OrdinaryITPostAd

পেয়ারার পাতার অসাধারণ দশটি গুণ - চুলের জন্য পেয়ারা পাতার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আপনি কি পেয়ারার পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা পেয়ারার পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। সেই সাথে পেয়ারার পাতা যে চুলের জন্য উপকারী তাও এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাই এ সমস্ত কিছু জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও এই আর্টিকেল করার মাধ্যমে আপনি পেয়ারার পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। কোন কিছুর উপকারিতা নির্ভর করে সেটি ব্যবহার করার উপর। সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার না করলে কোন কিছু থেকে তেমন উপকার পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই সমস্ত কিছু জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

আমরা প্রায় সকলেই পেয়ারার পুষ্টি গুনের কথা জানি। তবে পেয়ারা পাতার পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। অবহেলিত এই পাতাটি একাধিক রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করতে পারে। এই পাতাটির পুষ্টিগুণ সঠিকভাবে জানলে সত্যিই আপনি অবাক হয়ে যাবেন।আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা খাওয়া শুরু করেন তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন।

পেয়ার পাতায় রয়েছে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও লাইকোপেন পাওয়া যায়। যার কারনে সুগার, কোলেস্ট্ররেল সহ একাধিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে এই পাতা খুবই উপকারী। এছাড়াও পেয়ারার পাতা চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এ পাতা নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়।

এছাড়াও পেয়ারা আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।

পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম

আমাদের সকলের পরিচিত এই পেয়ারা পাতা বিশেষ পদ্ধতিতে যদি আপনি গ্রহণ করেন তাহলে প্রচুর উপকারিতা পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনি কিভাবে পেয়ারা পাতা গ্রহণ করবেন সেই সম্পর্কে। পেয়ারা পাতা বিভিন্ন পদ্ধতিতে খাওয়া যায়। পেয়ারা পাতা খাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রতিদিন সকালে পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা পান করতে পারেন।

পেয়ারা পাতার চা তৈরি করার জন্য বিশুদ্ধ পানিতে কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই পানি ছেঁকে চায়ের মত পান করুন। এছাড়াও আপনি কচি পেয়ারা পাতা কুচি কুচি করে কেটে পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন অথবা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতেও আপনি উপকার পাবেন।

এছাড়াও আপনি যদি চান কয়েকটি কচি পেয়ারার পাতা বেটে সেগুলো থেকে রস বের করে খেতে পারেন। এতে করেও আপনি অনেক উপকার পাবেন। পেয়ারার পাতার রসের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে সামান্য পরিমাণ লবণ ও চিনি মিশ্রিত করতে পারেন। এতে করে আপনার রসটি খেতে সুবিধা হবে।

পেয়ারা পাতার বৈশিষ্ট্য

পেয়ারা পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসায় পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা যায়। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই পেয়ারা পাতা কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • দাঁতের সমস্যায় পেয়ারা পাতা খুব ভালো কাজ করে থাকে।
  • পেয়ারা পাতার পেস্ট ব্রণের উপর লাগালে তা ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
  • নিয়মিত পেয়ারা পাতার চা খেলে পেটে সমস্যা দূর হয় ও কোলেস্টরেল কমাতে সহায়তা করে।
  • পেয়ারা পাতার টনিক বানিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
  • এছাড়াও পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে মাথার চুল পড়া কমে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

পেয়ারা পাতার পুষ্টিগুন

পেয়ারা পাতার অনেক গুনাগুন বা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারা পাতাতে কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা আমরা নিচে আলোচনা করব। চলো তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক পেয়ারা পাতার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
  • কার্বোহাইড্রেট - ১৪.৩২ গ্রাম
  • প্রোটিন - ২.৫৫ গ্রাম
  • স্টার্চ - ৫.৪ গ্রাম
  • ভিটামিন সি - ২২৮.৩ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি - ০.১১ মিলিগ্রাম
  • আয়রন - ১৩.৫০ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম - ১৮ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম - ২২ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস - ৪০ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম -৪১৭ মিলিগ্রাম
এছাড়াও পেয়ারার পাতাতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ফোলেট, ভিটামিন কে, লৌহ, লাইকোপেন সহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান।

