তৃক উল্লেখিত ছবির সাইজ অনুযায়ী সদ্য তোলা ছবি জমা দিতে হবে। যদি ছবির সাইজ লেখা থাকে তবে পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। দেশ ভেদে সংখ্যা দুই থেকে আটটি হতে পারে। ছবিতে উভয় কান দৃশ্যমান থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন এর জন্ম তারিখ অবশ্যই নির্ভুল ও একই হতে হবে।
- আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল থাকতে হবে।
- আবেদনকারী যদি পূর্ববর্তী কোনো পাসপোর্ট থেকে থাকে তবে তা মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আর যদি পূর্ববর্তী পাসপোর্ট কোনভাবে হারিয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে জিডি কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- আবেদনকারী কোন ধরনের কাজের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করবেন তার বিবরণ সঠিকভাবে দিতে হবে।
- বিজনেস ভিসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এর বাংলা এবং ইংরেজি অনুবাদের ফটোকপি, বিজনেস কার্ড এবং নোটারীকৃত কপির মূল কপি জমা দিতে হবে।
- স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রাপ্ত সনদের সত্যায়িত কপি অথবা কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।
- সকল কাগজপত্র দুই কপি করে জমা দিতে হবে (.১টি মূলকপি ও ১টি ফটোকপি)।
এই কাগজপত্র গুলো যদি কোন ব্যক্তির থেকে থাকে তাহলে সে চাইলেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ভিসা ভেদে অতিরিক্ত আরো কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনার উক্ত কাগজপত্র থেকে থাকে তাহলে আপনি কিসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
আমরা অনেকে ভ্রমণ করার জন্য বিদেশে যেয়ে থাকি। বিদেশি ভ্রমণের জন্য আমাদের ভিসার প্রয়োজন হয়। বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যে ভিসা করা হয় তাকে টুরিস্ট ভিসা বলে। টুরিস্ট ভিসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন। নিচে টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
- ভিসা আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
- আবেদনপত্রের যে জায়গায় স্বাক্ষর লিখা আছে ওই জায়গায় আবেদনকারীর স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড যেন সাদা হয়।
- আবেদনকারীর একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর পাসপোর্টে ন্যূনতম দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা ও ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
- ব্যাংকের লেনদেনের স্টেটমেন্ট বা পে স্লিপ প্রদান করতে হবে।
- একজন বাংলাদেশী নাগরিকের আমন্ত্রণপত্র তার বৈধ বাংলাদেশ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সহ হোটেল বুকিং নিশ্চিতকরণের আমন্ত্রণপত্র জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীকে ব্যক্তিগতভাবে আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফি প্রদান করতে হবে।
টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদনকারী সর্বোচ্চ ৩ মাস মেয়াদী ভিসা পেয়ে থাকেন। তবে বাংলাদেশের অধিবাসন ও পাসপোর্ট বিভাগ থেকে এর মেয়াদ আরো ১ মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে নেয়া যায়।
মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে
আমাদের অনেক সময় চিকিৎসার কাজে বিদেশে ভ্রমণ করতে হয়। আর বিদেশে ভ্রমণ করার জন্য ভিসার প্রয়োজন পড়ে। মেডিকেল ভিসা করতে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। যেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
- ভিসা আবেদন ফরমটি যথাযথ পূরণ করতে হবে।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্টে কমপক্ষে দুইটি ফাঁকা পৃষ্ঠা ও ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন এর জন্ম তারিখ অবশ্যই নির্ভুল ও একই হতে হবে।
- আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল থাকতে হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।
- যদি কোন পেশায় নিয়োজিত থাকেন তবে উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনওসি থাকতে হবে।
- যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশের ডাক্তারের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের কপি থাকতে হবে।
- বাংলাদেশে কোনো না কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন তার প্রমাণ দেখাতে হবে।
- আপনার সব মেডিকেল হিস্টোরি, শারীরিক অবস্থার বিবরণ ও বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে।
মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে সব ডকুমেন্ট যুক্ত করে আবেদন করতে হবে। সেই সাথে উক্ত ভিসার নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হবে।
ভিসা আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো কি
আপনি যদি বাংলাদেশ হেরে অন্য কোন দেশে ভ্রমণ করতে চান তবে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিসা করে নেওয়া। আপনার যদি পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকে তবে আপনি খুব সহজে ভিসা করে নিতে পারবেন। তবে এর আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো। ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শর্তগুলো নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট এর বৈধতা কমপক্ষে ছয় মাস রাখতে হবে।
- পাসপোর্ট এর নূন্যতম তিনটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- অবদানপত্রে পাসপোর্ট নাম্বার ও নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ এবং মেয়াদ শেষ সরকারের সঠিকভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
- আবেদনপত্রে অবশ্যই আবেদনকারীর স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।
- আবেদনকারী যদি পূর্ববর্তী কোনো পাসপোর্ট থেকে থাকে তবে তা মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আর যদি পূর্ববর্তী পাসপোর্ট কোনভাবে হারিয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে জিডি কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- আপনি কোন পেশায় নিয়োজিত সেটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত থাকেন তবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের এনওসি প্রদান করতে হবে।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ ও জন্ম নিবন্ধন এর জন্ম তারিখ অবশ্যই নির্ভুল ও একই হতে হবে।
- আপনার ভিসা আবেদন জমাদানকারী সেন্টার এবং টাকা জমাদানকারী সেন্টার এর নাম অবশ্যই এক হতে হবে।
- আবেদনপত্র পূরণ করার আট দিনের মধ্যে আবেদন পত্রটি ভিসা অফিসের জমা দিতে হবে।
- আবেদনপত্রে পূর্ববর্তী ভিসা ইস্যু করার বিবরণী কোন অবস্থাতেই খালি রাখা যাবে না।
- আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল থাকতে হবে।
ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
একটি ভিসা পেতে কতদিন লাগে? এই প্রশ্নটা আমরা অনেকেই করে থাকি। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে জানিনা যে ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে। আপনি যদি ভিসা আবেদন করতে চান বা করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে। তাহলে চলুন সে সম্পর্কে একটি ধারণা নেয়া যাক-
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে ভিসার ধরন ও কোন দেশের ভিসা করতে চাচ্ছেন তার উপর। মনে করুন আপনি ভারতে মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। আবার কেউ থাইল্যান্ডে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে তাদের দুজনকেই আবেদন করার পর ভিসা পেতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
আবার যদি কেউ কাজের উদ্দেশ্যে ইতালির ভিসার আবেদন করে থাকেন তবে তার দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। এমনিভাবে আপনি কোন দেশের জন্য ভিসার আবেদন করছেন এবং কি ধরনের ভিসার আবেদন করছেন তার ওপর নির্ভর করে ভিসা পেতে আপনার কতদিন সময় লাগবে। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
ভিসা করতে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তাই আপনাকে অবশ্যই ভিসা করার পূর্বে আপনার ভিসার ধরনের উপর ভিত্তি করে কি ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কেননা ভিসা করতে যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সেসব কাগজপত্র ছাড়া আপনি ভিসা করতে পারবেন না। আর ভিসা ছাড়া আপনি অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেল পরে যদি আপনি উপকৃত হন তবে অবশ্যই তা আপনার আত্মীয় স্বজনের শেয়ার করুন এবং এই আর্টিকেল আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। এই আর্টিকেল পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url