খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে
প্রিয় পাঠক, আপনি কি নিয়মিত খেজুর খাচ্ছেন? কিন্তু আপনি জানেন না এটি আপনার শরীরের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর? তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়া এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতিদিন কখন এবং কয়টি করে খেজুর খাবেন তা জেনে রাখা ভালো। কারণ অতিরিক্ত খেলে তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভূমিকাㅣখেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। বহু আগে থেকেই সুপরিচিত ও সুমিষ্ট এই ফলটির চাষাবাদ হয়ে আসছে মরুপ্রধান অঞ্চলে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জন্য একটি সহজলভ্য খাবার। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইভার, আয়রণ, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াসহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উপকার সংঘটিত হয়। এই আর্টিকেলে আমরা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম
আপনারা অনেকেই মনে করতে পারেন খেজুর খাওয়ার আবার নিয়ম কিসের। এটি তো আমাদের কোন ক্ষতি করে না। যেমন তেমনভাবে এটি খেলেই হয়। কিন্তু আপনার এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত খেজুর খেলে রক্তে শর্করা পরিমাণ বেড়ে যায়। আবার অনেকে এলোমেলো ভাবে খেজুর খেয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের সকালে এবং রাতে নিয়মিত ৩/৪ টি খেজুর খাওয়া উচিত। এর বেশি একবারে খেজুর খাওয়া উচিত নয়। নিয়ম মেনে খেজুর খেলে এর থেকে উপকার পাওয়া সম্ভব।
খেজুর কেন খাবেন
কেউ কেউ সারা বছর খেজুর খেয়ে থাকেন। তবে রমজানে ইফতারে খেজুর প্রধান আইটেম। রোজদারদের খাদ্যতালিকায় খেজুর না রাখলে ইফতারই যেন অপুর্ণ থেকে যায়। তাহলে চলুন পবিত্র রমজান মাসে এই ফলের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উপকারিতা গুলো জেনে নেয়া যাক-
খেজুরে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান যা স্নায়ুতন্ত্র কে উদ্দীপিত করে এবং মস্তিষ্ককে যে কোন কিছু খুব দ্রুত চিন্তা করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ নিয়মিত খেজুর খাওয়া ফলে মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একটি পরিসংখানে দেখা গেছে, ছাত্র ছাত্রী যারা নিয়মিত খেজুর খায়, তাদের চিন্তাশক্তি ও কর্মক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি। খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো রয়েছে।
আমরা সকলে জানি খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা বিদ্যমান। এ কারণে খেজুর খাওয়ার সাথে সাথে শরীরের জোশ ফিরে আসে। বয়স বৃদ্ধি কারণে কারো শরীর যদি নেতিয়ে পড়ে তবে তার উচিত নিয়মিত ২/৩ টি খেজুর খাওয়া। তাহলে তার নেতিয়ে যাওয়া শরীর আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে হজমে উপকার করতে পারে। এটি পরিপাক ক্রিয়া ঝামেলামুক্ত রাখার মাধ্যমে নিয়মিত মলত্যাগ ভারসাম্য ভজায় রাখে। উপরন্তু খেজুরের ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী হতে পারে। ফাইবার হজমের গতিকে ধীর করে দেয় এবং খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি হওয়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এছাড়া গলাব্যাথা, বিভিন্ন ধরণের জ্বর, সর্দি ও ঠান্ডায় খেজুর উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে। এছাড়াও নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে অস্টিওরোসিসের মতো হাড়ের ভয়ানক রোগ হতে পারে। খেজুরই সেই ম্যাগনেসিয়ামের জোগানদাতা। সাপ্লিমেন্টর মাধ্যমে ম্যাগনেসিয়াম নেয়া অপেক্ষা খেজুর খাওয়া উত্তম। এতে বিষাক্ততার ঝুঁকি কমে। অধিকুন্তু খেজুর থেকে পাওয়া আয়রন অস্থিমজ্জার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
খেজুরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান। যেমনঃ ভিটামিন এ১, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫ ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। এজন্য খেজুর কে ভিটামিনের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউজ বলা হয়ে থাকে।
এটি আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এর জন্য আমরা রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। আর এ কারণেই চোখ ভালো রাখার জন্য বেশি বেশি খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। তবে একদিনে কখনোই অধিক পরিমাণ খেজুর খাওয়া উচিত নয়। এতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
