OrdinaryITPostAd

নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে পাবেন এই ১৩ টি উপকার - যাদের অধিক পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত নয়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই এ সম্পর্কে জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও এই আর্টিকেল করার মাধ্যমে আপনারা কলা খাওয়ার অপকারিতা, প্রতিদিন কয়টি কলা খাওয়া যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কলা হলো একটি পুষ্টির শক্তি। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ও খনিজ, ফাইবার। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই কলা সম্পর্কে এসব তথ্য জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

সাধারণ কলা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফল। কলাতে রয়েছে পুষ্টি ভিটামিন, এবং খনিজ ,পদার্থে পূর্ণ যা আপনার শরীরকে সুস্থসবল রাখতে সাহায্য করে। তবে যে কোন খাবারের মতো অনেক বেশি কলা খাওয়ার ফলেও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কলা একটি বহুমুখী ফল। যা সারা বিশ্বের মানুষের খাদ্যের প্রধান হয়ে উঠেছে।

কলা আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল। কলার সুলভ মূল্যের কারণে সকলের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য ফল। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলার ভূমিকা অপরিসীম। কারণ এই কলা আমাদেরকে বিভিন্ন রোগ নিরাময় থেকে রক্ষা করে থাকে। যেমন- ত্বক ও চোখ, দাঁত, পা, চুল ইত্যাদির যত্নেও এই ফলটির ব্যবহৃত হয়।

সাধারণত কলা কাঁচা অবস্থায় সবুজ হয়ে থাকে এবং পাকা অবস্থায় এটি হলুদ বর্ণ ধারণ করে। বাংলাদেশ সহ ভারত ও ভারতীয় উপমহাদেশে কলার জনপ্রিয় অনেক জাত রয়েছে। যেমন- সাগর কলা, আনাজি কলা, সবরি কলা, চাপা কলা, বিচি কলা ইত্যাদি। এসব কলার জাত আলাদা হলেও স্বাদ প্রায় একই রকম কিন্তু সব জাতের কলাতেই কিছু পুষ্টিকর উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।

এই আর্টিকেলে আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।

কলা খাওয়ার উপকারিতা

সাধারণত সকল প্রকার ফলমূল আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কলা হলো সকল ফলের মধ্যে খুবই পরিচিত ও সহজলভ্য ফল। কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিজে দেয়া হলো-
  • কলা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কেননা কলাতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নত হয়। এর ফলে বাহিরের রোগ জীবাণু থেকে শরীরকে খুব সহজেই মুক্ত রাখা যায়।
  • কলা রক্তচাপ কমায়। কেননা কলাই থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • কলাতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকার ফলে এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
  • কলা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কেননা কলাতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কিছু ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে।
  • কলা পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস যা আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
  • কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। যা আপনার দেহের হাড়কে অনেক শক্ত করে।
  • কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান থাকার ফলে নিয়মিত এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • কলাতে বিদ্যমান ট্রিপ্টোফ্যান যা সেরোটোনিন বা হাসিখুশি হরমোন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর ফলে নিয়মিত কলা খেলে মানসিক চাপ কমে যায়।
  • কলাতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। যা মানব দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। সেই সাথে এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই যাদের অ্যানিমিয়া রোগ রয়েছে তাদের জন্য খোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ অনেক সাহায্য করে যা সহজলভ্য ফল কলাতে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকে।
  • দাঁতের যত্নে কলা অনেক উপকারী। কারণ কলায় বিদ্যমান শক্তিশালী উপাদান সমূহ দাঁতের যত্নে অনেক সহায়তা করে। এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে তুলে। আবার দাঁতকে হলদে ভাব থেকে রক্ষা করে থাকে। সেই সাথে এটি হাড় কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • আবার গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কলা অনেক সাহায্য করে। কলাই ভিটামিন সি, ও ভিটামিন ১২, থাকে। যা রক্ত রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে।

