ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চুলে কালার করা যাবে কি - চুলে কালার করলে কি ওযু ও নামাজ হবে
প্রিয় পাঠক, আপনি কি চুলে কালার করতে চাচ্ছেন? কিন্তু আপনি জানেন না এটি চুলের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর। আবার চুলে কালার করা সম্পর্কে ইসলামী শরীয়ত কি বলে তাও জানেন না? তাহলে কি আপনার জন্য। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি চুলে কালার করার সম্পর্কে ইসলামী শরীয়ত কি বলে এবং চুলে কালার করা চুলের জন্য ক্ষতি করে কিনা তা জানতে পারবেন। তাই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
এছাড়াও এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি চুলে কালার করার উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেভাবে কালার করলে চুলের কোন ক্ষতি হবে না। তাই এ সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভূমিকা
চুল মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। একজন মানুষের চুল যত সুন্দর সে মানুষটি তত বেশি সুন্দর। যেহেতু চুল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাই এর প্রতি আলাদা যত্ন নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য চুলে কালার করে থাকেন। এর ফলে তাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় সুন্দর লাগে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা
তবে অনেক ক্ষেত্রে চুলে কালার করার ফলে চুলের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা চুলে কালার করার ব্যাপারে ইসলামী শরীয়ত কি বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
চুল কালার করার উপায় - ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চুলে কালার করা যাবে কি
আপনারা অনেকেই চুল কালার করার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই এখন চুল কালার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। চুলে কালার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য করে থাকি। চুল কালার করার উপায় আছে দুই ধরনের।
- পার্লারে বা হেয়ার সেলুনে গিয়ে চুল কালার করা।
- প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ঘরে চুল কালার করা।
চুল পার্লারে বা সেলুনে যেখানেই কালার করা হোক না কেন অবশ্যই চুলের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পার্লারে চুল কালার করলে দেখা যায় চুলে নানারকম সমস্যা। তাই চুল কালার করার পর চুলের যত্ন করতে হবে অনেক বেশি। এবার চলুন কালার করার পর চুলের যত্ন কিভাবে করব তা জেনে নিই।
- সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন পর পর ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করতে হবে।
- সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন পর পর মাথায় যে কোন ভালো মানের তেল পুরো মাথায় ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে।
- চুল সফট, সিল্কি রাখতে ভালো মানের কন্ডিশন ব্যবহার করতে হবে।
- চুল ভালো রাখার জন্য ভালো মানের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
- চুল ভালো রাখার জন্য ভালো মানের সিরাম ব্যবহার করতে হবে।
চুল কালার করার উপায় হিসেবে আপনি যাই করুন না কেন কিন্তু চুল ভালো রাখার জন্য অবশ্যই উপরে নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। কারণ আমরা যখন চুল কালার করি এতে চুল অনেকটা ড্যামেজ হয়ে যায়। সুতরাং কালার করা চুল আরো বেশি যত্ন করতে হবে। নয়তো চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা, খুশকি, চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চুল কালার করার নিয়ম - ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চুলে কালার করা যাবে কি
যারা চুল কালার করার নিয়ম সঠিকভাবে জানেন না এখন আমরা চুল কালার করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা চুলে বিভিন্ন কারণে কালার করে থাকি। কেউ চুলে কালার করে থাকে চুলকে আরো বেশি সুন্দর করে তোলার জন্য, চেহারার লাবণ্য ফুটিয়ে তোলার জন্য। আবার কেউ চুলে কালার করে থাকে পাকা চুল বা চুলের সমস্যা ঢাকার জন্য।
আরো পড়ুনঃ রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম
চুল কালার করার জন্য অনেক নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনে চুল কালার করতে হবে না হলে চুলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে। চুল কালার করার নিয়ম রয়েছে অনেক আমরা যারা ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে কালার করি বা দোকানে চুল কালার করার বিভিন্ন পণ্য কিনে এনে চুল কালার করি তারা সঠিকভাবে চুল কালার করার নিয়ম সম্পর্কে তেমন জানিনা।
তাই এখন চুল কালার করার নিয়ম গুলো বলবো। চুলে যে কালার করবেন তা আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। এরপর চুলের ধরন বুঝে পছন্দ মত সেড বাছাই করতে হবে। চুল কালার করার আগে সম্পূর্ণ চুল আগা থেকে গোড়া অব্দি ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
