সকালে কুসুম গরম পানি খেলে যে ১২ টি সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে
প্রিয় পাঠক, আপনি প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি পান করছেন? কিন্তু আপনি এর উপকারিতা বা অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না? তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর। তাই এ সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও এই আর্টিকেল করার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন খাবার খাওয়ার মাঝে মাঝে পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে কিনা। আমাদের শরীরের জন্য পানি অপরিহার্য। তাই পানি সম্পর্কে এসব তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
আমি মানুষের জীবন একটি অপরিহার্য উপাদান। মানুষের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ রয়েছে পানি। তাই শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি। আপনি যদি সঠিক সময়ে পানি পান করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য অমৃত সমান হয়ে উঠতে পারে।
আরো পড়ুনঃ নিয়মিত চা খাওয়ার ফলে যেসব উপকারিতা ও অপকারিতা মানবদেহে হয়ে থাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, দিনে এক থেকে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। এছাড়াও পানি পানে আরো পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপকারিতাও। এমনকি খালি পেটে কুসুম গরম পানি খেলে আমরা বেশ কয়েকটি রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি।
এজন্য আমাদের খালি পেটে কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। খালি পেটে কুসুম গরম পানি পান করার মাধ্যমে আমরা একদিকে যেমন সুঠাম দেহের অধিকারী হবো অন্যদিকে তেমনি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। চলুন তাহলে দেরি না করে সকালে হালকা কুসুম গরম পানি খেলে সেসব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সে সম্পর্কে জেনে নেই ।
সকালে কুসুম গরম পানি খেলে সেসব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক থেকে দুই গ্লাস এবং দিনের যেকোনো খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করা উচিত। নিয়মিত সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি পান করলে যেসব প্রকার পাওয়া যায় সেগুলো হলো-
- আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য আমাদের নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করতে হয়। ব্যায়াম করার পাশাপাশি আপনি প্রতিদিন সকালবেলা নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করতে পারেন। এতে করে আপনার ওজন আরো দ্রুত কমে যাবে। টেস্ট বাড়ানোর জন্য আপনি হালকা গরম পানির মধ্যে মধু মিক্স করে নিতে পারেন।
- আমাদের যাদের গলা ব্যথা বা গলার অন্য কোন সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে এই কুসুম গরম পানি। কুসুম গরম পানির মধ্যে সামান্য পরিমাণ আদা কুচি দিয়ে ভালোভাবে গড়গড়া করলে খুব সহজে গলা ব্যথা দূর হয়ে যায়।
- যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি খেতে পারেন। সকালে নিয়মিত হালকা গরম পানি খেলে আমাদের মুখে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজে। এছাড়াও গরম পানি আমাদের স্কিন সেলের ক্ষত ছাড়িয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে আমাদের ত্বক হয়ে ওঠে টানটান।
- আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি খেতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রাখতে পারবেন অনেকদিন। এছাড়াও ত্বকে জমে থাকা তেল, ধুলাবালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজেই।
- আমাদের শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সক্ষম কুসুম গরম পানি। এক্ষেত্রে যদি আপনি নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করেন তবে সেটি আপনার শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেবে। কুসুম গরম পানি পান করলে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
- যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে ভুলবেন না। কেননা এতে করে আমাদের হজম শক্তির বৃদ্ধি পায় এবং খাবার খুব সহজে হজম হয়ে যায়। এজন্য নিয়মিত হালকা কুসুম গরম পানি পান করা উচিত।
- মেয়েদের পিরিয়ডের সময় মেনস্ট্রুয়াল ক্রাম্পের প্রকোপ কমাতে গরম পানির কোন বিকল্প হয় না। এই সময় গরম পানি পান করা শুরু করলে বা গরম পানি পান করার অভ্যাস করলে আমাদের অ্যাবডোমিনাল মাসলের কার্যক্ষমতা বেড়ে যেতে শুরু করে। এজন্য আমাদের পেট ব্যথা খুবই অল্প সময়ে কমে যায়।
- যারা মানসিক অবস্থাতে ভুগছেন তারা হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। দেখবেন এটাতে আপনার অনেক ভালো বোধ হবে। অন্যদিকে আপনার যদি গায়ে বা পায়ের ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এক্ষেত্রে যদি আপনার ত্বকের সমস্যা থাকে তাহলে এর সাথে কয়েকটি নিম পাতার ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর সেটা দিয়ে গোসল করে দেখবেন আপনার সকল সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
- চুল পড়া ও খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে হালকা গরম পানি। সারা দিনে যদি আমরা হালকা কুসুম গরম পানি পান করি তাহলে আমাদের মাথার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে খুব সহজে। ফলে খুশির প্রভাব কমে যায়। অন্যদিকে কুসুম গরম পানি খাওয়া শুরু করলে আমাদের প্রতিটি হেয়ার সেলের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং আমাদের চুল হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ।
- যারা নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট ব্যথার সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কুসুম গরম পানির পান করবেন। সকালে খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে খুব সহজেই।
- মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই কুসুম গরম পানি। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা বা মাথাব্যথা রয়েছে তারা নিয়মিত ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি খেতে পারেন। এতে করে মাইগ্রেনের সমস্যা সহ বিভিন্ন প্রকার মাথাব্যথা দূর হবে।
- আমাদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন ধরে বাতের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত খেতে পারেন কুসুম গরম পানি। কুসুম গরম পানির সঙ্গে শরীরে মিশে থাকা বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে এবং বাতের ব্যথা ধীরে ধীরে কমে আসবে।
খাওয়ার মাঝে পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে নাকি কমে
আমরা সাধারণত এক গ্লাস পানি নিয়ে ভাত খেতে বসি। কিন্তু তারপরও আমাদের এক গ্লাস পানিতে ভাত খাওয়া পুরোপুরি শেষ হয় না। কিন্তু অনেকে বলেন, খাওয়ার মাঝে পানি খাওয়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। পানি তাহলে আমাদের কখন খাওয়া উচিত? খাওয়ার আগে নাকি খাওয়ার পরে? এটা নিয়ে অনেক মতভেদাভেদ রয়েছে। কিন্তু তারপরও কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে।
যেমনঃ আমরা যখন কিছু খাই তখন খাওয়ার সময় আমাদের মুখে যে লালা বা এনজাইম থাকে সেগুলো আমাদের খাদ্য উপাদান গুলোকে ভেঙে পরিপাকে সাহায্য করে। আবার পাকস্থলীতে খাদ্য পরিপাক হওয়ার সময় খাদ্য পরিপাকের জন্য অনেক পাঠক রস নিঃসরিত হয়। সেগুলো আবার লিভারের পরিপাকে সাহায্য করে।
কিন্তু আমরা যখন খাওয়ার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি খাই তখন এগুলো ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন খাওয়ার সময় পানি না খেতে। কারণ এতে পাচক রস এবং এনজাইমগুলোর কার্যকারিতা কমে যায় ও খাবার থেকে শরীর পুরোপুরি পুষ্টি নিতে পারেনা।
আবার সকালের নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের মত বড় বড় ভারি খাবার খাওয়ার আগে পানি না খাওয়াই ভাল। কারণ ভারী খাবার খাওয়ার আগে যখন আমরা পানি খাই তখন আমরা আর বেশি খেতে পারি না এবং একটু খেতে আমাদের পেট ভারী মনে হয়। আর কিছুক্ষণ পরে আবার ক্ষুধা লেগে যায়। এজন্য ভারী খাবার খাওয়ার আগে বেশি পানি না খাওয়াই ভালো।
