সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আপনি নিয়মিত সরিষার তেল খাচ্ছেন? কিন্তু আপনি জানেন না এটি আপনার শরীরের জন্য উপকারী না ক্ষতিকর? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই এই সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বাচ্চাদের জন্য সরিষার তেল উপকারী না ক্ষতিকর। আমরা সাধারণত রান্নার কাজে ও মালিশের ক্ষেত্রে এই তেলের ব্যবহার করে থাকি। তাই এই তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
সরিষার তেল মূলত তৈরি করা হয় সরিষা নামক এক ধরনের বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের বীজ থেকে। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন কাজে এই তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। আমরা সচারাচর বিভিন্ন রান্নার কাজে এই তেল ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে বিভিন্ন আচার তৈরিতে ও ভর্তায় এই তেলের ব্যবহার হয়ে থাকে।
এই তেলের অনেক ঔষধি গুনাগুন থাকায় বর্তমানে এই তেলের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই তেলে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে। যেগুলো শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
সরিষার তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারী গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি নিরাময়ে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পর্বে আমরা সরিষার তেলের স্বাস্থ্য প্রভাবিত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন সরিষার তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক-
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সরিষার তেলের জুড়ি মেলা ভার। সরিষা তেলে মনোস্যাচুরেটেড এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, ওমেগা -৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ । এই দুটি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগে ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে সরিষার তেলের হাইপোকলেস্টেরোলেমিক এবং হাইপো লিপিডেমিক প্রভাব রয়েছে। যার কারনে এটি খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে । এর ফলের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
পেশি ব্যথা, বাত ব্যথা, জয়েন্ট ব্যথাঃ বহু বছর ধরেই সরিষার তেল পেশি ব্যথা ,বাত ব্যথা ,জয়েন্ট ব্যথা মুক্তির কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আবার নিয়মিত এই তেল শরীরে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। সরিষার তেলে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড জয়েন্টের ব্যথা ও বাতের ব্যথা নিরাময়ে সহায় ও ভূমিকা পালন করে থাকে।
ওজন কমাতেঃ সরিষার তেলে রয়েছে নায়াসিন ও রিবোফ্লাভিন নামক দুটি পুষ্টি উপাদান। যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে এই দুটি পুষ্টি উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে।
দাঁতের সমস্যাঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদের সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে মাড়ির প্রবাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । সরিষার তেল এবং লবণের ব্যবহার মৌখিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটিয়ে থাকে। তাছাড়াও সরিষার তেল লবন ও হলুদ পেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্যান্সারঃ ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ । এটাকে সবাই ভয় পেয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে রেহায় পেতে সরিষার তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সরিষার তেলে থাকা এলিল আইসোথিওসায়ানেট ক্যান্সার বিরোধী হিসেবে কাজ করে এবং এটি কোষের বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। যার ফলে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি পায় না।
হাঁপানিঃ হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেলের ভূমিকা অপরিসীম। হলুদ এবং সরিষার তেল এটা থেকে রেহাই পেতে অনেকটা সহায়ক।
ফুসফুস ভালো রাখতেঃ সরিষার তেল ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। সরিষার তেলের সাথে সামান্য পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে উষ্ণ গরম করে তা বুকে ও পিঠে মালিশ করলে ভিতরে জমে থাকা কফ ও ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সাথে যাদের এজমার সমস্যা রয়েছে তারাও এর থেকে উপকৃত হতে পারেন।
পোকামাকড় প্রতিরোধকঃ সরিষার তেল প্রয়োগের সুবিধা হল এটা পোকামাকড় প্রতিরোধক। এই তেল শরীরে লাগালে মশা বা অন্যান্য পোকামাকড় দূরে থাকে ।
সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ সরিষার তেল সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং এটা শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। শরীরে বিভিন্ন ধরনের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে, ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ সরিষার তেল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিস আপনি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তবে আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা এতে বিদ্যমান স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকে সাহায্য করে। এছাড়াও মনোযোগ বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ ত্বকের জন্য সরিষার তেল খুবই উপকারী। এটি বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩, ওমেগা ৬, ফ্যাটি অ্যাসিড , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই যা বার্ধক্য জনিত সমস্যাকে ত্বরান্বিত করে এবং শরীরে বয়সের ছাপ বুঝতে দেয় না।
চুলের জন্যঃ অনেকেই আছেন যারা চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করেন। সরিষার তেল মাথা, ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটা চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব যা খুশকি সমস্যা কে নির্মূল করতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকের চুলকানি সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
সরিষার তেলের প্রকারভেদ
- পরিশোধিত তেলঃ হল মেশিনের সাহায্যে সরিষা থেকে যে তেল বের করা হয় তাকে বোঝায়। তবে এই তেলের স্বাদ তিক্ত এবং এটি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাদা ,কালো, বাদামি সরিষার বীজ থেকে পরিশোধিত সরিষার তেল বের করা হয়ে থাকে।
