OrdinaryITPostAd

বিকাশ একাউন্ট লক হওয়ার কারণ - বিকাশ একাউন্ট লক খোলার নিয়ম ২০২৪

প্রিয় পাঠক, আপনার কি বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে? আপনার যদি বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানাবো বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম সম্পর্কে। তাই এ সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বিকাশ একাউন্ট লক হওয়ার কারণ ও লক খোলার নিয়ম
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমাদের নিজের ভুলেই আমাদের বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যায়। এ সময় আমরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি। তাই বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। করবা না

ভূমিকা

অনেক সময় কিন্তু আমাদের বিকাশ একাউন্ট ব্লক হলে কোন রকমের ট্রানজেকশন করতে পারিনা।তিনবারের অধিক যদি আমরা পিন নাম্বার ভুল টাইপ করে থাকি তাহলে কিন্তু আমাদের বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যায়। বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়া মাত্রই আপনি ফোনের ডাইল প্যাড থেকেও কাজ করতে পারবেন না।

আবার আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেন তাহলেও কিন্তু আপনি এটি তে কাজ করতে পারবেন না। তাই বিকাশ একাউন্ট ব্লক থেকে আপনাকে প্রথম অবস্থায় মুক্তি পেতে হবে। তারপরে আপনি বিকাশ অ্যাপ থেকে বিকাশ একাউন্ট থেকে যেকোনো ধরনের ট্রানজেকশন করতে পারবেন। আসুন তাহলে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যাক।

বিকাশ একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ

সাধারণত কয়েকটি কারণে বিকাশ একাউন্ট ব্লক হতে পারে। আর সেগুলো হলো।
  • পিন বারবার ভুল করে লগইন করার চেষ্টা করা।
  • একাধিক বিকাশ একাউন্ট খোলা।
  • দীর্ঘদিন বিকাশ একাউন্টে লেনদেন না করলে।
  • মোবাইল রিচার্জ অস্বাভাবিক হলে।
  • সিম রিপ্লেস করলে।
পিন বারবার ভুল করে লগইন করার চেষ্টা করাঃ বিকাশ পিন ভুলে যাওয়ার পরে আপনি যদি ভুল করে বারবার ভুল পিন দিয়ে লগইন করতে চান। তাহলে কিন্তু আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বারবার ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন না করার চেষ্টা করবেন। কারণ বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার ভুলে গেলে পিন রিসেট করা যায় খুব সহজে।

একাধিক বিকাশ একাউন্ট খোলাঃ এখন অনেকেই দুই ধরনের আইডি কার্ড বানাতে পারে। একটি হলো স্মার্ট কার্ড যেটা সরকার থেকে দেয়া হয়ে থাকে। আর দ্বিতীয়টি হলো লিমিনেটিং আইডি কার্ড।আপনি যদি লিমিনেটিং আইডি কার্ডের মাধ্যমে একাধিক বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকেন। তাহলে সেই কারণে বিকাশ একাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।

দীর্ঘদিন বিকাশ একাউন্টে লেনদেন না করলেঃ বিকাশ একাউন্ট খোলার পর আপনি যদি দীর্ঘদিন কোন লেনদেন না করেন। তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। লেনদেনের বিষয়টি হলো আপনার বিকাশ একাউন্টে যদি কোন টাকা পয়সা না থাকে এবং যদি কোন টাকা পয়সা বিকাশে না ঢুকে। তাহলে সেই কারণে আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।

মোবাইল রিচার্জ অস্বাভাবিকঃ অস্বাভাবিক মোবাইল রিচার্জের কারণেও কিন্তু আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। যেমন- মনে করেন একটু সময়ের মতো একই নাম্বারে বারবার মোবাইল রিচার্জ করলে। সেই কারণে আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। এজন্য এই কাজটি আপনি বারবার করার চেষ্টা করবেন না। একই নাম্বারে বারবার রিচার্জ করার প্রয়োজন হলে একবার রিচার্জ করার পর কমপক্ষে পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার রিচার্জ করতে হবে।

সিম রিপ্লেস করলেঃ আপনার যে সিমের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে সেই সিম যদি রিপ্লেস করেন। তাহলে সেই কারণেও আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে। তবে এমনটি হলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট কাস্টমার কেয়ারের লোকদের সাথে কথা বলেন। তাহলে তারাই আপনার এই সমস্যাটির সমাধান করে দিবে।

বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম ২০২৪

সাধারণত বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার দুইটি নিয়ম রয়েছে। একটি নিয়ম হলো আপনি বাসায় বসে বিকাশ একাউন্ট হেল্প লাইন নাম্বারে কল করে ব্লক খুলে নিতে পারবেন। আর দুই নাম্বার টি হলো সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খুলে নিয়ে আসা।