শ্যাম্পু করার পর ভালোভাবে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। এবার আপনি আপনার পছন্দমত কালার নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করুন। কিভাবে মিক্স করতে হবে তার নিয়ম কালার করার প্যাকেটের গায়ে দেয়া থাকবে। এবার কিভাবে আমরা চুল কালার করবো তা জেনে নেই।
- প্রথমে হাতে গ্লাভস পড়ে নিতে হবে এরপর গলা, ঘাড় ভালোভাবে ঢেকে নিতে হবে যাতে করে রং বা কালার অন্য কোথাও না লাগে।
- এবার চুলকে ভাগ ভাগ করে অল্প অল্প করে চুলে কালার করা শুরু করতে হবে চাইলে ব্রাশ দিয়ে ও রং করা যাবে।
- কালার করার পর দেখতে হবে চুলের সব জায়গায় কালার পৌঁছেছে কিনা। কালার করা হয়ে গেলে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
- কিছুক্ষণ রাখার পর ভালোভাবে সম্পূর্ণ চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। ধুয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে কোথাও কোন কালার আছে কিনা যদি কালার থেকে থাকে তাহলে পুনরায় ভালোভাবে ধুতে হবে। তা না হলে চুলের মধ্যে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- সবশেষে ভালো একটি কন্ডিশনার চুলে দিতে হবে। এর ফলে চুল দেখতে অনেক স্মুথ সফট ও সিল্কি দেখতে লাগবে।
কালার করা চুলের যত্ন - ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চুলে কালার করা যাবে কি
চুল দীর্ঘদিন ধরে ঠিক মত যত্ন না নিলে চুল রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে পড়ে। আর তা যদি হয়ে থাকে কালার করা চুল তাহলে তো চুল একেবারেই ড্যামেজ হয়ে যায়। কালার করা চুলের যত্ন নিতে হবে আরও বেশি। তা না হলে চুলে খুশকি, চুলের আগা ফাটা, চুল রুক্ষ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিবে।
আরো পড়ুনঃ মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা নিজেদের ব্যস্ততার কারণে কালার করা চুলের যত্ন নেন না বা অনেকে কালার করা চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয় তার সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেনা। তাই এখন আমরা কালার করা চুলের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
- চুল কালার করার আগে থেকে অন্য কোন ক্যামিকেল ট্রিটমেন্ট করা যাবে না। যদি করতে হয় তাহলে চুল কালার করার পরে করতে হবে।
- হোমমেড বা ঘরোয়া মাস্ক বানিয়ে চুলে দিয়ে চুলকে কিছুটা নরম করে নিতে হবে। এতে চুলে কালার ভালো বসবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
- চুল ভালো রাখার জন্য নিয়মিত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন পর পর ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
- নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করতে হবে কিন্তু চুল কালার করার দুই থেকে তিন দিন পর চুলে শ্যাম্পু করা ভালো এতে করে চুলের কালারটা ভালোভাবে বসবে।
- নিয়মিত চুলে তেল দিতে হবে। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করার জন্য চুলে তেল দিতে হবে।
- চুলের ধরন বুঝে ভালো মানের একটি সিরাম ব্যবহার করতে হবে।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চুল কালার করার পর থেকে থেকে নিয়মিত ভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে। তা না হলে চুল ড্যামেজ হয়ে যাওয়া বা চুল পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে।
চুলে কালার করার ক্ষতিকর দিকগুলো
আমরা চুলকে বিভিন্ন উপায়ে সাজাতে, চেহারার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য মূলত চুলের রং বা কালার করে থাকি। চুল কালার করার ক্ষতিও রয়েছে। তাই এখন আমরা আলোচনা করব চুল কালার করার ক্ষতি নিয়ে। চুল কালার করলে চুলে নানা রকম সমস্যা দেখা যায় যেমনঃ
- চুল ঝরে পড়া
- চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
- ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি
- ত্বকে চুলকানি
- ত্বক জ্বালাপোড়া করা
- ত্বকে র্যাশ বের হওয়া
- ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন
- চুলের আগা ফাটা
- মাথার ত্বকে খুশকি
- চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া
- চুলের সঠিক পিএইচ এর মান নষ্ট হয়ে যাওয়া
- বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি
চুল কালার করলে চুল যেমন সুন্দর দেখতে লাগে তার থেকে বেশি আরো চুলকে ক্ষতি করে। কালার করার ক্ষতি রয়েছে অনেক। চুল কালার করলে আমাদের ত্বকেরও অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। চলুন এখন ত্বকে চুল কালার করার ক্ষতি গুলো জেনে নিই।
ক্যান্সারঃ আমরা সবাই ক্যান্সার রোগটি সম্পর্কে কমবেশি জানি। এটি একটি মরণ ব্যাধি রোগ। বিভিন্ন কারণেই মানব শরীরে ক্যান্সার হয়ে থাকে। আমরা আমাদের চুল রং বা কালার করার জন্য যে কালার ব্যবহার করে থাকি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল দেয়া থাকে। যা আমাদের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে চুল কালার করলে ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ আমরা যে কালার ব্যবহার করি চুলে তা আমাদের মাথার ত্বকের ভিতরে চলে যায়। ফলে আমাদের নানারকম অসুখ-বিসুখ হয়।
