মোটা হওয়ার সহজ উপায় - মাত্র সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
প্রিয় পাঠক, আপনার শরীর কি রোগা-পাতলা? আপনি চিন্তা করছেন কিভাবে মোটা হওয়া যায়? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন কিভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করবেন। তাই আর দুশ্চিন্ত নয়, মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এছাড়াও এই আর্টিকেল করার মাধ্যমে আপনি মাত্র ৭ দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা অনেকেই আছি যাদের শরীর অনেক চিকন। তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মোটা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাই মোটা হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভূমিকা
মোটা হতে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভাস ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম। তবে অনেকেই মোটা হতে হলে প্রতিদিন যেই পরিমানে খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয়, সেই পরিমাণ খাবার খাওয়ার পরেও অনেকেরই শরীর চিকন হয়ে থাকে। কিন্তু যদি আপনি সঠিক উপায়ে রুচিসম্মত খাবার খেয়ে থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে আপনার শরীর মোটা হতে শুরু করবে।
আপনার নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রেখে সঠিক নিয়মে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। এমনকি নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। কেননা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা হয় না। এজন্য আমাদের ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। যদি এর পরিবর্তে আপনি রাত জেগে মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ব্যবহার করতে থাকেন, তাহলে সেটি আপনার শরীরের উপর একটি প্রভাব ফেলতে পারে।
অথবা অতিরিক্ত পরিশ্রম এর ফলেও স্বাস্থ্যের কোন ধরনের উন্নতি নাও হতে পারে। আপনি পরিমিত খাবার খেলেও আপনার মোটা হওয়ার জন্য সেটি কাজ নাও করতে পারে। তবে আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার খেতে পারেন তবে খুব দ্রুত আপনি মোটা হয়ে যাবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিই।
রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় ॥ মোটা হওয়ার ফর্মুলা
আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম করে চলতে হবে। আপনি হয়তো খুব বেশি অবাক হয়ে যাচ্ছেন যে, অতি তাড়াতাড়ি কি কখনো মোটা হওয়া যায়? কিন্তু আপনি অবাক হয়ে গেলেও এটিই সত্যি যে আপনি যদি এই টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে মোটা হতে পারবেন।
প্রকৃতিগতভাবে যদিও অনেকেই মোটা হয়ে থাকে কিন্তু চিকন থেকেও মোটা হওয়া যায়। তবে আপনি খুব তাড়াতাড়ি কিভাবে মোটা হতে পারেন সেই সম্পর্কে কিছু টিপস নিতে পারেন। আসুন সেই সকল টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন
মোটা না হওয়ার পেছনে খাদ্যাভাস অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। কারণ আপনার মধ্যে যদি সঠিক কোন খাদ্যাভাসের অভ্যাস না গড়ে উঠে, তাহলে আপনার স্বাস্থ্য কখনোই বৃদ্ধি পাবে না যার ফলে আপনি সবসময়ই চিকন থাকবেন। খাদ্যাভাসে সঠিক পরিবর্তন আসলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে শুরু করবেন। তাই সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাট, ভিটামিন এবং অন্যান্য আরোও অনেক জাতীয় খাবার রাখুন।
প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি খান
আপনার স্বাস্থ্য বাড়াতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আর এতে যেই পরিমাণে উচ্চ ক্যালোরি রয়েছে তা আপনার মোটা হওয়ার চাহিদাকে পূরণ করতে পারে। এরমধ্যে আপনি চাইলে লাল শাক, কচু শাক, পালং শাক, পাকা পেঁপে, কাঁচা কলা, মিষ্টি কুমড়া, জাম, লিচু, কলা, আম, ডালিম, আঙ্গুর, কমলা, এবং আরো অন্যান্য যেই সকল শাকসবজি ও ফলমূল রয়েছে সেইগুলো খেতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন
যদি আপনি না ঘুমানোর রোগে ভুগে থাকেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্য খারাপের দিকে যেতে পারে। আপনাকে নিয়ম করে প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। কারণ আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা না ঘুমান, তাহলে আপনার শরীরের উপর সেটির একটি খারাপ প্রভাব পড়ে। যার ফলে আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তাই আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমের কোন বিকল্প নেই।
বারবার খাবার গ্রহণ করুন
অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে যদি আপনি খাবার না খেয়ে থাকার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই যখনই আপনার ক্ষুধা লাগবে আপনাকে খাবার খেয়ে নিতে হবে। আর যখন আপনার খাবার খেয়ে পেট ভরা থাকবে তখন খুব ভালো ঘুমও হবে। আপনাকে সব সময় নিজেকে এমন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে যেন ক্ষুধা অনেক বেশি লাগে।
ক্ষুধা না লাগলেও একটু পর পর কিছু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। যদি আপনার বারবার খেলে হজমের কোন ধরনের সমস্যা হয়, তাহলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। ক্ষুধা লাগলে বারবার খেতে হবে কারণ আপনাকে মোটা হতে হলে বেশি করে খাবার খাওয়ার প্রয়োজন।
নিয়মিত চর্বি ও তেল জাতীয় খাবার খান
যদি আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন পরিমাণ মতো চর্বি যুক্ত খাবার রাখেন, তাহলে ধীরে ধীরে আপনার শরীর মোটা হতে পারে। কারণ এতে আপনার শরীরে ক্যালোরির অভাব দূর হবে। তবে এইক্ষেত্রে আপনি রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে।
পাশাপাশি তেল জাতীয় যেই সকল খাবার রয়েছে সেই সকল খাবারগুলো বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তবে একবারে কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণ খেতে যাবেন না এতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বারবার খান।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে স্বাস্থ্য ফিট থাকে। যদি আপনি প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাহলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোনের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তন আসতে থাকে। যার ফলে আপনার কিছু সময় পরপর খাবার খেতে ইচ্ছে করবে। আর যখনই প্রতিদিন আপনি নিয়মিত এইভাবে খাবার খাবেন তখন ধীরে ধীরে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে এবং আপনি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে শুরু করবেন।
ঘুমানোর পূর্বে মধু ও দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
নিজেকে মোটা করার জন্য আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর পূর্বে আপনি অবশ্যই পুষ্টিকর ভারী খাবার খেয়ে নেবেন। এরপর কিছু সময় পর এক গ্লাস দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরে বাড়তি পুষ্টি যোগাবে। যা আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করবে।
ডুবো তেলে ভাজা খাবার গ্রহণ করুন
আপনি কি জানেন যে ডুবো তেলে ভাজা খাবারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট বিদ্যমান থাকে। ডুবো তেলে ভাজা খাবার অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে বলে অনেকেই পছন্দ করে। তবে ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এই ডুবো তেলে ভাজা খাবার খুব ভালো কাজ করতে পারে। তবে যখনই আপনি এই ভাজা খাবার গুলো খাবেন তখন খেয়াল রাখবেন যেন অতিরিক্ত খাওয়া না হয়ে যায়।
কোমল পানীয় পান করুন
অন্যান্য অনেক ধরনের খাবার সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন যেইগুলো আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি মোটা করার জন্য সাহায্য করতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে প্রতিদিন কোমল পানীয় পান করলেও মোটা হওয়া যায়? কোমল পানীয় আপনার শরীরে উচ্চ ক্যালরি এর চাহিদা পূরণ করে থাকে। যার ফলে আপনি যখনই খাবার খাবেন এরসাথে যদি কোন কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস করেন, তাহলে অল্প সময়ের মাঝেই আপনি মোটা হয়ে উঠতে পারেন।