পেয়ারা ফলে এবং পাতাতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা বলে শেষ করার মত নয়। তাই আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিমাণ পেয়ারা পাতা রাখতে পারেন। পেয়ারা পাতাতে কোন ধরনের ক্ষতিকারক কোন উপাদান না থাকায় এটি আপনি নির্দ্বিধায় প্রতিদিন খেতে পারেন। পেয়ারা পাতা সেবন করার ফলে অনেক কঠিন রোগ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।

চুলের জন্য পেয়ারা পাতার উপকারিতা

চুলের জন্য পেয়ারা পাতার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। পেয়ারা পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যা চুল লম্বা করতে ও দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। কেননা পেয়ারার পাতায় রয়েছে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি। যা চুলের বৃদ্ধির জন্য দরকারি কোলাজেন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এছাড়াও পেয়ারা পাতা চুলকে উজ্জ্বল ও মজবুত করতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও পেয়ারা পাতা ব্যবহার করার ফলে পেয়ারা পাতার রস চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়তা করে।

চুল পড়া রোধ করতে এবং দ্রুত চুল গজাতে প্রচুর লম্বা করতে আপনি কয়েকটি পেয়ারার পাতা ২০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। এবার ফুটন্ত সেই পানি ভালো হবে ছেঁকে তা ঠান্ডা হতে দিন। এবার সেই পানি আপনার চুলে ব্যবহার করুন এবং ঘন্টা দুয়েক পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এক্ষেত্রে এই পানি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে মাথা যেন পরিষ্কার থাকে। তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। নিয়মিত এই পানি ব্যবহারে চুল দ্রুত লম্বা হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। আপনি চুল পড়া রোধ করার জন্য খুব সহজেই এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।

পেয়ারা পাতা ব্যবহারের নিয়ম

পেয়ারার পাতা আপনি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কয়েকটি পেয়ারার পাতা এবং অল্প কিছু পানি ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে সেই পানি ভালো হবে ছেঁকে এতে সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে তা হিসেবে খেতে পারেন। যা আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এছাড়াও পেয়ারার পাতা চুলের জন্য অনেক উপকারী।

এর জন্য আপনাকে প্রথমে কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে ৩ থেকে ৪ কাপ পানি নিয়ে তাতে কচি পেয়ারার পাতাগুলো দিয়ে ২০ মিনিটের মতো ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ভালোভাবে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। এরপর এটি আপনার চুলে ব্যবহার করুন এবং এক ঘন্টা পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

যদি আপনি আরো ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে এই পদ্ধতিটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অথবা গোসলের পর প্রয়োগ করুন। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন প্রয়োগ করুন। প্রাকৃতিক এই সিরামটি যদি মাসখানেক আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন। এই পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

পেয়ারা পাতা প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। পৃথিবীর প্রায় অনেক দেশেই চায়ের মধ্যে পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে খেয়ে থাকে। এতে প্রচুর উপকারিতা পাওয়া যায়। আজ আমরা জানবো পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন প্রথমে আমরা পেয়ারা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

পেয়ারা পাতার উপকারিতা

ওজন কমাতে সাহায্য করে
শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার, হৃদরোগ সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে পেয়ারা পাতাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। তবে শুধু পেয়ারা পাতা খেয়ে ওজন কমানো যাবে না। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট কন্ট্রোল ও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।

হজম ক্ষমতা উন্নত করে
মানুষের পাচনতন্ত্র যদি ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন পেট ব্যথা, গ্যাস, এসিডিটি ইত্যাদি। তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকলে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমাদের সকলের পরিচিত পেয়ারা পাতা হজম ক্ষমতা উন্নত করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। কারণ পেয়ারা পাতাতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা পাচনতন্ত্রের সমস্যা দূর করে হজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি এক কাপ চা খেতে পারেন এতে হজমের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ টাইপ টু ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত। মানবদেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমলে রক্তে শর্করার পরিবাণ বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিকস আক্রান্ত মানুষের খাবার তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন যা ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে। আসলে পেয়ারা পাতায় রয়েছে এমন কিছু অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান যা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে সেবন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এর উপকারিতা পাবেন।