এলার্জিঃ এলার্জি রোগটি খুবই অস্বস্তিকর। চুল কালার করার রাসায়নিক উপাদান হলো প্যারাফিনাইলেনে ডিয়ামিন। চুল কালার করার প্রধান রাসায়নিক উপাদান এটি। এর ফলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে ত্বক চুলকায়, ত্বকে রেশ উঠে।
চোখের ক্ষতিঃ চুল কালার করার উপাদানটি একপ্রকার রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি। যদি কোন ভাবে চুল কালার করার সময় এই কালার চোখে যায় তাহলে আমাদের চোখকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করে। চোখে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
ত্বকের সমস্যাঃ কেরাটিনাইজেড প্রোটিন দিয়ে ত্বক তৈরি হয়। আমরা যখন চুল কালার করি তা আমাদের ত্বকের সাথে মিশে যায় ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের পিএইচ এর মান নষ্ট করে দেয়।
চুল কালার করলে কি গুনাহ হয় - ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চুলে কালার করা যাবে কি
নারীরা চুলে কালার করে থাকে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। অনেকেই চুল কালার করে থাকে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। তবে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চুলে কালার করা যাবে কি তা আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে জানিনা। তাই এখন আমরা ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চুলে কালার করা যাবে কি তা নিয়ে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
চুল কালার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্ত রয়েছে ইসলামে। চুলে যে কোন কালার ব্যবহার করা জায়েজ রয়েছে যেমন : সোনালী, বাদামি, লাল, বেগুনি ইত্যাদি আরো নানা কালার। তবে ইসলাম স্পষ্ট বলা রয়েছে কালো কালার বা কলপ এ জাতীয় রং ব্যবহার করা জায়েজ নেই। এর অর্থ চুলে কালো কালার করা হারাম।
তবে চুল কালার করার কিছু নিয়ম রয়েছে। যদি কোন নারীকে চুল কালার করতেই হয় তবে সেই নিয়ম মেনে চুল কালার করতে হবে অন্যথায় এটি হারাম হবে বা জায়েজ নয়।
- কাউকে অনুসরণ করে বা কারো মত সাজার জন্য যদি কেউ কালার করে থাকে বা চুলের ডিজাইন করে থাকে তবে সেটি হারাম।
- পরপুরুষকে দেখানোর জন্য কালার করা হারাম।
- অন্য ধর্মের কারো সাথে মিল রেখে চুল কালার করা যাবে না।
উপরোক্ত কারণে চুল কালার করার জায়েজ নয়। তবে কেউ যদি নিজের স্বামী দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চুলের বিভিন্ন ধরনের কালার করে থাকে (কালো) ব্যতীত তবে সেটি জায়েজ অন্যথায় এটি হারাম হবে।
চুলে কালার করলে কি ওযু ও নামাজ হবে
জি হ্যাঁ, চুলে কালার করলে ওযু ও নামাজ হয়ে যাবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা দাড়ি ও চুলকে সাদা রেখোনা। অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সে যাদের চুল ও দাড়ি সাদা হয়ে যায় তাদের চুল ও দাড়ি কালার করতে বলেছেন। তবে তিনি কালো কালার করতে নিষেধ করেছেন।
কেননা কালো কালার করার ফলে বয়স লুকানো হয়ে থাকে। যা একটি প্রতারণা। আর নিশ্চয়ই প্রতারণা করা এক ধরনের অপরাধ। এতে গুনাহ হয়। কালো ব্যতীত অন্য যে কোন কালার চুল ও দাড়িতে করলে এতে দোষের কিছু নেই। এটি করে ওযু ও নামাজ দুটিই করা যাবে।
চুলে কালো কালার করার শাস্তি কি
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবুবকর (রাঃ)-এর পিতার সাদা চুল ও দাড়ি দেখে বললেন আপনি কেন এটাকে পরিবর্তন করছেন না। অর্থাৎ তিনি চুল ও দাড়ির সাধারণ পরিবর্তন করার কথা বলেছেন। সেই সাথে তিনি সতর্ক করে বলেছেন কালো রং থেকে বিরত থাকবে। অর্থাৎ কালো রং ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
তবে যারা চুল ও দাড়িতে কালো রং ব্যবহার করে তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি। এ প্রসঙ্গে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কিয়ামতের পূর্বে এমন একদল আসবে যারা তাদের চুলে কালো কালার করবে। ফলে তারা জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। কিন্তু জান্নাতের সুঘ্রাণ ১০০০ বছরের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়।
আরেক জায়গায় বর্ণনা রয়েছে যারা সাদা চুল ও দাড়িতে কালো কালার ব্যবহার করবে আল্লাহ তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। এ থেকে বোঝা যায় চুলে কালো কালার ব্যবহার করার শাস্তি খুবই ভয়াবহ। এ থেকে আমাদের অবশ্যই বেঁচে থাকা উচিত। চুলে কালো কালার ব্যতীত অন্য যেকোনো কালার করার বৈধতা রয়েছে।
লেখক এর মন্তব্য
আমরা চুলে এমন ভাবে কালার করবো যেন সেটা আমাদেরকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে আমরা চুলে কখনোই কালো কালার করবো না। মহিলারা চুলে কালার করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কেননা চুলে কালার করলে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। আর চুলছাড়া একজন নারীকে সুন্দর দেখায় না।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্ট বক্সে জানান। এরকম আরো ইনফরমেটিভ আর্টিকেল পড়তে আমার এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url