- গ্রেড -১ কাচ্চি ঘানিঃ কাচ্চি ঘানি সরিষার তেল বিশুদ্ধ ।তাই বেশিরভাগ গৃহিনী রান্নার জন্য এই তেল পছন্দ করে থাকেন। আবার এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- গ্রেট- ২ঃ গ্রেড ২ রান্নার জন্য নয় । এই তেলটি সাধারণত থেরাপির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বাচ্চাদের সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা
সরিষার তেল মূলত সরিষা নামক এক ধরনের বীজ থেকে তৈরি করা হয়। এই তেল পুষ্টিগুনে ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে এর মত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। এছাড়াও এই তেলে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ফ্যাট সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। তাই এই তেল শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সরিষার তেলের উপকারিতা গুলো হলো-
স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশঃ সরিষার তেলে বিদ্যমান ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশিঃ সরিষার তেলে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বিদ্যমান থাকে। এইসব উপাদান শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও সরিষার তেলে বিদ্যমান ভিটামিন শিশুকে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
আরো পড়ুনঃ মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
চুলের জন্যঃ সরিষার তেল চুলের জন্যও অনেক বেশি উপকারী। এতে বিদ্যমান ভিটামিন ই ও জিংক চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ শিশুদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সরিষার তেল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাট হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। সেই সাথে ফ্যাট কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ সরষের তেলে বিদ্যমান ভিটামিন ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বিশেষ করে এতে বিদ্যমান ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
বাচ্চাদের সরিষার তেল খাওয়ার অপকারিতা
বাচ্চাদের সরিষার তেল খাওয়ার অনেক বেশি উপকারিতা থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরিষার তেল খাওয়া শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেমন-
- যদি কোন শিশুর সরিষার তেলে এলার্জি থাকে তবে সেই শিশুকে সরিষার তেল খাওয়ানো থেকে বিরত রাখতে হবে। নয়তো তার দেহে চুলকানি, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও তার শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- যদি কোন শিশুকে অতিরিক্ত সরিষার তেল খাওয়ানো হয় তবে তার ওজন বৃদ্ধি জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- যেসব শিশুর হজমে সমস্যা রয়েছে সেসব শিশুকে সরিষার তেল খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো তার হজমের সমস্যা আরও বেশি হবে।
সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ
সরিষের তেলের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমরা বিভিন্ন কাজে সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকি। নিচে প্রতি ১০০ গ্রাম সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ আলোচনা করা হলো-
- শক্তিঃ ৮৮৪ কিলো ক্যালরি
- ফ্যাটি অ্যাসিড, মোট স্যাচুরেটেড - ১১.৫৮২ গ্রাম
- ফ্যাটি এসিড, মোট মনোস্যাচুরেটেড - ৫৯.১৮৭ গ্রাম
- ফ্যাটি অ্যাসিড, মোট পলিআনস্যাচুরেটেড - ২১.২৩ গ্রাম
এছাড়াও এই তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, সেলেনিয়াম, ফ্যাট সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
সরিষার তেল ব্যবহার করার নিয়ম
সরিষার তেল আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির কাজে ব্যবহার করি । তাছাড়াও এই তেল অন্যভাবেও ব্যবহার করা যায় । তো চলুন জানি সরিষার তেল ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে।
- এই তেল আচার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- নিরামিষ এবং আমিষ খাবার তৈরিতে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়।
- এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রান্না এমন কি ডাল, ফ্রাই করা যেতে পারে।
- সরিষার তেল লেবু এবং মধুর সাথে সালাদের যোগ করেও ব্যবহার করা যায়।
- আবার এই তেল আমরা মাথার চুল ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারি।
সরিষার তেল কখন ব্যবহার করবেন
- দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- সকালের নাস্তায় সরিষার তেল দিয়ে তৈরি আচার খেতে পারেন।
- সরিষার তেল দিয়ে আমিষ নিরামিষ রান্না খাবার আপনি বিকেলে বা রাত্রে খেতে পারেন।
- সরিষার তেল দিয়ে তৈরি টিকিয়া, পনির, মন্সুরিয়ান সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন।
- আবার সরিষার তেল মাথা এবং চুলে লাগাতে চাইলে গোসলের পর চুলে লাগাতে পারবেন। আবার রাতে ঘুমানোর আগেও চুলে সরিষার তেল লাগাতে পারবেন।
সরিষার তেলের অপকারিতা
সব উপদানেরই ভালো দিক যেমন রয়েছে তেমনি খারাপ দিক ও রয়েছে। তাই সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা এই দুটি দিকই রয়েছে। সরিষার তেল অতিরিক্ত খাওয়া কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- ইরুসিক নামের এক ধরনের এসিড রয়েছে সরিষার তেলে যা হার্টের ক্ষতি সাধন করতে পারে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইরোসিক এসিড হৃদপিন্ডের পেশীতে লিপিডোসিস ঘটিয়ে থাকতে পারে এবং হার্টের টিস্যুর ও ক্ষতি সাধন করতে পারে।
- আবার সরিষার তেল কিছু মানুষের শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করে। তাই যাদের সরিষার তেলে এলার্জি রয়েছে তাদের এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এছাড়া সরিষার তেলের তেমন কোন অপকারী দিক নেই। তাই রান্নার কাজে এবং অন্যান্য প্রয়োজনে সরিষার তেল ব্যবহার করাই উত্তম।
লেখকের মন্তব্য
বয়স্ক কিংবা শিশু সবার জন্যই সরিষার তেল অনেক বেশি উপকারী। অন্যান্য খাবার তেলের তুলনায় এই তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্য উপকারী ও সহজলভ্য। এই তেলের ঝাঁঝালো স্বাদ খাবারের স্বাদকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে যাদের এই তেল ফেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাদের এই তেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মাশরুমের ২৩ উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও চাষ পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে অবশ্যই তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে তা আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url