ক্যান্সার থেকে মুক্তিঃ খেজুর ও কিসমিস যদি প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যান্সার হবেনা যদি প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার যায়। কারণ খেজুর ও কিসমিস মধ্যে থাকা ভিটামিন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরকে সকল রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে।
ত্বক উজ্জ্বল করেঃ খেজুর ও কিসমিস দুধ ভিজিয়ে খায়লে ত্বকের অনেক উপকারী হয়। ত্বকে উজ্জ্বল করতে খেজুর ও কিসমিস কার্যকারী উপাদান। খেজুরে থাকা ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি ত্বকে টান করে এবং লাবণ্য নিয়ে আসে। কিসমিস থাকা উপাদান ত্বকের এন্টি এজিং ও ত্বকেকে সজীব ও প্রাণবন্ত রাখে।
পেটে সকল সমস্যা সমাধানঃ খেজুরে থাকা ফাইবার পেটের সকল সমস্যা সমাধান করে। খেজুর খেলে এমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খাওয়া ভালো। প্রতিদিন ৩ টি খেজুর খেলে শরীরে মধ্যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। তাই বদ হজম, কোলাইটিস ও হেমোরয়েডের মতো রোগ আক্রমণ করতে পারেনা।
হাড় মজবুত করেঃ খেজুরে থাকা ভিটামিন- সি ও ভিটামিন-ডি আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করে। কিসমিস থাকা ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়ের উন্নতি করে। হাড় ক্ষয়রোধ করে কিসমিস ও খেজুর। যদি হাড় ক্ষয় ও হাড়ের সমস্যা সমাধান চান তাহলে প্রতিদিন এক মুঠো কিসমিস ও তিনটি খেজুর খান।
চোখের উন্নতি হয়ঃ খেজুর খাওয়ার ফলে নানা সমস্যা সাথে চোখের সমস্যা সমাধান হয়। নিয়মিত খেজুর খেতে হবে সাথে দুধ খাওয়া ভালো। খেজুরের পাতা খাওয়া যায় এটি শরীরে ভিতর উন্নতি করে এবং রাতকানা ও চোখে ঝাপসা দেখা থেকে দূর করে।
খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর আমাদের শরীরের সকল সমস্যা সমাধান করে। খেজুরের অনেক উপকারীতা রয়েছে এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকারী। তাহলে চলুন জেনে নেই খেজুর ভিজিয়ে খেলে কি উপকার পাওয়া যায়-
- রক্তচাপ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- রাতে দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর করে খুব সহজে।
- সারাদিন না খেয়ে রোজা রাখা পর খেজুর খেলে শরীরে সকল সমস্যা সমাধান করে দেয়।
- খেজুর ও কুসুম গরম দুধ মিশিয়ে খেলে মস্তিষ্কের উন্নতি করে।
- খেজুর খাওয়ার ফলে হাড়ের উন্নতি করে।
- খেজুর পানি বা দুধ দিয়ে ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- খেজুর হার্টের উন্নতি সাধন করে থাকে।
- খেজুর ভিজিয়ে খেলে তা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং চর্বির বৃদ্ধি রোধ করে।
- নিয়মিত তিনটি করে খেজুর খেলে এটি নারী পুরুষ উভয়ের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আছে এবার সকালে খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারীতা রয়েছে চলুন জেনে আসি -
- খেজুরের থাকা ভিটামিন সারাদিনের পুষ্টি জোগান দেয় এবং শরীরে শক্তি দেয়।
- খেজুরে কোন চর্বি থাকেনা তাই এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে।
- ক্যান্সার মত মরণব্যাধিকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়।
- হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে খেজুর।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সজীবতা রাখে এবং এন্টি এজিং দূর করতে সাহায্য করে।
- হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
খেজুর একটি উপকারী উপাদান শরীরের জন্য এটি অনেক ভালো। খেজুর খাওয়ার অনেক নিয়ম আছে তবে নিয়মিত খেজুর তিনটি করে খাওয়া অনেক ভালো স্বাস্থ্য জন্য। সকল রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে খেজুরে থাকা ভিটামিন।
খেজুর খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সতেজ থাকে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম দুধ সাথে খেজুর খাওয়ার খুব ভালো। এতে ঘুম ভালো হয় এবং শক্তি সঞ্চয় করে। আবার সকালে নাস্তা সাথে ও খেজুর খেলে সারাদিন পুষ্টি পাওয়া যায়।
খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে
আমরা প্রায় সবাই আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকি। এর মধ্যে কেউ চিন্তা করে কিভাবে তার স্বাস্থ্য কমবে আবার কেউ চিন্তা করে কিভাবে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে? এই সমাধানের জন্য সে নিয়মিত খেজুর খেতে পারে।
এতে করে যার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য রয়েছে তার স্বাস্থ্য কমে যাবে এবং যার স্বাস্থ্যের উন্নতির প্রয়োজন তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। কেননা খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা ও ফাইবার এতে করে একদিকে যেমন ক্ষুধা কম লাগবে অন্যদিকে তেমনি শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।