পাস্তা ও নুডুলস খাওয়া
অনেকেরই পাস্তা ও নুডুলস খাওয়ার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকে। কিন্তু অনেকেই আবার এই ধরনের খাবার গুলো পছন্দ করে না। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত পাস্তা ও নুডুলস খেতে পারেন, তাহলে এতে যেই পরিমাণে শর্করা রয়েছে তা আপনার শরীরে ক্যালোরি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। সেই সাথে দ্রুত আপনাকে মোটা করে তুলতে পারেো।
নিয়মিত সকালে বাদাম ও কিসমিস খান
আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত সকালের খাবারে চিনাবাদামের মাখন খেতে পারেন। এতে আপনার স্বাস্থ্য খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। কারণ বাদামে যেই পরিমাণে ক্যালরি এর শক্তি রয়েছে, তা আপনার শরীরে মোটা হওয়ার চাহিদাকে পূরণ করতে পারে। অথবা আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর সময় অল্প করে কাঠবাদাম অথবা কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে পারেন। যখনই সকালে ঘুম থেকে উঠবেন তখন সেই কাঠবাদাম এবং কিসমিস খেয়ে নিতে পারেন।
ভাতের ফ্যান খাওয়া শুরু করুন
আপনি হয়তোবা শুনে খুবই অবাক হচ্ছেন যে, ভাতের ফ্যান খেলে শরীর চিকন থেকে মোটা হতে পারে। বেশিরভাগ লোকই ভাতের ফ্যান না খেয়ে ফেলে দিয়ে থাকে। তাই তারা পর্যাপ্ত স্টার্চ খেতে পারে না। ভাতে স্টার্চ এর অভাব হলে আপনার শরীরে সেই পুষ্টির ঘাটতি হয়। তবে আপনি যদি নিজেকে খুব তাড়াতাড়ি মোটা করতে চান তাহলে ভাতের ফ্যান নিয়মিত খেতে পারেন।
কি খেলে মোটা হওয়া যায় তাড়াতাড়ি
যেই সকল খাবার খেলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন তার মধ্যে প্রোটিন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রোটিন আপনার শরীরের বেশিরভাগ চাহিদাই পূরণ করতে পারে। এছাড়াও আপনি ডিম, দুধ, পনির, দই, ডার্ক চকলেট, কলা, বাদাম, লাল মাংস, চর্বি, শর্করা, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সহ অন্যান্য খাবারগুলো খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে যেসব খাবার খাবেন
আপনি যখন পনির খাবেন তখন আপনার শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ক্যালোরি এবং সকল ধরনের উপাদান শরীরে প্রবেশ করার ফলে আপনি খুব সহজেই অল্প সময়ে মোটা হয়ে উঠতে পারেন। কারণ পনিরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। অনেকে আবার ডার্ক চকলেট পছন্দ করতে পারেন। এর মধ্যে উচ্চ ক্যালোরি, চর্বি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করে।
তবে আপনাকে খুব ভালো করে খেয়াল করে ডার্ক চকলেট কিনতে হবে। কারণ যেই সকল ডার্ক চকলেটে পর্যাপ্ত কোকো রয়েছে, সেই সকল ডার্ক চকলেট খেলে আপনার মোটা হওয়ার চাহিদা পূরণে অনেক সাহায্য করে। সেই সাথে আপনি বেশি বেশি মাখন খেতে পারেন। যা আপনাকে দ্রুত মোটা করতে সাহায্য করবে।
পেশির গঠনকে উন্নত করতে হলে আপনাকে লাল মাংস অনেক বেশি খেতে হবে। কারণ লাল মাংসে রয়েছে পর্যাপ্ত চর্বি এবং প্রোটিন রয়েছে যা আপনাকে মোটা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও হাই প্রোটিন যুক্ত ফুড খেতে পারেন অথবা স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করতে পারেন। তবে আপনার বয়স যদি চল্লিশ বছরের নিচে হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
মাত্র সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় ॥ অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়
মোটা হওয়া খুব বেশি কঠিন কোন ব্যাপার নয় যদি আপনার স্বাস্থ্যের কোনরকম উন্নতি না হয়ে থাকে। আপনি খুব সহজেই যদি চিকন থেকে মোটা হতে পারার কৌশল না জেনে থাকেন, তাহলে মোটা হওয়ার পথে এটি একটি বাধা হয়ে কাজ করে। খুব কম সময়ে মোটা হওয়ার উপায়গুলো হলো-