দাঁতের ব্যথা কমায়
দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে পেয়ারা পাতা হতে পারে অন্যতম একটি মহা ঔষধ। কারণ পেয়ারা পাতাতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লোমেটরি উপাদান তাই ব্যথা কমাতে এই পাতা বিশেষভাবে কার্যকরী। আপনি যদি দাঁতে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে কয়েকটি কচি পাতা আপনার দাঁতে রাখুন। আস্তে আস্তে দাঁত দিয়ে চিবতে থাকুন। এই উপাদান টি প্রাথমিকভাবে আপনার দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। তবে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
পেয়ারা পাতায় রয়েছে লাইকোপেন, কোয়ার্কেটিন, ভিটামিন এবং আরো কিছু পলিফেনল যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগ সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। অবশ্যই এই বিষয়ে সকলের সচেতন থাকা উচিত। কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করতে পেয়ারা পাতা আপনাকে দারুন ভাবে সাহায্য করতে পারে। পেয়ারা পাতা তে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এই ফাইবার রক্তের খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। সকলের পরিচিত পেয়ারা পাতা কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
অনেক সময় দেখা যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চোখের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পেয়ারা পাতায় উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও চোখের ছানি ও বয়সজনিত চোখের সমস্যা দূর করতে পেয়ারা পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
বর্তমান সময়ে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য নামক এই সমস্যায় ভুগছেন। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করার পরেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা পাতা খেতে শুরু করেন তাহলে এই রোগ থেকে অবশ্যই পরিত্রাণ পাবেন। প্রাকৃতিক এই উপাদানে রয়েছে লেকজেটিক উপাদান তাই পেট পরিষ্কার করতে পেয়ারা পাতা খুবই উপকারী একটি উপাদান। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এছাড়াও খুব কম পরিমাণে তেল ঝাল ও মসলা যুক্ত খাবার খেতে হবে।

চুল ভালো রাখে
আমাদের চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে ও মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। আপনি যদি নিয়মিত চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবে। কারণ পেয়ারা পাতা ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া কবে এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় থাকে। পেয়ারা পাতা কোলাজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। আর কোলাজেন নামক উপাদানটি ফিরিয়ে দিতে পারে আপনার ঘন চুল।

কালো দাগছব দূর করতে
মুখের কালো দাগছোপ সত্যিই খুব অস্বস্তিকর। যা আপনার ত্বকে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা কিন্তু এগুলো সারিয়ে তুলতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও মুখের কালো দাগ ছোপ সারাতে সাহায্য করে। কারণ পেয়ারা পাতায় রয়েছে এমন কিছু এন্টিসেপটিক উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই দাগছোপ দূর করার জন্য কয়েকটি কচি পেয়ারা পাতা ভালো করে থেঁতো করে নিন। তারপরে তা দাগছোপ এর উপর কয়েক মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়।

উপরে উল্লেখিত উপকারিতা ছাড়াও পেয়ারার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে, এলার্জি প্রতিরোধ করতে পারে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।

পেয়ারা পাতার অপকারিতা

পেয়ারা পাতার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে পেয়ারা পাতার অপকারিতা উপকারিতা থেকে অনেক কম। কারণ পেয়ারা পাতাতে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুন। ঔষধি গুন থাকা সত্ত্বেও পেয়ারা পাতার কিছু অপকারিতা রয়েছে।

যদি আপনি পরিমাণের চেয়ে বেশি ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে পেয়ারা পাতার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক পেয়ারা পাতার অপকারিতা সম্পর্কে।

পেয়ারা পাতা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা পাতার রস বা পেয়ারা পাতা খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরের রক্তচাপ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কমে যেতে পারে। যার কারনে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

বিশেষ করে গর্ববতী মহিলাদের ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা না খাওয়াই ভালো। যদিও এই বিষয়ে এখনো তেমন কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি সে ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা খাওয়ার পূর্বে গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এছাড়া পেয়ারার পাতা তেমন কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। বরং নিয়মিত ব্যবহারে এটি আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

পেয়ারা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল হওয়ার পাশাপাশি এর পাতা ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। অধিক পরিমাণে এই পাতা সেবন না করলে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কেউ যদি নিয়মিত এই পাতা সেবন করে তবে সে নানা ধরনের উপকার পাবে। বিশেষ করে এই পাতার চা শরীর সুস্থ রাখতে ও ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী।

প্রিয় পাঠক, আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তবে এটি আপনার আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে এই আর্টিকেল থেকে তারাও উপকৃত হতে পারে। এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। এরকম আরো আর্টিকেল করতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url