যার ফলে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির স্বাস্থ্য কমে যাবে। অন্যদিকে খেজুরে নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকার কারণে স্বাস্থ্যহীন লোক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। মোটকথা খেজুর স্বাস্থ্যবান বা স্বাস্থ্যহীন যে ব্যক্তি খান না কেন এটি আপনাকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে বাড়ে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এই ঝুঁকি কমাতে পারে খেজুর। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত খেজুর খেয়েছেন তাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল ( LDL) এর পরিমাণ খুব দ্রুত কমে গিয়ে ভালো কোলেস্টেরল ( HDL) এর পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
নিয়মিত খেজুর খাওয়া দাঁতের এনামেলের সুরক্ষা ও উন্নতির জন্য বেশ উপকারী। খেজুর দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ, এতে আছে ফ্লোরাইড। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন বিদ্যমান। আর এই আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
এর ফলে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় না। তাই যাদের শরীরে রক্ত কম তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। এতে করে শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক থাকবেে এবং শরীরের রক্ত সঠিক পরিমাণে থাকবে।
রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি এর স্বাদ মিষ্টি হওয়ার কারণে এটি চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পর্বে আমরা রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। তাহলে চলুন এই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
ত্বকের যত্নঃ আমরা যখন বয়স্ক হয়ে পড়ি তখন ত্বকই সর্বপ্রথম তা আমাদের জানান দিয়ে থাকে। আর এ কারণেই ত্বকের যত্ন করা জরুরী। ত্বকের যত্নে আপনি খেজুরকে কাজে লাগাতে পারেন। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে ত্বকে আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে বিরত থাকে। এছাড়াও ত্বকের ফ্যাকাশে ভাব দূর করতে, ত্বকের বলি রেখা দূর করতে খেজুর কাজ করে থাকে।
রোগ নিরাময়েঃ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান থাকায় এটি নানা ধরনের রোগ নিরাময় করতে সক্ষম। পাশাপাশি এর পুষ্টিগুন আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়া উচিত। এতে করে শরীর বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পায়।
কোন খেজুর সবচেয়ে ভালো
খেজুরের নানা প্রকারভেদ রয়েছে। অনেক রকমের খেজুর পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো খেজুর আজওয়া। যার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাসে অন্যতম খাবার হচ্ছে খেজুর। খেজুর মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কিছু দেশে চাষ হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের চাষ করা হচ্ছে।
বিশ্বে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ রকমের খেজুর চাষ হয়। তারমধ্যে অন্যতম মাজাফাতি, হালাউয়ি, ডেগলেট নূর, ওমানি, মেজুল, আজওয়া, মরিয়ম ইত্যাদি। এগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি রসালো ও মিষ্টি। এসবের গুণাগুণ শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
খেজুর অপকারিতা বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আসলে আমাদের সবাইকে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন খাবার গ্রহণ করা ঠিক না। এতে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই অতিরিক্ত খেজুর খেলে খেজুরের অপকারিতা আপনাকে আক্রমণ করতে পারে । এই ছাড়া খেজুরের কোন অপকারিতা নাই বলে ধারণা করা হয় ।
আপনার যারা ডায়বেটিস রোগী আছেন তাদের উদ্দেশ্য বলছি আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে পাকা খেজুর খাওয়া ঠিক না । আর কেউ যদি অধিক পরিমাণ খেজুর খায় তাহলে খেজুর অপকারিতা শরীরে প্রভাব বিস্তার করবে।
তাই আমাদের সবার কাম্য খেজুর অপকারিতা নয় খেজুরের উপকারিতা গ্রহণ করা। আশা করি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন।
শেষ কথাㅣখেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিশ্চয়ই আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।
আশা করছি এই আর্টিকেল আপনার অনেক উপকারে আসবে। যদি আমাদের এই আর্টিকেল আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজ এই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিয়মিত খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url