- মোটা হতে অতিরিক্ত ক্যালোরি বৃদ্ধি করতে চাইলে আপনি আলু খেতে পারেন। কারণ আলু একটি স্টার্চ জাতীয় সবজি যা আপনার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, ক্যালোরি, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিযুক্ত উপাদান পূরণে সহায়তা করে।
- দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য আপনি বেশি বেশি লাল মাংস খেতে পারেন। কেননা এটি শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। সেইসাথে পেশি গঠনে সাহায্য করবে। যার ফলে আপনি দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন।
- অল্প সময়ে মোটা হতে হলে আপনাকে অনেক বেশি ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেই সকল খাবারগুলোতে ফ্যাট পর্যাপ্ত রয়েছে, সেই সকল খাবার খেলে আপনি প্রয়োজনীয় ফ্যাটের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
- পিনাট, ফাইবার ও ক্যালোরিযুক্ত খাবার, বাটার, বাদাম, মাখন জাতীয় খাবার, ওটমিল, কিসমিস এবং খেতে পারেন। পাশাপাশি পনির, স্যান্ডউইচ, ভিটামিন ডি অথবা ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেতে পারেন।
- স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার এর মধ্যে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন যা আপনাকে মোটা করতে পারে। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন। মাঝেমাঝে চাইলে স্যালাদ হিসেবেও খেতে পারেন।
- ব্যায়াম এবং পরিমিত ভালো খাদ্য আপনার মোটা হওয়ার একটি কার্যকরী মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আপনার খাদ্যাভাসে সচেতন না থাকেন, তাহলে খুব সহজে মোটা হওয়ার চিন্তা বাদ দিতে পারেন।
- অনেকে মোটা হওয়ার জন্য ঔষধ খেতে চায় তবে মোটা হওয়ার জন্য ঔষধ না খাওয়াই ভালো। যদি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। এতে করে আপনি খুব দ্রুত মোটা হতে পারবেন।
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
প্রতিদিন সকালে আপনি যদি খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই মোটা হয়ে উঠতে পারবেন। কারণ কাঁচা ছোলা প্রতিদিন সকালে খেলে অনেক বেশি উপকার হয়। এতে খুব তাড়াতাড়ি আপনি মোটা হয়ে উঠতে পারবেন। কাঁচা ছোলাতে যেই পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন রয়েছে, তা আপনার মোটা হওয়ার চাহিদা পূরণ করতে পারে।
এছাড়াও আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কলা, ডিম, দুধ খেতে পারেন তাহলে অন্যান্য খাবারগুলোর পাশাপাশি এইগুলো আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি জোগায়। পাশাপাশি আপনি কিসমিস খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আপনি কিসমিসের সাথে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কিসমিস খাবেন ঠিকই কিন্তু রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমাতে পারেন। কারণ যখন আপনি রাতে ঘুমাবেন তখন তা আপনার শরীরে যথেষ্ট পুষ্টি জোগাতে পারে। পুষ্টিকর খাবারগুলো আপনাকে বেশি বেশি খেতে হবে, তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে উঠবেন।
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার রাখা মোটা হওয়ার জন্য খুবই জরুরী। সারাদিনের ক্লান্তি এবং পরিশ্রমের পর এটি খুব ভালো শক্তি জোগাতে পারে। পুষ্টিকর খাবার আপনার খাদ্যাভাসে থাকলে আপনি সারা দিনের পরিশ্রমের ক্লান্তির চাহিদা সেই সকল খাবার থেকে পূরণ করতে পারবেন। খাদ্য তালিকায় যেই সকল খাবার আপনার উপকারে আসতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -
- মোটা হওয়ার জন্য আপনি সকালে নাস্তা হিসেবে কিসমিস, বাদাম খেতে পারেন। সাথে পরোটা খেতে পারেন যা আপনার শরীরের জন্য খুবই ভালো কাজ করতে পারে। তবে এইক্ষেত্রে আপনি যদি পরোটা ঘিয়ে ভেজে খেতে পারেন তাহলে এটি দিয়ে চর্বির চাহিদাও পূরণ করতে পারবেন।
- নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। কারণ ডিমে যেই পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে তা আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে যেই পরিমাণে ফ্যাট বিদ্যমান তা খুব ভালোভাবেই মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজনে আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে পারেন। তবে ভাজা ডিম খাওয়ার থেকে আপনি যদি নিয়মিত সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন, তাহলে সেটিতে খুব ভালো উপকার পাবেন।
- মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে ফলমূলও রাখতে পারেন যা আপনার মোটা হওয়ার চাহিদা পূরণ করতে পারে।
- তবে খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে হলে আপনি রুটি বা পরোটা খাওয়ার পাশাপাশি এর সাথে নেহেরি, কলিজা ভুনা খেতে পারেন। যেহেতু এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে তা আপনাকে খুব সহজে মোটা করতে পারবে।
- মোটা হওয়ার জন্য আপনি দুপুরের খাবারের তালিকায় ভাত, মাছ, মাংস, শাকসবজি খেতে পারেন। মাংসের মধ্যে চর্বিযুক্ত যেই সকল মাংস রয়েছে যেমন লাল মাংস খাবেন।
- দুপুরের খাবার খেয়ে আপনি বিকেলে কিছুটা সময় ঘুমাতে পারেন। ঘুম থেকে উঠে হালকা বাদাম, নুডলস, পাস্তা, চিকেন ফ্রাই এইগুলো খেতে পারেন।
- রাতের খাবারে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী ভাত খেতে পারেন এবং সাথে মাছ বা মাংস অর্থাৎ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ফলমূল বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে যদি আপনি নিজেকে মোটা করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেই সকল বিষয় আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে সেগুলো করতে হবে। যদি আপনি সারাক্ষণ মাথায় চিন্তা নিয়ে ঘুরতে থাকেন, তাহলে আপনার শরীরে এর প্রভাব পড়বে। যার ফলে আপনার স্বাস্থ্যের কোন ধরনের উন্নতি নাও হতে পারে।
এইক্ষেত্রে আপনাকে সব সময় নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। আপনার মস্তিষ্ক যেন সব সময় রিল্যাক্স থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্যে ঘুম আপনার খুব উপকার আসতে পারে। কারণ পর্যাপ্ত ঘুমালে আপনি নিজেকে অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। আপনার মস্তিষ্ক আরাম অনুভব করবে।
মোটা হওয়ার জন্য আপনি পিনাট বাটার খেতে পারেন। প্রয়োজনে আপনি রুটির সাথে বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন যা আপনি ঘরোয়াভাবে অর্থাৎ বাসায় বসেই খেতে পারবেন। এছাড়াও খাবারের তালিকায় কিছু ড্রাই ফুড রাখতে পারেন যা আপনার ক্যালরির চাহিদা পূরণ করতে পারে। এর মধ্যে আমন্ড, কাজুবাদাম, কিসমিস, চিনা বাদাম এইগুলো খেতে পারেন।
আপনি ক্লারিফাইড বাটারের সাথে চিনি মিক্স করে প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পূর্বে খেতে পারেন, যার মাধ্যমে খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন। এই সাথে মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে বারবার খাবার খেতে হবে। যাতে করে শরীরে পুষ্টির কোন ঘাটতি দেখে না দেয়।
কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন সহ অন্যান্য যেই সকল খাবার রয়েছে যা ঘরে বসেই আপনি খেতে পারেন তার মধ্যে আলু, ডিম, দুধ, ফ্যাট অথবা অন্যান্য আরো অনেক ধরনের খাবার খেয়ে ঘরে বসেই নিজেকে মোটা করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
আমরা অনেকেই রয়েছি যাদের শরীর অনেক পাতলা। যার ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাদের জন্য মোটা হওয়াটা অনেক বেশি জরুরী। এর জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম ও সঠিক খাদ্যাভাস। পরিমাণ মত বিশ্রাম ও প্রয়োজন মতো খাবার গ্রহণ করলেই খুব সহজে মোটা হওয়া যায়। তবে মোটা হওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত মোটা হয়ে না যান। কেননা অতিরিক্ত মোটা হওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে অবশ্যই তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে তা আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url