অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা - পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনি কি প্রতিনিয়ত অ্যালোভেরা খাচ্ছেন? কিন্তু আপনি এর উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা - পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। অ্যালোভেরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। এইসব উপকার সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
অ্যালোভেরা হলো একটি বহুবর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। প্রাচীনকাল থেকেই এটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরার উপকারী গুণের কথা কারো অজানা নয়। একে ঘৃতকুমারী নামেও ডাকা হয়। এটি দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মতো। এ গাছের পাতা ও শাঁস ব্যবহার করা হয়।
অ্যালোভেরার পাতা অনেক মোটা হয় এবং পাতা দুই ধরে কাঁটা থাকে। এর পাতায় ২০ রকমের খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। মানব শরীরের জন্য যে ২২ টি অ্যামিনো অ্যাসিড প্রয়োজন হয় তার সবকয়টি এই অ্যালোভেরার মধ্যে বিদ্যমান থাকে।
এছাড়াও অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, বি১২, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই রয়েছে। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও অ্যালোভেরা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই চলুন দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম
আমাদের বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতে যে কয়েকটি কমন গাছ দেখতে পাওয়া যায় তার মধ্যে অ্যালোভেরা একটি। অনেকেই এটি শখের বসে আবার অনেকে এর উপকারিতার কথা চিন্তা করে এই গাছ লাগিয়ে থাকেন। অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে। তাই এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আপনি অ্যালোভেরা বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। আপনি চাইলে কে সালাদের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া অনেকে অ্যালোভেরা জুস করে খেতে পছন্দ করে। এভাবে অ্যালোভেরা খেলেও এর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। তাছাড়াও আপনি যদি চান তবে সরাসরি গাছ থেকে তুলে খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন।
তবে এর স্বাদ কিছুটা তিতা হওয়ার কারণে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হলো এটি জুস করে খাওয়া। তবে আপনি যেমন করে খান না কেন অ্যালোভেরা থেকে আপনি সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি অ্যালোভেরা উষ্ণ গরম পানির সাথে, মধুর সাথে বা লেবুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা আগেই অ্যালোভেরা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনেছি। সেই সাথে আমরা সকলেই জানি অ্যালোভেরা আমাদের বিভিন্ন উপকারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পর্বে আমরা অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক-
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে
অ্যালোভেরা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরা পাকিস্থলী ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত গ্যাস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরা জেল এবং আখের গুড়ের শরবত খেলে উপকার পাওয়া যায়। অ্যালোভেরা ডায়রিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
ওজন কমাতে
অ্যালোভেরার জুস ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। অ্যালোভেরার পুষ্টি উপাদান কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায় শরীরের চর্বি গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্রনিক প্রদাহের কারণ আমাদের শরীরে যে মেদ জমে তা অ্যালোভেরা জুসের মধ্যে বিদ্যমান অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান এই প্রদাহকে রোধ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর অ্যালোভেরার এই গুণের কারণে পুষ্টিবিদগণ একে ডায়েট লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
হার্ট ভালো রাখতে
অ্যালোভেরা জুস হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই সাথে অ্যালোভেরা জুস ব্লাড প্রেসার কমাতে কাজ করে থাকে এবং রক্তে অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার ফলে শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের হয়ে যায় এবং রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায়। এতে করে দীর্ঘদিন হার্ট ভালো থাকে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অ্যালোভেরা ঔষধের মত কাজ করে। অ্যালোভেরা জুস রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সাথে এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যেসব ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তারা যদি প্রতিদিন একবার করে খাওয়ার আগে অথবা পরে অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন তবে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালোভেরা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এলোভেরা বিদ্যমান অ্যালো ইমোডিন উপাদান স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে থাকে।
দাঁতের যত্নে
অ্যালোভেরা দাঁতের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। সেই সাথে দাঁতের কোথাও কোন ক্ষত সৃষ্টি হলে তা অ্যালোভেরার সাহায্যে নিরাময় করা সম্ভব। এছাড়াও এটি দাঁত ও মাড়ির ব্যথা ভালো করতে কাজ করে থাকে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে
আমাদের অনেকের মুখে দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়। এই দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অ্যালোভেরা কাজ করে থাকে। অ্যালোভেরাতে অবস্থিত ভিটামিন সি মুখের ভেতরের জীবাণু মেরে ফেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া প্রতিরোধ করে। সেই সাথে অ্যালোভেরা জেলকে মাউথ ওয়াশের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মুখের ঘা ভালো করতে
মুখের ঘা ভালো করতে অ্যালোভেরা জেল সাহায্য করে থাকে। মুখের যে স্থানে ঘা রয়েছে সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখলে মুখের ঘা ভালো হয়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
