OrdinaryITPostAd

কিভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি করতে পারি তার কিছু প্রয়োজনীয় কিছু টিপস জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ শেষ করতে পারছেন না। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সংসারে কাজের কোন শেষ নেই। এই কাজগুলো খুব সহজে কিভাবে করা যায় তা আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দন কাজকে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি করতে পারি সেই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
দৈনন্দিন কাজকে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি করার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস
আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষ করে গৃহিণীদের অনেক উপকারে আসবে। সকালের নাস্তা বানানো থেকে শুরু করে রাতের খাবার সবকিছুই করতে হয় একজন গৃহিণীকে। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে তার সংসারের কাজ করতে। তাই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কিভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি করতে পারি তার কিছু প্রয়োজনীয় কিছু টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

আমরা দিনের বেশিরভাগ সময় কোন না কোন কাজ করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি কিভাবে আমরা সেই কাজগুলো খুব সহজে করতে পারি সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যেটা আপনার দৈনন্দিন কাজে খুব সাহায্য করবে।

অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে আমাদের অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। এই ঝামেলার সম্মুখীন যাতে হতে না হয় তার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা। রান্নাঘরের এমন অনেকগুলো কাজ আছে যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। এই না জানার কারণে আমাদের রান্না ঘরের কাজ করতে অনেকটা সময় লেগে যায়।

সংসারের কাজ করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস জানা থাকলে সংসারের কাজগুলো সহজেই করা যায়। আজকে আপনাদের সেই টিপসগুলোই জানাবো যাতে করে সংসারের কাজ করতে কোন ঝামেলা না হয়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি করতে পারি তার কিছু প্রয়োজনীয় কিছু টিপস সম্পর্কে ।