আপনাকে প্রথমেই জানাই যে বাসায় বসে কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার নিয়ম সম্পর্কে। কাস্টমার কেয়ারে কল দিয়ে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খোলার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে। আর সেগুলো হলো।
  • প্রথমে আপনাকে আপনার মোবাইল থেকে ১৬২৪৭ এই বিকাশ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করতে হবে। আর আপনি এই নাম্বারটিতে যে কোন সিম থেকে কল করতে পারবেন।
  • কল করার পরে তারা আপনার সমস্যার কথাগুলো শুনতে চাইবে। আর আপনি আপনার সব সমস্যার কথা তাদেরকে বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে বলবেন।
  • এরপর আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক খুলে দেওয়ার জন্য তারা কিছু তথ্য চাইবে। যেমন- আপনার নাম, আপনার পিতা মাতার নাম, আপনার জন্ম তারিখ, এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য এগুলো জানতে চাইতে পারে। আর আপনি এগুলো সঠিকভাবে তাদেরকে জানাবেন।
  • এছাড়াও আপনি শেষ কত তারিখে বিকাশে লেনদেন করেছিলেন বা কত টাকা লেনদেন করেছিলেন সেগুলো তথ্য জানতে চাইতে পারে। আপনি সেগুলো তাদেরকে জানিয়ে দিবেন।
  • আপনার সবকিছু তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে তারা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক খুলে দিবে। তারপরে আপনি সেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট আবার ব্যবহার করতে পারবেন।
সাধারণত এইভাবেই হেল্পলাইন নাম্বারে কল দিয়ে বিকাশ একাউন্ট ব্লক খুলে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট ব্লক আরো জটিল হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে চলে যেতে হবে। আপনার কাছে বা আশেপাশ যে কোন বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে চলে যাবেন।

মনে রাখবেন যাওয়ার সময় সাথে করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং আপনার জন্ম তারিখ এগুলো মনে করে নিয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনার যে সিম দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছে, সেই সিম সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। আর যার বিকাশ একাউন্ট তাকে কিন্তু অবশ্যই যেতে হবে। আর এভাবেই আপনি আপনার ব্লক হয়ে যাওয়া বিকাশ একাউন্ট সচল করতে পারবেন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার লাইভ চ্যাট

আপনার যদি বিকাশ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার লাইভ চ্যাট করতে পারেন। আর এই বিকাশ কাস্টমার কেয়ার লাইভ চ্যাট করার জন্য আপনাকে অবশ্যই গুগলে গিয়ে টাইপ করতে হবে https://www.bkash.com/help/livechat এই লেখাটি টাইপ করার পর আপনি বিকাশের ওয়েবসাইটে চলে যাবেন।

তারপর এই ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে আপনি দেখতে পাবেন যে বিকাশ ওয়েবসাইটের নিচে LIVE CHAT লেখা একটি বাটন আছে। আর আপনি যদি ওই বাটনে ক্লিক করেন তাহলে আপনি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার দের সাথে লাইক চ্যাট করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যে কোন বিকাশ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে সেই কথা তাদের বলে সমাধান করে নিতে পারবেন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

বিকাশ সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এবং বিকাশ এর সকল প্রকার তথ্য জানার জন্য বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার রয়েছে। আপনি যদি এই নাম্বারে কল করেন তাহলে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার দের সাথে আপনি সরাসরি কথা বলতে পারবেন। এছাড়াও আপনার নানারকম বিকাশ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করে নিতে পারবেন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার দের সাধারণত দুইটি নাম্বার রয়েছে। আর সেগুলো হলো ১৬২৪৭। আরেকটি নাম্বার হলো ০২-৫৫৬৬৩০০১। বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের এই দুটি নাম্বারে আপনি যেকোন সিম থেকে কল করতে পারবেন। এবং যখন ইচ্ছে তখন কল করতে পারবেন।

বিকাশ একাউন্ট লক হওয়ার আগে সতর্কতা

সাধারণত আপনি যদি তিনবারের বেশি ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট ওপেন করতে চান। তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি কিন্তু ব্লক হয়ে যাবে। আর আপনি এই একাউন্ট থেকে কোন ধরনের ট্রানজেকশন করতে পারবেন না। আবার আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপটি লগইনও করতে পারবেন না।

তার জন্য বলছি আপনি কোন ধরনের ভুল করার আগে আপনার বিকাশ পাসওয়ার্ডটি মনে রাখার চেষ্টা করবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি কোনভাবেই বিকাশ পাসওয়ার্ড মনে না করতে পারেন। তাহলে সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আপনার একাউন্টের নতুন পাসওয়ার্ড করে নিতে পারবেন।

কোন ব্যক্তি যদি আপনার কাছ থেকে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিবে বলে কোন ধরনের চেষ্টা করে থাকে তাহলে এগুলো থেকে অবশ্যই আপনি বিরত থাকুন। এছাড়াও আপনি বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তি ছাড়া কখনোই বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড অথবা পিন নাম্বার সেন্ড করবেন না।

তা না হলে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন যে বিকাশ পাসওয়ার্ডটি পার্সোনাল কোন জায়গায় লিখে রাখার অথবা এমন কোন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে করে আপনি ছাড়া অন্য কেউ জানবে না।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক,আশা করছি আপনারা এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এরপরে যদি এ সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তবে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। সেই সাথে এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। এ আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই তা আপনার পরিবারের মাঝে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url