OrdinaryITPostAd

করোসল ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং করোসল ফলের পুষ্টিগুন

সম্মানিত পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। করোসল ফল অনেকের কাছে ক্যান্সার প্রতিরোধী ফল হিসেবে পরিচিত। আমাদের বাংলাদেশে এটি অপরিচিত ফল। তবে বর্তমানে করোসল ফলের বেশ ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই আজকের আর্টিকেলে করোসল ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং করোসল ফলের পুষ্টিগুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
করোসল ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও এই আর্টিকেলের করোসল ফল সম্পর্কে আরো অনেক কিছু আলোচনা করা হবে। আপনি যদি করোসল ফল সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

এক গবেষোনায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোসল ফলের মধ্যে এতটাই গুণ রয়েছে যে, এই ফল নিয়মিত খেতে পারলে ক্যান্সার রোগীর কোনো থেরাপির প্রয়োজন পড়বে না। এই ফল খেলে আমাদের শরীরও বেশ চাঙ্গা থাকে এবং দুর্বল ভাব কখনই আসে না। ১৯৭৬ সালে করোসল ফলের ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ প্রথম সন্ধান পাওয়া যায়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য করোসল গাছ বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের নীলফামারীতে ২০১৫ সালে এই বিশেষ ঔষধি গুণসম্পন্ন ফলটির প্রথম চাষ শুরু করেন। তিনি মোটামুটি দুই একর জমিতে তাদের স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সাহায্যে বেশ ভালো সাফল্যও লাভ অর্জন করেন। এই ফলটিকে ক্যান্সারের প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি বা ক্যান্সার প্রতিরোধী বলা হয়।

আমাদের মধ্যে হয়তো এমন অনেকেই আছেন যারা করোসল ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং করোসল ফলের পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানতে চাই। এজন্য অধিকাংশ মানুষেরা গুগলের এর কাছে এই ফল সম্পর্কে জানতে চাই। তাহলে আসুন, আর কথা না বাড়িয়ে প্রথমে করোসল ফল কি বা করোসল ফলের পরিচিতি সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেই।

করোসল ফল কি

করোসল ফলের খোসা সবুজ এবং বাহিরের দিক অনেকটা কাঁটাযুক্ত। এর ভেতরের অংশ নরম এবং সাদা হয়ে থাকে। করোসল ফল জাপানে Toge-Ban-Rishi নামে পরিচিত। জাপানের এক গবেষনায় বলা হয় ক্যান্সারের কেমোথেরাপির চেয়ে করোসল ফল ১০ হাজার গুণ অধিক শক্তিশালী। করোসল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Annona muricata।

করোসল ফলটি ব্রাজিলিয়ান পাও পাও, সাওয়ারসপ, গ্রাভিওলা, গুয়ানাভানা, গুয়ানাবা ইত্যাদি নামেও পরিচিত। করোসল ফলের গাছটি সাধারনত ৩০-৩৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট হয় এবং অল্প শাখা-প্রশাখাযুক্ত হয়ে থাকে। করসোল ফলটি আতা ফলের মতো। খাওয়া ছাড়াও শরবত বা পানীয় হিসেবেও খাওয়া যায়।

জাপানের গবেষকরা প্রথম এই ফলের ক্যান্সার প্রতিরোধী ঔষধি গুণের ব্যাপারে ধারণা পায়। এরপর আস্তে আস্তে এই ফলটি পুরো পৃথিবীতে বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই ফলটি জাপানে খাবার দইয়ের পরিবর্তে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এর স্বাদ কিছুটা খাবার দইয়ের মতো।

করোসল গাছে এক ধরনের যৌগ রয়েছে যার নাম হচ্ছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বেড়ে উঠা থামিয়ে দেয়। যার ফলে ক্যান্সার কোষগুলো আর বৃদ্ধি পায় না। এছাড়াও আপনি যদি এই ফল নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেঙ্গঅন বেড়ে যাবে।

করোসল ফলের পুষ্টির উপাদান

করোসল ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। এতে চর্বি, এনার্জি, প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেটসহ প্রচুর পুষ্টি প্রদান রয়েছে। এখানে প্রতি ২০০ গ্রাম করোসলে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে তা তুলে ধরা হলো -
  • চর্বি (০.৪ গ্রাম)
  • প্রোটিন (০.১৬ গ্রাম)
  • ফাইবার (৩.৮ গ্রাম)
  • এনার্জি (১২৪ ক‍্যালরি)
  • কার্বোহাইড্রেট (৩১.৬ গ্রাম)
  • পটাশিয়াম (৫০০ মিলিগ্রাম)
  • ক‍্যালসিয়াম (৮০ মিলিগ্রাম)
  • ম‍্যাগনেসিয়াম (৪৬৬ মিলিগ্রাম)
  • ফসফরাস (৩৮ মিলিগ্রাম)
  • ফলিক এসিড (২৮ এমসিজি)
  • ভিটামিন সি (৩৮ মিলিগ্রাম)

