OrdinaryITPostAd

সাধারণ মুসুর ডাল দিয়েই ত্বক রাখুন ফর্সা ও উজ্জ্বল

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মসুর ডাল দিয়ে ত্বক ফর্সা করতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা মসুর ডাল দিয়ে কিভাবে ত্বক ফর্সা করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি রূপচর্চার কাজে মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। মসুর ডাল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তাই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

মসুর ডাল একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাদ্য। সেই সাথে এটি আমাদের রূপচর্চার কাজেও ব্যবহৃত হয়। আমরা যারা নিয়মিত রূপচর্চা করে থাকি সাধারণত তাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো মসুর ডাল। কিন্তু অনেকেই মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম সম্পর্কে তেমনভাবে কোন ধারণা রাখেনা।

মসুর ডাল ব্যবহারে কিছুদিনের মধ্যেই ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়ী হয়ে উঠে। সেই সাথে এটি ত্বকে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। তবে এর জন্য চাই এর সঠিক ব্যবহার। আগের দিনের মহিলারা শুধুমাত্র এই ডাল দিয়েই তাদের রূপচর্চার কাজ সারতেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা সাধারণত রূপচর্চার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করে থাকি। সাধারণত হাতের কাছে যে সহজ উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মসুর ডাল। আপনি যদি রূপচর্চা করতে চান তাহলে খুব সহজেই মসুর ডাল দিয়ে করতে পারবেন।

সাধারণত এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং আপনার ত্বককে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিই-
  • মসুর ডাল ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে এটি রাতে দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরে সকাল বেলায় ডাল গুলোকে পিষে ভালোভাবে মুখে লাগাতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন এই উপাদানটি আপনার মুখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চেহারার কালো দাগ দূর করতে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
  • মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সাধারণত তাই এটি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মনে করা হয়। এতে রয়েছে ফাইবার এবং প্রোটিন। সাধারণত এটি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য মসুর ডাল অনেক বেশি উপকারী।
  • আমরা সাধারণত মুখের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার করি। আপনি যদি চান তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে ফেসওয়াশ তৈরি করে আপনার মুখে ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণত এটি তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে এক চামচ মসুর ডাল বেটে নিতে হবে এরপরে দুই চামচ দুধ এবং পরিমাপমতো হলুদ এর সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর সেটা মুখে ব্যবহার করতে হবে।
  • আমরা সকলেই চাই আমাদের ত্বক উজ্জ্বল থাকুক এবং ফর্সা থাকুক। কারণ মানুষ ফর্সা জিনিস ভালোবাসে। প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের ত্বকের রূপচর্চার জন্য মসুর ডাল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক তৈরি হয়ে যাওয়াই এর ব্যবহার অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাহলে চলুন মসুর ডাল দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • যদি কোন কারণে আপনার মুখে দাগ হয়ে যায় তাহলে সেই দাগ দূর করার জন্য মসুর ডাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাধারণত আপনাকে ভালোভাবে মসুর ডাল পিষে নিতে হবে। এরপরে চন্দনের গোড়া এবং মুলতানি মাটির সাথে কমলালেবুর শুকনো খোসা পেস্ট করে এর মধ্যে দিতে হবে। এরপরে এই উপাদান গুলো মুখে এবং শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতে হবে।
  • মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার আরো একটি উপায় হলো মসুর ডাল ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপরে ডিমের হলুদ অংশটা ভালোভাবে এর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর মুখে লাগিয়ে ভালোভাবে শুকাতে হবে। বিশেষ করে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এর উপাদানটি মাখলে আপনার ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
  • যাদের ত্বকের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে দাগ থাকে সাধারণত তাদের ত্বকের কালার এমনিতেই কালো লাগে। তাই আপনি যদি ত্বকের রং ফর্সা করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে আপনার ত্বক থেকে এই দাগগুলো তুলে ফেলতে হবে। সাধারণত এই দাগগুলো তোলার জন্য আপনাকে মসুর ডাল বাটার সাথে মধু এবং লেবু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।
  • আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই ত্বকে মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে মসুর ডাল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপরে ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। বাটা মসুর ডালের সাথে এক চামচ দুধ এবং এক চামচ অলিভ অয়েল মেশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে।

মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক

আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে মসুর ডাল হলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমরা যদি মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারি তাহলে এটি আমাদের চুলের জন্য ও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রতিটি উপকারী উপাদানের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে ঠিক তেমন মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক পাওয়া যায়।

মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস সাধারণত এটি আমাদের রক্তে ফরাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি মসুর ডাল খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিমাপ অনুযায়ী খেতে হবে। আর যদি এটি আপনার ত্বকের ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

উপাদানটি যতই উপকারী হোক না কেন অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে এটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা করতে পারে। তাই সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন অথবা এর থেকেও কম দিন মসুর ডাল আমাদের ত্বকের ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু মসুর ডাল ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম রয়েছে তাই অবশ্যই নিয়মগুলো মেনে তারপরে ব্যবহার করতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল

আমাদের ত্বক যদি অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে এই ত্বকে ব্রণ বেশি বের হয়। কারণ ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণে একটুতেই ধুলোবালি ত্বকের মধ্যে লেগে যায়। যার ফলে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায় সাধারণত এর কারণে ঐ স্থান দিয়ে ব্রণ উঠে যায়। এখন আপনি যদি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে চান তাহলে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডালের ব্যবহার সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে।

আপনি বাড়িতে বসেই বিভিন্ন ধরনের উপাদান তৈরি করে নিজেকে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্ত করতে পারবেন। বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মসুর ডাল। আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মধুর ডাল।

আমাদের ত্বকের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে মসুর ডাল। এখন আপনি যদি আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে মসুর ডাল ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। এরপরে মসুর ডাল বাটার সাথে আপনাকে সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল, বাদামের তেল ও লেবু ভালোভাবে দিতে হবে। যদি পারেন তাহলে এতে মধুও যোগ করতে পারেন।

এছাড়া অ্যালোভেরা জেল আমাদের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই উপাদানের সাথে আপনি সহপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল যুক্ত করতে পারেন। এই উপাদান গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে সুন্দর করে পেস্ট তৈরি করে আপনার ত্বকের ব্যবহার করুন। এরপরে রাতে ঘুমিয়ে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।

লেখকের মন্তব্য

রূপচর্চার কাজে মসুর ডালের অনেক উপকার থাকলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তাই আমাদের অবশ্যই খেয়াল খুশি মতো একটি ব্যবহার না করে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরিমান মতো ব্যবহার করতে হবে। তাহলে কেবল এর থেকে উপকার পাওয়া সম্ভব। যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করি তবে একটি উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

প্রিয় পাঠক, আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনি এটি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। এতক্ষণ এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url