কলা খাওয়ার অপকারিতা

কলার শুধু উপকারিতা রয়েছে তা নয়। কলা খাওয়ার অপকারিতাও রয়েছে অনেক। আর আমাদের দেহের সুস্থতা রক্ষায় কলার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই জানা খুব জরুরী। কিন্তু উপকারিতার তুলনায় অপকারিতার মাত্রা খুব কম হলেও দেহের জন্য এটি ক্ষতিকর একটি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এর অপকারিতা গুলো জেনে আমাদেরকে কলা খেতে হবে। কলা খাওয়ার অপকারিতা গুলো হলো-
  • অতিরিক্ত কলা খেলে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে হার্ট অ্যাটাকের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পটাশিয়ামের উচ্চমাত্রার কারণে কিডনি জটিলতা, পেশির খিচুনি, হৃদপিন্ডের সমস্যা, এবং মাথা ঘোরা এগুলো অনিয়মিত হওয়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই বেশি বেশি কলা খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
  • সাধারণত ডায়াবেটিসের জন্য কলা উপকারী হলেও অতিরিক্ত কলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে এতে বিপরীত হতে পারে।
  • কখনোই খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয়। কেননা এসিড বৈশিষ্ট্যের কারণে খালি পেটে কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
  • আবার যাদের খুব বেশি ঠান্ডার সমস্যা আছে। তাদের জন্য কলা এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। কেননা কলা ঠান্ডা কে প্রভাবিত করে।
এছাড়াও আরো অনেক অপকারিতা রয়েছে কলার। তবে এসব হলো কলা অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে। তাই আপনারা মাথায় রাখবেন যে খালি পেটে কলা খাওয়া যাবেনা। আবার বেশি পরিমাণে কলা খাওয়া যাবে না। এগুলো থেকে বিরত থাকতে পারলেই আপনি কলা থেকে উপকার পাবেন।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা একটি পুষ্টিকর ফল। যা নিয়মিত খেলে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। সাধারণত সকালে কলা খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে। সেগুলো হলো-
  • কলায় থাকা প্রাকৃতিক শর্করা আপনার শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এবং আপনাকে দিনের বেলায় সজাগ রাখতে সাহায্য করবে।
  • কলায় ফাইবার রয়েছে যা আপনার হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং অস্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • কলায় খাদ্যতালিকাগত পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস থাকে। যা কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি।
  • সাধারণত কলায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম সহ খনিজগুলির একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। এতে করে সকালে কলা খেলে সারাদিন শরীর চাঙ্গা থাকে।
  • স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তার অংশ হিসেবে কলা অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। আপনাকে আপনার প্রতিদিনের সমস্ত ফল এবং শাকসবজি মধ্যে এই কলা রাখা উচিত। কেননা কলাতে রয়েছে অনেক ভিটামিন ও পুষ্টি। যা আপনার শরীরকে নানা ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই আছি যারা ঠান্ডা লাগার ভয়ে রাতের বেলা কলা খায় না। কিন্তু অনেকেই জানে না যে রাতে কলা খাওয়ার উপকারিত রয়েছে। যদি আপনাদের কারো ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা না থাকে। তাহলে প্রতিদিন রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে একটি করে কলা খেলে বেশ কয়েকটি শারীরিক উপকার পাবেন। যেমন-
  • আপনারা যারা মানসিক চাপে আছেন। তাদের জন্য মানসিক চাপ দূর করতে রাতের বেলা কলা এবং পিনাট বাটার খাওয়া উচিত। কেননা কলা ও পিনাট বাটার আপনাকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে সাহায্য করবে। যেটি আপনাকে মেন্টালি ফ্রেশ রাখবে।
  • কখনো যদি রাত্রে বেলা বাহিরের খাবার এবং বাহিরের ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তখন এটি আমাদের শরীরে এসিডিটি তৈরি করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি পরেন তাহলে আপনি রাতে ঘুমানোর আগে একটি কলা খেয়ে নেবেন। তাহলে এটি আপনার পেটের এসিডিটিকে কমাতে সাহায্য করবে।
  • আবার রাত্রিবেলায় ঘুমানোর আগে যদি কলা খেয়ে ঘুমান। তাহলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ থাকে।

যাদের অধিক পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত নয়

  • হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টের রোগীদের রাতের বেলা কলা খাওয়া একদমই যাবে না। যাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যায়, বা একটুতে সর্দি কাশি লেগে যায়। তাদের রাতের বেলা কলা খাওয়া যাবে না।
  • যারা রাত্রিবেলায় বিভিন্ন কাজ করেন, তাদের কলা না খাওয়াই ভালো। কারণ কলা ঘুম আসতে সাহায্য করে।
  • আপনারা যারা ওজন কমাতে চান। তাহলে তাদের জন্য রাত্রিবেলা কলা না খাওয়াই ভালো। কারণ রাত্রিবেলা কলা খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়।