করোসল ফলের উপকারিতা

করোসল ফলের মধ্যে অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমাদের দেহের জন্য অনেক কার্যকরী। এই ফলে সাধারনত হাইপোগ্লাইসেমিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ‍্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। যার কারণে এই ফল খেলে আমাদের দেহে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। করোসল ফলের উপকারিতাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করেঃ এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা অগ্নাশয়ের কোষগুলোকে সুরক্ষা দিয়ে ইনসুলিন উৎপাদন করে। এজন্য এই ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। আবার করোসল ফল ফাইবারের প্রধান উৎস। যা নেক যলদি চিনি শোষণ করতে সহায়তা করে। সুতরাং যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই করোসল ফল খেতে পারেন।

হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারিঃ করোসল ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং কার্ডিয়াক ফাংশন বজায় রেখে চলতে সহায়তা করে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আপনার হার্ট, মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য টিস্যুকে ক্ষতিকর দ্রবণ এর হাত থেকে রক্ষা করে। আবার এটি মানসিক চাপ স্বাভাবিক রাখতেও সহায়তা করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ জাপানের এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোসল ফল ক্যান্সারের প্রতিরোধী এবং চিকিৎসার জন্য অনেক উপকারি। গবেষনায় এটিও বলা হয়েছে ক্যান্সারের কেমোথেরাপির চেয়ে করোসল ফল ১০ হাজার গুণ অধিক শক্তিশালী। তাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের জন্য আপনারা এই ফল খেতে পারেন। কারন, এই ফল ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে।

পেটের জন‍্য উপকারীঃ করোসল ফল অনাকাঙ্ক্ষিত পাকস্থলীকে ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি হজমের বৃদ্ধি করে। আবার এই ফল কিছু রোগ নির্মূল করতে সহায়তা করে যেমন আলসার, গ‍্যাস্ট্রাইসিস।

ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করেঃ আপনি যদি করোসল ফলের জুস নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ডিহাইড্রেশন জনিত সমস্যায় ভুগবেন না। এই ফলের রস শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি চাইলে এই ফলের রস ব্যায়ামের সময় অথবা গরম পরিবেশে খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্যে দূরীকরণেঃ করোসল ফল খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যেতা দূর করতে সাহায্য করে। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রদাহ জনিত রোগ প্রতিরোধ করেঃ করোসলে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য যা প্রদাহ জনিত রোগ থেকে রেহায় দেয়। করোসলে বিদ্যমান ভিটামিন এ, ই, সি এবং সেলেনিয়াম সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো পুরো শরীরের প্রদাহ কমাতে ভূমিকা পালন করে। আশা করছি, করোসল ফলের উপকারিতা জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন করোসল ফলের অপকারিতা কি কি রয়েছে সেগুলো জেনে নেই।

ইমিউন সিস্টেম উন্নত করেঃ করোসল ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তাই এটি ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে এবং কোষগুলোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে থাকে।

হাড়ের জন‍্য উপকারিঃ প্রতি ১০০ গ্রাম করোসল ফলে রয়েছে ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৯ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে যা শক্তিশালী পেশী এবং হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখেঃ করোসল ফলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে যার ন্সম হচ্ছে লুটেইন (Lutein)। যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। এই ফল চোখে ছানি পড়া রোধ করার পাশাপাশি ম‍্যাকুলার (Macular) অবক্ষয়ের মতো অসুস্থতাও কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকে।

করোসল ফলের অপকারিতা

করোসল ফলের উপকারিতার পাশাপাশি এর সামান্য কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতাও রয়েছে। করোসল ফলের আপকারিতাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-
  • যারা লো প্রেসারে ভুগছেন তারা এ ফল বেশি খেলে রক্তচাপ আরও কমে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • করোসল ফল প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আবার যারা ইতিমধ্যে ডায়াবেটিস এবং হাই প্রেসারের মেডিসিন সেবন করেন, তারা যদি করোসল ফল খায় তাহলে ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে এই ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর কিনা তা এখনও পুরোপুরিভাবে প্রমাণিত হয়নি তাই এমতবস্থায় অবস্থায় করোসল ফল না খাওয়ায় উচিত। কেননা এই ফল গর্ভকালীন সময়ে খেলে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে।
উপরের উল্লিখিত অপকারিতার বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। আশা করছি, বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন, করোসল ফল খাওয়ার নিয়ম জেনে নেই।

