যে ১৬ টি কারনে নিয়মিত খাবেন চিনা বাদাম/চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আপনি কি চিনাবাদাম খাচ্ছেন? কিন্তু আপনি জানেন না এই বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই এ সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি চীনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। যদি সঠিক নিয়মে খাওয়া হয় তবে যে কোন কিছু থেকেই শরীর উপকৃত হয়। তাই নিয়ম মাফিক খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এজন্য চিনা বেতন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভূমিকা
সব ধরনের বাদামের মধ্যে চিনা বাদাম সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য এবং উপকারী। আমাদের শরীরের জন্য চীনা বাদাম খুবই উপকারী একটি উপাদান। চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আপনি যদি প্রতিদিন এক মুঠো চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অনেক ধরনের রোগ বালাই থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
রাস্তায় বের হলে অনেক সময় আমরা শখের বসে চিনা বাদাম খেয়ে থাকি তবে এর উপকারিতা সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা না থাকায় প্রতিনিয়ত আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে চিনাবাদাম কে আমরা বাদ দেই। এই আর্টিকেলে আমরা চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।
চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম
বাদামের মধ্যে খুবই পরিচিত ও সহজলভ্য বাদাম হলো চিনা বাদাম। চিনা বাদাম চেনে না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। কম বেশি সকলেই চিনা বাদাম খেতে পছন্দ করে। তবে চিনা বাদাম আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এ বিষয়ে অনেকেই জানেনা। চিনা বাদাম আমাদের শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর। তবে চিনা বাদাম যেহেতু সহজলভ্য তাই এর ক্রয় ক্ষমতা মানুষের নাগালে।
আমরা সাধারণত পার্কে ঘুরতে গেলে বা বাহিরে কোথাও ঘুরতে গেলে তখন চিনা বাদাম কিনে খেয়ে থাকে। তবে চিনা বাদাম আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা খুবই জরুরী। কেননা চিনা বাদামের পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে এই চিনা বাদাম।
তাহলে চলুন এখন চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই। আপনি চাইলে চিনা বাদাম যে কোন সময় খেতে পারেন। তবে সবকিছু খাওয়ারই একটা সঠিক নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি ১০ থেকে ১৫ টি চিনা বাদাম রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খান তবে তা আপনার শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী হবে। এছাড়াও আপনি সকালে খাবার খাওয়ার সময় এক মুঠো চিনা বাদাম খেয়ে নিতে পারেন।
আপনি যদি চিনা বাদাম এভাবে খেতে পছন্দ না করেন তাহলে চিনা বাদামের মাখন তৈরি করে তা খেতে পারেন। এটাও আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে চিনা বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন ধরেন প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টির বেশি চিনা বাদাম খাবেন না। তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
চিনা বাদামের সঠিক পরিমাপ হল ১০ থেকে ১৫ টি বা এক মুঠো। এর বেশি কখনো চিনা বাদাম খাবেন না। সুস্থ ও সুঠাম দেহের অধিকারী থাকতে চিনা বাদাম রাখতে পারেন আপনার খাদ্য তালিকায়।
খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
বাদাম জাতীয় খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনারা যারা খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন তাদের ক্ষেত্রে শরীরের ফোলা ভাব ও ওজন কমাতে এটা অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। চিনা বাদাম ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর।
আপনাদের যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তারা কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এছাড়াও চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট যা আমাদের শরীরের খারাপ চর্বিগুলোকে গলাতে সহায়তা করে। আপনি যদি খারাপ চর্বি গলাতে চান তাহলে চিনা বাদাম খেতে পারেন।
কারণ চীনা বাদামের ফ্যাট আমাদের শরীরের খারাপ চর্বিগুলোকে গলাতে সহায়তা করে। চিনা বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রার আমিষ। এছাড়াও আপনি যদি খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে পাকস্থলীর ক্যান্সার রোধ করতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও খালি পেটে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে এবং চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া মজবুত করবে। এছাড়াও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও চিনা বাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
শরীরের জন্য উপকারী বাদাম গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বাদাম হলো চিনা বাদাম। আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চিনা বাদামের জুড়ি মেলা ভার। আপনি যদি প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১৫ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে সেই বাদাম খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
