OrdinaryITPostAd

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ - ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়

প্রিয় পাঠক, আপনি বা আপনাদের পরিবারের কেউ কি গর্ভবতী? এখন আপনি ইন্টারনেটে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে কিভাবে বুঝবেন তা লিখে সার্চ করছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এয়ারটে গেলে আমরা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ আলোচনা করব। তা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সন্তান মহান আল্লাহর একটি নেয়ামত। তাই সন্তানের যথাযথ যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। গর্বের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সে সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

নবাগত শিশু একজন বাবা ও মায়ের কাছে অনেক বেশি প্রিয়। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বাচ্চা জন্মদানের পূর্বেই আমরা জানতে পারি গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে। তবে পূর্বে এমন কোন প্রযুক্তি না থাকার কারণে বিভিন্ন লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে দাদি নানিরা গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে থাকতেন। যদিও এগুলোর কোন বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা বা প্রমাণ নেই।

বর্তমানে সকল কাজে নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও আমাদের সমাজ এখনো নারীর তুলনায় পুরুষকে বেশি সম্মান দিয়ে থাকে। তাই একজন গর্ভবতী মা ও তার আশেপাশের লোকজন সকলেই যায় যেন গর্ভের সন্তানটি পুত্র সন্তান হয়। যদিও এতে তাদের কোন হাত থাকে না। একমাত্র মহান আল্লাহতালার নির্দেশেই গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ হয়।

একজন গর্ভবতী মহিলার সন্তান সাধারনত ৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে এই সময়টি আরো কমে গিয়ে তা ৩২ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এর অনেক আগেই গর্বের সন্তান কি হবে তা বুঝা যায় বিভিন্ন লক্ষণের মাধ্যমে। এই আর্টিকেলে আমরা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

বাচ্চা ডান পাশে নড়াচড়া করলে কি হয়

গর্ভধারণের জন্য মায়ের কাছে অনেক বেশি আনন্দের। আর যদি হয় তার প্রথম গর্ভধারণ তাহলে তো আনন্দের সীমা থাকে না। সেই সাথে মনের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন জাগে। যার উত্তর খোঁজার জন্য অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকে। তেমনি একটি প্রশ্ন হলো গর্ভের বাচ্চা ডান পাশে নড়াচড়া করলে কি হয়?

আমরা সকলেই জানি গর্ভের বাচ্চা সাধারণত পাঁচ মাস বয়স থেকে নড়াচড়া করতে শুরু করে। এরপর যত সময় অতিবাহিত হয় শিশুর শারীরিক অবস্থারও তত পরিবর্তন হতে শুরু করে। অর্থাৎ শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি হতে থাকে। যখন শিশুর বড় হয় তখন সে নিজে নিজেই পেটের মধ্যে নড়াচাড়া করতে শুরু করে।

পূর্বে একজন গর্ভবতী মায়ের শারীরিক বিভিন্ন লক্ষণ ও বাচ্চা নড়াচড়ার উপর ভিত্তি করে বাচ্চা সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা করা হয়। বর্তমান সময়েও গ্রামাঞ্চলে গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন লক্ষণ ও বাচ্চা নড়াচার উপযুক্ত করে ধারনা করা হয় বাচ্চা ছেলে হবে নাকি মেয়ে। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির অর্থাৎ আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা যায় বাচ্চা ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে।

তবে যখন এই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না তখন গ্রামের বয়স্ক অভিজ্ঞ লোকেরা গর্ভের বাচ্চার গতিবিধির ও মায়ের অবস্থার উপর ভিত্তি করে ধারণা করতেন সন্তান কেমন হবে ও কি সন্তান হবে। যদিও তাদের এ ধারণার কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা নেই। মূলত তাদের অভিজ্ঞতা থেকে তারা এমন ধারণা করেন। তাদের এই ধারণা থেকেই বলা হয় যে বাচ্চা যদি ডান পাশে নাড়াচাড়া করে তবে গর্ভের বাচ্চাটি ছেলে সন্তান হয়।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের এমনকি পরিবারের সবার মাথায় একটি চিন্তা থাকে যে সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে। সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে দুটোই নির্ভর করে বাবার উপর। যদি বাবা থেকে Y ক্রোমোজোম গ্রহণকারী শুক্রাণু মাতৃগর্ভে প্রবেশ করে তবেই ছেলে সন্তান হবে। এছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়।