দৈনন্দিন কাজকে সহজ করার প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

আমরা বিভিন্ন ভাই অবলম্বন করে আমাদের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করতে পারি। বিভিন্ন ধরনের ট্রিকস কাজে লাগালে একদিকে যেমন আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায় অন্যদিকে সেই কাজে অনেক কম সময় ব্যয় হয়। এই পর্বে দৈনন্দিন কাজকে সহজ করার প্রয়োজনীয় কিছু টিপস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
  • রান্নাঘরের দুর্গন্ধ ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রান্না ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লেবু কেটে ছিটিয়ে রাখুন। এতে করে পোকামাকড় এবং দুর্গন্ধ মুক্ত হবে রান্নাঘর।
  • ঘরের আসবাবপত্র পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতি সপ্তাহে একদিন হলেও লেবুর রসের সাথে অলিভ অয়েল মিস করে মুছুন। দেখবেন ঘরের আসবাবপত্রগুলো নতুনের মত হয়ে গেছে।
  • রান্না করতে গিয়ে অথবা যে কোন কাজে সময় হাত পা পুড়ে যায় তবে সে পোড়া স্থানে পাকা কলা ফেটিয়ে লাগিয়ে দিন। এতে করে পোড়া স্থানের জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
  • সবজি কাটার জন্য কাঠের চপিং বেড ব্যবহার করুন। কেননা প্লাস্টিকের চপিং বেড ব্যবহার করার কারণে আপনার খাবারের সঙ্গে চপিং বেডের প্লাস্টিক উঠে খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। সেজন্য কাঠের চপিং বেড ব্যবহার করুন। প্লাস্টিকের নয়।
  • লেবুর রস আইস টিউবের মাধ্যমে ব্যবহার করুন। এবং যখন দরকার প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করুন।
  • আমরা অনেকেই লেবু খাওয়ার পর লেবুর খোসা ফেলে দিই। এই লেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে কাপড় কাচার সময় খোশাগুলো কুচিকুচি করে কেটে কাপড়ের সঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পরে যদি কাপড় কাচির তবে কাপড়ের রং হবে উজ্জ্বল ও পাউডার ও কম লাগবে।
  • পেঁয়াজ কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এতে করে পেঁয়াজের ঝাঁজ চলে যাবে।
  • ডাল রান্না করার সময় ডালে একটু বেশি করে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ও শুকনো লঙ্কা দিয়ে নাড়তে থাকুন কিছুক্ষণ পরে নামিয়ে নিন এতে করে ডালের সাদ দ্বিগুণ হবে।
  • তরকারির ঝোল কি ঘন করতে চান। তবে তরকারির ভেতরের সেদ্ধ আলু দিয়ে রান্না করুন দেখবেন তরকারির ঝোল ঘন হয়ে যাবে।
  • মাছ ভাজার সময় তেল সিটকে আসলে তেলের ওপর একটু লবণ ছিটিয়ে দিন তাহলে আর তেলটি ছিটকে আসবে না।
  • হাতে যদি হলুদ গুঁড়ার দাগ লাগে তবে দাগ পরিষ্কার করতে সেদ্ধ আলু হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন এতে করে আপনার হাতের হলুদের গুঁড়ার দাগ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
  • অনেক সময় আমরা দেখি লবণ ভেজা ভেজা হয়ে যায়। এই ভেজা ভেজা এড়াতে লবণের পাত্রে কয়েকটি চাল রেখে দিন এতে করে লবণ আর ভেজা ভেজা হবে না।
  • তরকারিতে লবণ বেশি হলে কয়েক টুকরো আলু কেটে দিন দেখবেন লবণ কমে যাবে। এবং যদি হলুদ বেশি হয় তবে কয়েক পিস পুঁইশাকের পাতা তরকারির ভিতরে কেটে দিন। দেখবেন হলুদের গন্ধটা চলে যাবে এবং তরকারি তিতা ভাবটাও চলে যাবে।
  • তরকারিতে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঝাল হয় তবে আপনি একটু বেশি লবণ দিন। এতেও যদি না হয় তবে টক দই অথবা গুঁড়ো দুধ দিন। এতে করে তরকারিতে ঝাল কমে যাবে।
  • খাবার প্লেট থেকে হলুদের দাগ না উঠলে সেটাকে লেবুর খোসা দিয়ে ভালো করে বেজে নিন দেখবেন প্লেট হবে নতুনের মত উজ্জ্বল।
  • আপনাদের ভাত রান্না করতে গিয়ে যদি ভাতের ফ্যান উঠলে চুলা নষ্ট হয়ে যায়। তবে ভাত উঠানোর আগে একটা চামচ সয়াবিন তেল ভাতের ভিতর ঢেলে দিন। এতে করে ফ্যান আর উতলিয়ে চুলা নষ্ট হবে না এবং ভাত হবে ঝরঝরে।
  • ছোলা সিদ্ধ করার পূর্বে যদি আমরা ছোলার ভিতরে এক চিমটে খাবার সোডা দিই তবে ছোলা খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যাবে।
  • পোলাও রান্না করার আগে পোলাওয়ের চাল ধুয়ে আধাঘন্টা রেখে পানি ঝরতে দিন এবং তারপরে রান্না করুন দেখবেন পোলাও হবে ঝরঝরে। আপনারা যদি চান পোলাওকে সাদা ও নরম করতে তবে এর ভিতর গুড়া দুধ দিন। এতে করে আপনার পোলাও হবে ধবধবে সাদা ও নরম।
  • বেসিন বা পানির ট্যাবের ময়লা দূর করার জন্য ভিনেগারের সাথে অল্প একটু টুথপেস্ট নিয়ে ময়লাযুক্ত স্থানে ব্রাশের সাহায্য ঘসতে থাকুন। এতে করে ময়লাগুলো খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাবে।
  • আপনি কি সবজি রান্নার সময় সবজির রং ঠিক থাকে না। তবে সবজি রান্না করার সময় এক চা চামচ চিনি দিন এতে করে সবজির রং ঠিক থাকবে।
  • আপনার ঘরে কি ডালে চালে পোকা ধরেছে। তবে কয়েক টুকরো নিমপাতা সেগুলোর মধ্যে রাখুন এতে করে ডালে চালে পোকা ধরবে না।
  • আমাদের অনেকেরই ফ্রাইপ্যান অথবা কড়াইয়ের কালো দাগ ওঠে না। এ কালো দাগ তোলার জন্য আপনি ফুটন্ত পানির ভিতরে কয়েকটা পেঁয়াজ কেটে কুচি কুচি করে দিয়ে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন এবং ওই ফুটন্ত পানি দিয়ে সেটাকে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সেটা হবে নতুনের মত উজ্জ্বল।
  • আপনি কি কাপড় ধোয়ার সময় এক কাপড়ের রং আরো কাপড়ে লেগে যায়। তবে কাপড় ধোয়ার পূর্বে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে দিন। এতে করে এক কাপড়ের রং আর এক কাপড়ে লাগবে না।
  • আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন চিনিতে পিঁপড়া লাগলে কি করব। আপনাদের ঘরে যদি চিনিতে পিপড়া লাগে তবে চিনির ভেতরে কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন। এতে করে চিনির ভেতর পিঁপড়া আর লাগবেনা।
  • আমাদের অনেকেই মোমবাতি জ্বালালে কিছুক্ষণ পরেই সেটা ফুরিয়ে যায়। আমরা যদি মোমবাতি জ্বালানোর পূর্বে সেটাকে ফ্রিজে রেখে দিই তারপর জ্বালায় তবে সেটা অনেকক্ষণ ধরে জ্বলবে।
  • রান্না করতে গিয়ে অথবা যে কোন কাজে সময় হাত পা পুড়ে যায় তবে সে পোড়া স্থানে পাকা কলা ফেটিয়ে লাগিয়ে দিন। এতে করে পোড়া স্থানের জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
  • আমাদের অনেকেরই বর্ষাকালে দেয়াশালের কাঠি জ্বলে না। আমরা যদি দেয়াশালাইয়ের ভিতর কয়েকটা চাল রেখে দিই তবে সেটা নরম হবে না এবং খুব তাড়াতাড়ি জ্বলবে।
  • আপনি কি চাল ধোয়ার পর চালের পানি ফেলে দেন। আজ থেকে আর চালের পানি ফেলবেন না। কারণ সে চালের পানি দিয়ে যদি স্টিলের অথবা কাঁচের জিনিস ভিজিয়ে রেখে পরে ধোয়া হয় তবে সেটা হবে নতুনের মত উজ্জ্বল।

লেখকের মন্তব্যঃ কিভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি করতে পারি তার কিছু প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন সংসারে দৈনন্দিন কাজকে সহজ করতে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস সম্পর্কে। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনার সংসারের দৈনন্দিন কাজকে সহজ করতে এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এ আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তা আপনার পরিবারের মাঝে শেয়ার করুন। এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url