করোসল ফল খাওয়ার নিয়ম

পাকা করোসল ফলগুলো খেতে কিছুটা আপেল ও কলার মতো। করোসল ফল বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। করোসল ফল খাওয়ার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো-
  • আপনি করোসল ফল পাকা অবস্থায় খেতে পারেন।
  • এছাড়াও সালাদ অথবা আইসক্রিম তৈরিতে এই ফল ব‍্যবহার করতে পারেন।
  • পাকা ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে ফলটি ভালো ভাবে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর ফলের সবুজ খোসা ছাড়িয়ে ও এর বীজগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে সরাসরি খেয়ে ফেলুন।
  • আবার এই ফল জুস বানিয়েও খেতে পারেন। জুস বানানোর ক্ষেত্রে ফলটি নিয়ে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে, বীজগুলো আলাদা করে ভালোমতো টুকরো টুকরো করুন। এরপর কেটে রাখা ফলগুলো ব্লেন্ডার করে সেখানে এক চা চামচ ব্রাউন সুগার এবং পানি ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন যতক্ষন না ভালোভাবে মিশে। এরপরে সেটি খেয়ে ফেলতে হবে। আশা করছি, করোসল ফল খাওয়ার নিয়মগুলো জানতে পেরেছেন।

করোসল পাতার উপকারিতা

এ পর্যায়ে আমরা করোসল পাতার উপকারিতা জেনে নিব। করোসল পাতা ভেষজ ঔষধ হিসেবে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যেমন মাথাব্যথা, ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার, নিদ্রাহীনতা, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি বিশেষ করে ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশি ব্যবহার করা হয়। করোসল পাতার উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়
  • পেট পরিস্কার হয়
  • ঘুম পরিপূর্ণ হয়
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
  • রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
  • চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
  • মানসিক চাপ কমায়
  • এছাড়াও জ্বর, কাশি, হজমের সমস্যা, হাঁপানি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি নানান সমস্যা দূর হয়।

করোসল পাতা খাওয়ার নিয়ম

প্রতিটা খাদ্যের পরিপূর্ণভাবে উপকারিতা পেতে হলে সেই খাবার খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে হবে। করোসল পাতা তার বিপরীত নয়। আপনি যদি সঠিক নিয়মে করোসল পাতা খেতে পারেন তাহলে আশা করছি, পরিপূর্ণভাবে এর উপকারিতা পাবেন। করোসল পাতা খাওয়ার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো-

করোসলের পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাবেন তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। চা বানানোর পদ্ধতি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম করোসল পাতা ও ১ লিটার বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে পানি গরম করতে হবে। তারপরে ফুটন্ত পানিতে করোসল পাতাগুলো দিতে হবে। এরপর একটি মাপ অনুযায়ী একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

আনুমানিক ১০ মিনিট ফুটানোর পরে খেয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে এটি ঠাণ্ডা করেও খেতে পারেন। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা পর ১ কাপ করে খেতে হবে। তবে মনে রাখবেন, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের থেকে এটি এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

করোসল যেভাবে কাজ করে

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জানতে চায় করোসল কিভাবে কাজ করে? এই প্রশ্নের উত্তর নিম্নে আলোচনা করা হলো।

করোসলের ৫ থেকে ৬টি পাতা ভালোভাবে কুচি করে কেটে নিয়ে চায়ের মতো করে খাওয়া যায়। আবার আস্ত তাজা পাতা চা বানিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়া পাকা ফল ঠাণ্ডা পানিতে সরবত বানিয়ে খেতে পারেন। আবার অনেকেই কাঁচা অবস্থাতেও খেয়ে থাকেন।

করোসল গাছে এক ধরনের যৌগ রয়েছে যার নাম হচ্ছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন। এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি থামিয়ে দেয়। যার ফলে ক্যান্সার কোষ আর বেড়ে উঠতে সক্ষম হয় না।

এছাড়া আপনি যদি নিয়মিত এই ফল খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। করোসল ফল এইভাবেই আমাদের শরীরের উপকারের কাজ করে থাকে। আশা করছি, পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করব যে, আপনি যদি নিয়মিত করোসল ফল খেতে পারেন, তাহলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। আমি ইতিমধ্যে করোসল ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং করোসল ফলের পুষ্টিগুনসহ আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা জেনে উপকৃত হয়েছেন।

প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো এতক্ষণে করোসল ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং করোসল ফলের পুষ্টিগুন জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোষ্টের কোনো অংশ বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। তাহলে, আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

করোসল ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং করোসল ফলের পুষ্টিগুন সম্পর্কে আমাদের আজকের পোষ্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করবেন। এতে অন্য যারা করোসল ফলের উল্লিখিত বিষয়গুলো জানেন না তারাও এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জানতে পারবেন। এরকম স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কিত তথ্য পেতে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোষ্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url