তবে এসব লক্ষণের বিজ্ঞানসম্মত কোন প্রমাণ নেই। দাদি নানীরা কিছু লক্ষণ দেখেই অনাগত সন্তানের লিঙ্গ বলে দিতে পারেন। দাদি নানিদের অভিজ্ঞতা থেকে তারা এসব ধারণা করে থাকেন। তবে এসব ধারণা কখনোই শতভাগ নিশ্চিত নয়। ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ হলো-
  • গর্ভাবস্থায় প্রায় প্রতিটি নারীকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই সময় প্রায় প্রত্যেকেরই অলসতা ভাব বেড়ে যায়। ধারণা করা হয় যদি গর্ভের সন্তান ছেলে হয় তবে অলসতা ভাব একটু কম লাগে। আর যদি গর্ভের সন্তান মেয়ে হয় তবে বেশি অলস মনে হয়।
  • অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভে যদি কন্যা সন্তান থাকে তবে বেশি বেশি মুড সুইং হয়ে থাকে। এ সময় কথায় কথায় যদি রাগ ও কান্না পেয়ে থাকে। আর এর বিপরীত লক্ষণ প্রকাশ পেলে পুত্র সন্তান হয়।
  • অনেকেই আবার গর্ভবতী মায়ের চুলের অবস্থা দেখে বলে দিতে পারে সন্তান পুত্র নাকি কন্যা। যদি গর্ভাবস্থায় আপনার চুল উজ্জ্বলতা হারায় ও চুল পাতলা হয়ে যায় তবে ধারণা করা হয় আপনি একটি ফুটফুটে কন্যার জন্ম দিতে যাচ্ছেন। আর যদি কেউ আগের থেকে অনেক বেশি সুন্দর ও ঘন হয় তবে আপনি পুত্র সন্তানের মা হতে চলেছেন।
  • ‘দ্য ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যদি গর্ভবতী মহিলা বেশি বেশি বমি করে তবে তার কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেননা কন্যা সন্তান হলে শরীরে হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয় তাই বমি বেশি পায়। আর এর বিপরীত হলে পুত্র সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • আপনার ঘুমানোর ধরনের উপর ভিত্তি করে গর্ভের শিশু ছেলে নাকি মেয়ে তা বোঝা যায়। যদি আপনি নিজের অজান্তেই বেশিরভাগ সময় ডান দিক ফিরে ঘুমান বা শুয়ে থাকেন তবে মেয়ে হবার সম্ভাবনা বেশি এবং বাম দিক ফিরে শুয়ে থাকতে বেশি পছন্দ করলে গর্ভের সন্তানটি ছেলে বলে ধারণা করা হয়।
  • অনেক লোক গর্ভাবস্থায় পেটের আকার দেখে বলে দিতে পারেন সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। তাদের ধারণা যদি গর্ভাবস্থায় মায়ের পেট নিচের দিকে বেশি ঝুলে যায় তবে ছেলে সন্তান হবে। আর যদি পেট উপরের দিকে উঁচু হয় তবে মেয়ে সন্তান হবে। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন মায়ের পেটে আকার নির্ভর করে তার শারীরিক গঠনের উপর। সন্তানের লিঙ্গের উপর নয়।
  • গর্ভাবস্থায় অনেকেই কিছুই খেতে পারেন না আবার অনেকেই অনেক বেশি খেতে পছন্দ করেন। যদি আপনার খাবারের তালিকায় মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রাধান্য থাকে তবে বুঝতে হবে গর্ভের সন্তানটি মেয়ে। আর যদি নোনটা বা টক জাতীয় খাবার খেতে বেশি ইচ্ছা হয় তবে খুব শীঘ্রই আপনার কোল আলো করে একটি পুত্র সন্তান আসতে চলেছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
  • সন্তান প্রসবের দিন যত এগিয়ে আসে মহিলাদের স্তনের আকার ততো বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ সময় যদি বাম দিকের স্থান ডান দিকের স্তনের তুলনায় বেশি বড় হয় তবে সন্তানটি কন্যা সন্তান বলে ধরে নেয়া যায়। অন্যথায় সন্তানটি পুত্র সন্তান বলে ধরে নেওয়া যায়।
  • সন্তান পুত্র নাকি কন্যা তা একটি ছোট্ট পরীক্ষার মাধ্যমেই বোঝা যায়। এক্ষেত্রে একটি গ্লাসে পানি ও বেকিং সোডা নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ আপনার ইউরিন মেশান। যদি সেটি বিক্রিয়া করে ফেনা উঠে ও শব্দ করে তবে গর্ভের সন্তানটি পুত্র সন্তান এবং যদি মিশ্রণটি কোন বিক্রিয়া না করে তবে গর্ভের সন্তানটি কন্যা সন্তান বলে ধরে নেয়া যায়।
  • আবার অনেকে ধারণা করে থাকেন মেয়ে সন্তান মায়ের উজ্জ্বলতা কেড়ে নেয়। তাই যদি গর্ভাবস্থায় মায়ের ত্বক ফ্যাকাশে ও মলিন হয়ে যায় তবে গর্ভের সন্তানটি কন্যা সন্তান এবং এর বিপরীত হলে গর্ভে সন্তানটি পুত্র সন্তান।
  • বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যদি গর্ভের সন্তানের হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ১৪০ বিট হয় তবে গর্ভের সন্তানটি ছেলে এবং যদি তার হৃদস্পন্দন ১৪০ এর বেশি হয় তবে গর্ভে সন্তানটি মেয়ে। তবে কিছু গবেষণা অনুযায়ী বলা যায় গর্ভাবস্থায় ছেলে বা মেয়ের হৃদস্পন্দনের খুব বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না।
  • গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডিম্বস্ফোটনের সময় সঙ্গম করলে Y ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু দ্রুত ডিম্বকে পৌঁছাতে পারে। এর ফলে পুত্র সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • সঙ্গম করার সময় যদি যোনির পিএইচ ব্যালেন্স ক্ষারীয় হয় তবে পুত্র সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেননা Y ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু ক্ষারীয় পরিবেশে বেশি টিকে থাকতে পারে।
  • কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে গর্ভধারণের পূর্বে পুরুষের খাদ্যে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম বেশি থাকলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং মায়ের খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকলে কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এসব লক্ষণ দেখে কখনোই গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ কিভাবে তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো আল্ট্রাসনোগ্রাম। গর্ভের সন্তানের বয়স পাঁচ মাস অতিক্রম করলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ বলে দিতে পারেন। এটি নির্ভরযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয় ॥ ছেলে সন্তান কত মাসে হয়