কলার ক্ষতিকর দিক

কলা খেতে যেমন ভালো, তেমনি এর পুষ্টি গুনো অনেক। কলা খেলে অনেকটা ক্যালরিও জমা হয়, শরীরে। আবার অনেকটা সময় ধরে পেটও ভর্তি থাকে। তবে কলা যতই ভালো হোক না কেন, বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলবেন না যেন। বেশি পরিমাণে কলা খেয়ে ফেললে এর অধিক ক্ষতিকর সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। যেমন-

ক্লান্তি
সাধারণত পাকা কলাতে ট্রিপটোফ্যান আমাইনো এসিড থাকে। এই আমাইনো এসিডের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। এবং দেহে ক্লান্তি আসে ও সব সময় ঘুম পায়।

দাঁতের ক্ষয়
কলাই প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকায়, বেশি খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। এমনকি দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য কলা চকলেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর।

ওজন বৃদ্ধি
একটি মাঝারি মাপের পাকা কলায় ১০৫ ক্যালোরি শক্তি বিদ্যমান থাকে। তাই বেশি করে কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

মাইগ্রেন
আমাদের যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের যতটা সম্ভব কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা কলায় টাইরামাইন নামক এক ধরনের উপাদান বিদ্যমান থাকে যার ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

হাইপারক্যালেমিয়া
রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে বেড়ে যাওয়ার ফলে হাইপারক্যালেমিয়া নামক রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্তকারীরা খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। হৃদপিন্ডের সমস্যা অনিয়মিত হতে থাকে। কলায় বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে যদি অধিক পরিমাণে কলা খাওয়া হয় তবে হাইপারক্যালেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

নার্ভ
কলাতে ভিটামিন বি ৬ এর পরিমাণ অত্যধিক থাকার কারণে অধিক পরিমাণে কলা খেলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই একদিনে অধিক পরিমাণে কলা খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যহানী ঘটতে পারে।

শ্বাস নিতে সমস্যা
আপনাদের যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তারা যদি বেশি মাত্রায় কলা খেয়ে ফেলেন, তাহলে তাদের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এলার্জি
কলাতে অনেক সময় এলার্জি হয়ে থাকে। এর ফলে ঠোট ফুলে যায়, এবং গলা জ্বালা করে।

পেট ব্যথা
সাধারণত বাজার থেকে আনা কলা বেশির ভাগই রাসায়নিকের সাহায্যে পাকানো হয়ে থাকে। তাছাড়াও কলায় অধিক পরিমাণে শর্করা বিদ্যমান থাকায় অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা হতে পারে।

গ্যাস
কলাতে উচ্চ মাত্রার ফাইবারের কারণে অধিক পরিমাণ কলা খেলে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য
কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।

ডায়াবেটিস
কলাতে সুগারের পরিমাণ অধিক মাত্রায় বেশি থাকার, কারণে কলা খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা থাকে।

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

সাধারণত কলা দিনে দুইটি করে খাওয়া উচিত। কারণ কলা ওজন কমাতে এবং বাড়াতে অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে খাওয়ার পরিমাণের উপর। ইউএসডিএ গাইডলাইন অনুযায়ী প্রতিদিন আপনার দুই কাপ ফল খাওয়া উচিত। অর্থাৎ সেটার পরিমাণ দুটি বড় কলার সমান। সেই অনুযায়ী দৈনিক ২ টি করে কলা খাওয়া অবশ্যই নিরাপদ।

তবে আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে মাঝারি আকারের ৫ ইঞ্চি মাপের একটি কলা খাওয়া যেতে পারে। এটি অবশ্যই আপনার শারীরিক পরিশ্রম করার আগে বা পরে খেতে হবে। তাহলে কলার বেশি উপকারিতা পাবেন। অবশ্য স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় ওজন কমাতে চাইলে কলা খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না। কিন্তু কলা খাওয়ার পরিমাণ একটু কমিয়ে দিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

কলা খুবই পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল ফলে নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। তাই আমাদের সকলের উচিত শরীরের সুস্থতার কথা চিন্তা করে প্রতিদিন অন্তত একটি করে কলা খাওয়া। তবে কখনোই একবারে অধিক পরিমাণ কলা খাওয়া উচিত নয়। এতে করে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা সবাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আপনারা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এরকম নিত্যনতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url