চিনা বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও শরীর সুস্থ রাখতে এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনার উচিত প্রতিদিন ভেজানো চিনা বাদাম খাওয়া।
বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই কিছু পরিমাণ চিনা বাদাম যোগ করুন। শখের বসে চিনা বাদাম না খেয়ে এটা আপনার প্রতিদিনের রুটিনে রাখার চেষ্টা করলে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন।
চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
বাদাম জাতীয় উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে চিনা বাদাম অন্যতম। দামে কম তবে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন এক মুঠো করে জিনা বাদাম রাখতে পারেন তাহলে মুক্তি মিলবে অনেক রোগ থেকে। চিনা বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে বাধা দান করে থাকে।
এজন্য আপনি চাইলে প্রতিদিন চিনা বাদাম খেয়ে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এছাড়াও চীনা বাদামে রয়েছে পরিমাণ বি৩ যা মস্তিষ্কে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। চিনা বাদামের প্রচুর উপকারিতা থাকার পাশাপাশি আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে এই বাদাম সেবন করেন তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তাই অবশ্যই আপনাকে চিনা বাদামের পরিমাণ জেনে তারপর সেবন করতে হবে। শুধু চিনা বাদাম নয় কোন খাবারই পরিমাণের তুলনায় অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই প্রত্যেকটা খাবারের পরিমাণ জানা আমাদের জন্য আবশ্যক। চলুন তাহলে এবার নিচে জেনে নেওয়া যাক চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
চিনা বাদামের উপকারিতা
মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি প্রত্যেক খাবারের মধ্যেই কিছু না কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে। তেমনি বাদাম গুলোর মধ্যে সহজলভ্য বাদাম হলো চিনা বাদাম। তাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। তবে সেই পুষ্টিগুণ পেতে হলে অবশ্যই আমাদের পরিমিত পরিমাণে ও সঠিক সময়ে সঠিকভাবে বাদাম খেতে হবে।
তাহলেই আমরা বাদামের ভিতর বিদ্যমান পুষ্টিগুণ গুলো পাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে চিনা বাদামের উপকারিতা সমূহ জেনে নেওয়া যাক-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় চিনা বাদাম রাখবেন। ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১৫ টি চিনাবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর সকালে খালি পেটে সেই বাদাম খাবেন। দেখবেন আপনার ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। চিনা বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিকস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী।
মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখে
মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে চিনা বাদাম খাওয়া উচিত। সহজলভ্য এই বাদামটি খুব সহজেই আপনারা হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন। চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ বি৩ যা মস্তিষ্কে সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন চিনা বাদাম রাখা উচিত অথবা চিনা বাদামের তৈরি মাখন খেতে পারেন যাতে করে আপনি স্বয়ংক্রিয় মস্তিষ্ক পেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পুষ্টির ঘারতির কারণে অনেক সময় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আমরা যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার আমাদের খেতে হবে। তেমনি এক পুষ্টিকর খাবার হলো চিনা বাদাম। চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরের কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে বাধা প্রদান করে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় যদি প্রতিদিন চিনা বাদাম রাখেন তাহলে এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে
আপনার শরীরের যদি মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন হৃদরোগ, ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এ ধরনের কঠিন রোগ সৃষ্টি করবে। এ ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে অবশ্যই খাবার তালিকায় এক মুঠো চিনা বাদাম যোগ করুন। কারণ চিনা বাদামে রয়েছে অসাধারণ কার্যকরী ফ্যাট যা শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতে সহায়তা করে থাকে। তাই আপনার শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন এক মুঠো করে চিনা বাদাম খেতে পারেন।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে
আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় আজ থেকেই চিনা বাদাম যোগ করুন। চিনা বাদামে থাকা পুষ্টি উপাদান আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
ত্বকের মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়
চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা ত্বকের অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আপনার ত্বক যদি রুক্ষ হয়ে থাকে তাহলে ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে চীনাবাদামের তেল ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মুখে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায় তেল মাখিয়ে ২০ মিনিট পর গোসল করে নিতে হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
গবেষণায় দেখা গেছে যে, বয়স্ক মানুষদের জন্য নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি কমে যায়। বিশেষ করে পাকস্থলীর ক্যান্সার। চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটো কেমিক্যাল যার প্রভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। যার ফলে যেকোন কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়াসহ ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে চিনা বাদাম। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই চিনা বাদাম রাখা উচিত।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে চিনা বাদামের ভূমিকা অপরিসীম। আপনি যদি আপনার খাবার তালিকায় সকালে চিনা বাদাম রাখেন অথবা চিনা বাদামের তৈরি মাখন রাখেন তাহলে আপনার সারাদিনের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বর্তমান সময়ে যৌন সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা হলো ইরেকটাইল ডিসফাংশন। যার মানে হলো লিঙ্গ উত্থান না হওয়া। এ ধরনের সমস্যায় যদি আপনি ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। তবে পাশাপাশি খাবার হিসেবে আপনি চিনা বাদাম খেতে পারেন। কারণ চীনা বাদামের মধ্যে আর্গিনীন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা লিঙ্গের মধ্যে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ইরেকটাইল ডিসফাংশন দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও চিনা বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং মিনারেল যা শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগতমান বৃদ্ধি করতে সহায়তা।
চুল গজাতে সাহায্য করে
চিনা বাদামের তেলে রয়েছে ভিটামিন ই ও উপকারী ফ্যাট যা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে মাথা থেকে অনেকগুলো চুল পড়ে যায় তবে যাদের চুল গজায় না তাদের চুল ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যায়। আর তাই নতুন চুল গজানোর জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি চিনা বাদামের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
খুশকি দূর করে
মাথার খুশকি দূর করতে চিনা বাদামে তেল ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তেলের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে মাথার ত্বকে মেসেজ করুন। এরপর দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় মাথার ত্বকে সোরিয়াসিস নামক এক ধরনের চর্মরোগ দেখা যায় যা নির্মূল করতে চীনা বাদামের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ব্যবহার করার পর যদি কারো ক্ষেত্রে এলার্জি অনুভব হয় তাহলে চিনা বাদামের তেল ব্যবহার করবেন না।
চিনা বাদামের অপকারিতা
চিনা বাদামের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি যদি কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে চিনাবাদাম সেবন করে সে ক্ষেত্রে এর অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। চলুন তাহলে এবার জেনে নিই অতিরিক্ত চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে।
- সম্প্রীতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি পরিমাণে চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে আয়রন, জিংক, মেঙ্গানিজ এবং ক্যালসিয়ামের মতো অন্যান্য খনিজ শোষণে বাধা পড়ে।
- আপনাদের যাদের এলার্জি আছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে চিনাবাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এটি খাওয়ার ফলে গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা ও শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হতে পারে।
- আপনি যদি ডায়েট কন্ট্রোলে থাকেন তাহলে চিনাবাদাম খাবেন না। কারণ চিনা বাদাম আপনার রোগা হওয়ার স্বপ্নকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়াও চিনা বাদাম হজম শক্তি কেউ দুর্বল করে দেয়।
- অতিরিক্ত চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সাথে পাতলা পায়খানা ও বমি হতে পারে।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি চিনাবাদাম খাওয়া যেতে পারে। তবে এর বেশি কখনোই খাবেন না। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে চিনাবাদাম খেলে স্বাস্থ্যের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
- খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে সমস্যা হতে পারে। তাই ভাজা চিনা বাদাম খেতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক চিনা বাদামের সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই এক মুঠো চিনা বাদাম রাখার চেষ্টা করবেন। চিনা বাদা আপনাকে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে সাহায্য করবে। আশা করছি চিনা বাদামের উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তা কমেন্ট বক্সে জানান। এরকম আরো ইনফরমেটিভ আর্টিকেল পড়তে আমার এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url