অ্যালোভেরার প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান বিদ্যমান থাকার কারণে এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। এতে করে শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকে।
শরীরকে চাঙ্গা করতে
অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকার কারণে এটি শরীরের দ্রুত চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। দেহের দুর্বলতা দূর করে। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরা খাওয়ার ফলে দেহ সতেজ ও সুন্দর হবে।
মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে
অ্যালোভেরা মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। বাজারে এমন অনেক অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহারে শরীরের যে কোন স্থানের ব্যথা দূর হয়।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি চুলের জন্যও উপকারী। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে মাথার খুশকি দূর হয়। ক্যাস্টর অয়েল এবং অ্যালোভেরা জেল ২ঃ১ অনুপাতে মিশিয়ে মাথার ত্বকে রাতে ব্যবহার করতে হবে এবং সারারাত রেখে সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। অ্যালোভেরা কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার চুল হবে খুস্কি মুক্ত এবং সিল্কি।
চুল পড়া রোধে অ্যালোভেরার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও অ্যালোভেরা জেলের সাথে সামান্য মধু ও এক চামচ টক দই মিশে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে চুল হবে ঝলমলে ও মসৃণ। মাথার চুল পড়া রোধ করতে অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। পরে দুই ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত এটি করার ফলে একদিকে যেমন চুল পড়া বন্ধ হবে তেমনি নতুন চুল গজাবে। চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর পরিবর্তে অ্যালোভেরা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে চুল হবে সতেজ ও প্রাণবন্ত।
ঠোঁটের যত্নে অ্যালোভেরা
যাদের ঠোঁটের শুষ্ক ভাব আছে তারা ঠোঁট নরম আর উজ্জ্বল করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের কালো দাগ উঠে যায়। তাই যাদের ঠোঁটে কালো দাগ রয়েছে তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অ্যালোভেরা জেল ত্বকের চুলকানির দাগ দূর করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা
মধু এবং অ্যালোভেরা
একটি মাঝারি সাইজের বাটিতে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি আপনার পুরো মুখে ভালো করে লাগিয়ে আধা ঘন্টা শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। জেলটি সরাসরি পাতা থেকে অথবা বাজারে যে সব জেল কিনতে পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে পাতা থেকে নেওয়া জেলটা ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। কারণ এটি ভেজাল মুক্ত ও মেডিসিন মুক্ত হয়।
অ্যালোভেরা এবং গ্লিসারিন
অ্যালোভেরা এবং গ্লিসারিন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গ্লিসারিন মৃতকোষ তুলে ত্বককে সতেজ করে। ২ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে তিন চার ফোঁটা গ্লিসারিন ভালো করে মিশিয়ে সেটি ভালোভাবে ত্বকে লাগান এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
আলমন্ড অয়েল এবং অ্যালোভেরা
২-৩ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এর সাথে কয়েক ফোঁটা আলমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে পুরো মুখটি পরিষ্কার করে ফেলুন । এটি সপ্তাহে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করুন। আপনি নিজেই পার্থক্যটি বুঝতে পারবেন।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের অসুবিধা
অ্যালোভেরা খাওয়া সব সময় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিন্তু যখন প্রাকৃতিক উপায়ে এর ভেতরে রসালো পদার্থটি বের করা হয় তখন এর সঙ্গে ভুলবশত অ্যালোলেটেক্স বের হতে পারে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটি হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। অ্যালোভেরা জেল অধিক পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
অ্যালোভেরার জেল বেশি খেলে যেমন এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে তেমন কিডনির ক্ষতি সাধন করে থাকে। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের অ্যালোভেরার রস খাওয়া উচিত নয়। কেননা এতে তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটার ভয় থাকে। এছাড়াও সামান্য তিতা হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার সময় অনেকের বমি বমি ভাব হতে পারে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য এলোভেরা
সুস্বাস্থ্যের জন্য অ্যালোভেরা গুরুত্ব অপরিসীম। অ্যালোভেরার রস দূষিত রক্ত শরীর থেকে বের করে দেয়। অ্যালোভেরা ব্যথা ও ক্ষত নিরাময়ের সাহায্য করে থাকে। অ্যালোভেরার জুস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ওজন কমাতে অ্যালোভেরার জুস সাহায্য করে থাকে।
নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল খাওয়ার কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বাইরে বের হয়ে যায়। এতে করে শরীর ও স্বাস্থ্য উভয়ে ভালো থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে অ্যালোভেরা জেল ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে এটি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
কোন উপকারী জিনিসও যদি নিয়মমাফিক গ্রহণ না করে এলোমেলো এবং অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা হয় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের অ্যালোভেরা খাওয়ার প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটি নিয়মিত আমাদের পরিমাণ মাফিক গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কখনো গ্রহণ করা উচিত নয়। তাহলেই এর থেকে উপকার পাওয়া সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনি এটি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হতে পারে।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url