আবার খাবার খাওয়ার শুরুতে যদি আমরা পানি খাই তাহলে আমাদের মুখে যে লালা নিঃসরণ শুরু হয় সেটি ধুয়ে যায়। অন্য দিকে খাদ্য পরিপাকের জন্য আমাদের শরীরে যথেষ্ট পানি থাকা দরকার। পিপাসার্ত অবস্থায় পেট ভরে যদি আমরা কিছু খাই তাহলে আমাদের লিভার ঠিকঠাক মতো কাজ করে না।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন, খাওয়ার অন্তত আধা ঘন্টা আগে বা পরে এক গ্লাস করে পানি খেতে। এতে করে আমাদের খাবার পরিপাক হয় খুব সহজে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, পানি খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় বা হিসাব করে খাওয়ার দরকার নেই। যখনই পিপাসা লাগবে বা পানি খেতে মন চাইবে তখনই পানি খাবেন।
আবার বিশেষজ্ঞরা এমন কথাও বলে থাকেন যে, খাবারের পরপর বা খাওয়ার মাঝে অতিরিক্ত পানি খেয়ে ফেললে আমাদের হজমে সমস্যা দেখা হবে। তাই খুব প্রয়োজন না হলে খাওয়ার মাঝে বেশি পানি না খাওয়াই উত্তম। তবে যদি খুব প্রয়োজন হয় তাহলে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পানি খেতে পারেন। আর অবশ্যই খাবার খাওয়ার সময় ভালোভাবে খাবার গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
সকালে গরম পানি পান করার মাঝে কয়েকটি ভুল
এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম সকালে হালকা কুসুম গরম পানি খেলে সেসব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এবং খাওয়ার মাঝে পানি খেলে গ্যাস থেকে সমস্যা বেড়ে যায় কিনা সে সম্পর্কে । আমরা হয়তো ইতিমধ্যে জেনে গেছি যে খালি পেটে কুসুম গরম পানি পান করার কতগুলো উপকারিতা রয়েছে।
খালি পেটে কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যাস থাকলেও এই পানি পান করার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলোতে ভুল করার কারণে অনেকেই শারীরিক উপকারিতা পাচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন দিনে এক থেকে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কুসুম গরম পানি পান করার ফলে আমাদের হজম ক্ষমতা বেড়ে যায় ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়।
তবে আমাদের মধ্যে অনেকেরই সকালে গরম পানি পান করার মাঝে কম বেশি ভুল ধারণা রয়েছে। আর তখনই ঘটে বিভিন্ন রকম বিপত্তি। এজন্য কুসুম গরম পানি পান করার সময় কিছু অভ্যাস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। যেমনঃ খুব বেশি গরম পানি পান করা উচিত না। সকালে স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য খুবই হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।
কেননা অত্যধিক গরম পানি আমাদের মুখ, গলা এবং পরিপাকতন্ত্রের কিছু উপকারী টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। এজন্য আপনি হালকা গরম পানি পান করবেন। আপনি যে পানি পান করছেন তার উৎস কোথায় সেটা জানা আসলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা কলের পানিতে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে বাঁচতে পরিষ্কার এবং ফিল্টার করে পানি খাওয়া উচিত। সেজন্য অবশ্যই পানি পান করার ক্ষেত্রে বিশুদ্ধতার কথা খেয়াল রাখুন। অনেক সময় আমরা গরম পানি প্লাস্টিকের পাত্রে নিয়ে পান করে থাকি।
কিন্তু আমরা যখন গরম পানি প্লাস্টিকের পাত্রে নেই তখন সেই পাত্র থেকে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে আসতে পারে। এজন্য গরম পানি সংরক্ষণ এবং পান করার ক্ষেত্রে কাচের বা স্টিলের পাত্র সব সময় বেছে নিতে হবে। কেননা এ ধরনের পাত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
লেখকের মন্তব্য
পানি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। পানি ছাড়া আমরা এক মুহূর্তেও চলতে পারি না। আমাদের শরীরের সমস্ত কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন পানি। তবে সেই পানিতে অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আমাদের উচিত এই অভ্যাসটি তৈরি করার।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে অবশ্যই তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে তা আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url