গর্ভকালীন সময়ে আমাদের মাঝে নানা ধরনের প্রশ্নের উদ্রেগ হয়। এ সময় সবচেয়ে বেশি ও কমন যে প্রশ্নটি আমাদের সবার মাঝে উদিত হয় তাহলে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। আবার যদি আমরা জানতে পারি গর্ভের সন্তান ছেলে হবে তবে আরেকটি প্রশ্ন আমাদের মনে মাথা চারা দিয়ে ওঠে যে ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে বা কত মাসে হয়ে থাকে।

আপনার মনেরও যদি এমন প্রশ্নের জাগরণ হয় তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বে আমরা ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে বা মাসে হয় সে নিয়ে আলোচনা করব। মূলত গর্ভের সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে তা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। একজন সন্তানের পরিপূর্ণ গঠন হতে ৩৬ থেকে ৩৭ সপ্তাহ বা ৯ মাস সময় লাগে।

এই ৯ মাস পর যেকোনো সময় গর্ভবতী মহিলার প্রসব বেদনা উঠতে পারে। তার প্রসব বেদনার উপর ভিত্তি করে গর্ভের সন্তানের ডেলিভারি নিশ্চিত করা হয়। সেটি ৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো সময় হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় এর আগেও ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে।

তাই আপনি যদি মনে করেন গর্ভের ছেলে ও মেয়ে সন্তানের হওয়ার সময় আলাদা আলাদা তবে আপনি ভুল ভাবছেন। গর্ভে যেই সন্তানই থাকুক না কেন তার হওয়ার সময় সাধারণত ৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে যেসব গর্ভবতী মহিলারা অপুষ্টিতে ভোগে তাদের এর আগেও সন্তান হতে পারে। তাই গর্ভের ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে বা মাসে হবে তা সঠিকভাবে বলা অসম্ভব।

ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে

গর্ভাবস্থায় ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে এ বিষয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নাই। আজ থেকে ২০ বছর আগে যখন বাংলাদেশে আল্ট্রাসনোগ্রাফি এত সহজলভ্য থাকছিল না তখন আমরা গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা জানতে পারতাম না। তখন বেশ কিছু লক্ষণ দেখে ধারণা করা হতো গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। এই পর্বে ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে তা আলোচনা করা হবে।

সন্তান পেটে আসার পর থেকেই আমাদের মাঝে অনেক কৌতূহল কাজ করে। বিশেষ করে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা জানতে ইচ্ছা করে। কেননা আমাদের দেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ছেলে সন্তানের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। পূর্বে যখন আলট্রাসনোগ্রাম ছিল না তখন বিভিন্ন লক্ষণ পর্যালোচনা করে দাদি-নানিরা সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে থাকতেন।

সাধারণত একটা শিশু পেটের সমস্ত জায়গায় নড়াচড়া করে। হোক সে ছেলে অথবা মেয়ে। পেটের মধ্যে বাচ্চা যখন বড় হতে শুরু করে তখন সে এমনভাবে নড়াচড়া করে যেন সে সেখানে সাঁতার কাটছে। তাই বলা যায় বাচ্চা ছেলে হোক বা মেয়ে সে পেটের সব জায়গায় নড়াচড়া করে।

তবে আগে ধারণা করা হতো গর্ভের সন্তান ডান দিকে নড়াচড়া করলে তা ছেলে সন্তান হয়। এই ধারণাটি ১০ জনের মধ্যে.৭ জনের ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও এর কোন বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা নেই। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধারণা সঠিক হয় বলা যেতে পারে ছেলে সন্তান পেটের ডানদিকে নড়াচড়া করে।

নাভি কেমন হলে ছেলে হয়

আগে যখন আল্ট্রাসনোগ্রাম ছিল না তখন দাদি নানিরা বিভিন্ন লক্ষণ এর উপর ভিত্তি করে নবাগত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে থাকতেন। তবে তাদের এই নির্ধারণটি ছিল সম্পূর্ণ ধারণার উপর ভিত্তি করে। এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বা ব্যাখ্যা নেই। তেমনি একটি ধারণা হলো নাভির টাকা আকৃতি দেখে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা।

গর্ভকালীন অবস্থায় অনেক নারীর নাভির ভিতরের দিকে ঢুকে যায় আবার অনেকের নাভির বাইরে বের হয়ে আসে। এ সময় নাভির আকার অনেকটা ফুলে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তবে অবাক হলেও সত্যি আগের দিনে দাদি নানিরা এই নাভির আকার দেখেই বলে দিত গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে।

যদি গর্ভবতী মহিলার নাভী বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে তবে গর্ভের সন্তানটি পুত্র সন্তান এবং যদি নাভিটি ভিতর দিকে ঢুকে যায় তবে গর্ভের সন্তানটি কন্যা সন্তান বলে ধারণা করা হয়। আবার অনেকে মনে করেন গর্ভাবস্থায় যদি নাভি পেটের ডানে বা বামে থাকে তাহলে মেয়ে সন্তান হয় এবং নাভি যদি পেটের মাঝখানে উঁচু হয়ে থাকে তবে পুত্র সন্তান হয়। তবে এসব ধারণা কল্পনা মাত্র এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

লেখকের মন্তব্য

বর্তমান পৃথিবীতে বিশেষ করে বাংলাদেশসহ আশেপাশের অঞ্চলের ছেলে সন্তানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। যদিও সন্তান আল্লাহর দান। আল্লাহ নিজেই সন্তানের লিঙ্গ ঠিক করে থাকেন। এতে মানুষের কোন হাত নেই। তবুও অনেক পরিবার কন্যা সন্তান হলে অখুশি হন। যেটা একেবারে উচিত নয়। আমাদের উচিত গর্ভের সন্তান যেন সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসে সেই কামনা করা। হোক সেটি ছেলে অথবা মেয়ে।

প্রিয় পাঠক, আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনি এটি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url