OrdinaryITPostAd

সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কী হয়?

আমরা সকলেই কখনো না কখনো কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগেছি। এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ইসবগুলের ভুসি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন আমাশয় দূর করতে, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাতে, ওজন কমাতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এই ইসবগুলের ভুসি।
ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা
তবে অনেকেই নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পরও এর থেকে তেমন কোন উপকারিতা পান না। এর মূল কারণ হলো সঠিক নিয়মে এটি না খাওয়া। আমরা অনেকেই দীর্ঘক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর এটি খেয়ে থাকি। এতে এর কার্যকারিতা কমে যায় বলে এটি খেলে তেমন উপকার হয় না। এজন্য এটি পানি মেশানোর সাথে সাথেই খেয়ে নিতে হবে।

এই আর্টিকেলে আমরা ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম

ইসবগুলের ভুসি হলো সাইলিয়াম বীজের খোসা যা মানব দেহের জন্য অনেক বেশি জরুরী। বিশেষ করে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি দারুন কাজ করে। তবে এই ভুসি খাওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনে না ফেলে তা থেকে উপকারের পরিবর্তে অপকারী বেশি হয়।

আমাদের অনেকেরই ধারণা ইসবগুলের ভুসি দীর্ঘক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এ ধারণাটি সম্পন্ন ভুল। পুষ্টিবিদদের মতে এটি খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তা পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এতে করে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। দীর্ঘক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর থেকে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হয়।

ইসবগুলের ভুসি সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। সকালে খালি পেটে খেলে এর থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে কোন অবস্থাতেই ইসবগুলের ভুসি খালি খাওয়া উচিত নয়। তাহলে এটি গলায় বেঁধে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।

এটি খাওয়ার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে মিশিয়ে সাথে সাথে তা খেয়ে নিতে হবে। আপনি চাইলে এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে মধু মেশাতে পারেন। এছাড়াও পানির পরিবর্তে আপনি দুধে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে দিনে কখনোই দুই চামচের বেশি ইসবগুলের ভুসি খাবেন না। এটি অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সকলেই কমবেশি ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা সম্পর্কে জানি। এ কারণেই অনেকেই এটি খেয়ে থাকেন। এতে রয়েছে নানা পুষ্টি উপাদান। এক চামচ ইসুবগুলের ভুসিতে রয়েছে ৫৩% ক্যালরি, ১৫ গ্রাম শর্করা, ১৫ মিগ্রা সোডিয়াম,৩০ মিগ্রা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। তবে এটি স্বাদহীন হওয়ার কারণে অনেকে এটি খেতে চান না। তবে এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলো-

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
বর্তমানে খাবারের অনিয়মের জন্য আমাদের অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যার থেকে আপনাকে খুব সহজেই মুক্ত করতে পারে ইসবগুলের ভুসি। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান থাকার কারণে তা খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মিউসিলেজিনাসের কারণে পেট ব্যথা ভালো হয়ে থাকে। আর এ কারণেই পাইলসের রোগীদের সারা বছরই ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

হজমে সাহায্য করে
আমরা সারাদিন অনেক আজেবাজে খাবার খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই হজমের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এর জন্য প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। সেই সাথে এটি পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।

আমাশয় দূর করে
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসবগুলের ভুসিতে আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করার ক্ষমতা না থাকলেও এটি আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দিতে সক্ষম। এর ফলে কেউ যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন তবে তার আমাশয় দূর হয়ে যাবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে
ডায়রিয়ার সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভুসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর জন্য ২ চামচ ইসবগুলের ভুসির সাথে তিন চামচ টক দই মিশিয়ে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে টক দই প্রবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং ইসবগুলের ভুসি পায়খানাকে শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ডায়রিয়া হওয়ার কারণে খাদ্যনালীতে যেসব ক্ষতি সাধন হয়েছে সেগুলো ভালো করতে সাহায্য করে।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে
আমাদের অনেকেরই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা রয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ ইসুবগুলের ভুসি মিশিয়ে খাওয়া। এতে করে খুব দ্রুত প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে। আপনি চাইলে এতে আখের গুড় মিশাতে পারেন। কেননা আখের গুড়ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।


ওজন কমাতে
ইসবগুলের ভুসি ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। কেউ যদি সকালে এক গ্লাস ইসবগুলের ভুসি খায় তবে তা পেটের মধ্যে গিয়ে ফুলে ওঠে। এর ফলে অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা থাকে না। এর ফলশ্রুতিতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।

হার্ট ভালো রাখে
নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি খেলে তা হার্টের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এতে বিদ্যমান খাদ্য আঁশ রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই সাথে এটি পাকস্থলী দেয়ালে একটি পাতলা পর্দার সৃষ্টি করে। যা খাদ্য থেকে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা প্রদান করে। এর ফলে শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমা হয় না। এর ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ইসবগুলের ভুসি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে বিদ্যমান জিলাটির নামক উপাদান দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাক্সগার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সুগারের পরিমাণ কম থাকে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য চিকিৎসকগণ টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

টক্সিন দূর করতে
নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ফলে শরীরে টক্সিন জমতে পারে না। সেইসাথে এটি শরীরের জমে থাকা টক্সিন বের করতে ও অন্ত্র ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া এটি অন্তরের ভিতরে অবস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে থাকে। যার ফলে বিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়

আমরা অনেকে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকি। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা ইসবগুলের ভুসির ওপর ভরসা রাখি। কিন্তু আপনি কি জানেন সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে কি হয়? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পুষ্টিবিদরা বলেন, ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার অনেক উপকারী দিক রয়েছে। আর সেটা যদি হয় সকালে খালি পেটে তবে তা শরীরের জন্য আরো বেশি কার্যকরী। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে দুচামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে তা বেশ কয়েকটি রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।

নিয়মিত সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়াও নিয়মিত খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আমাশয় সহ বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। তাই ইসুবগুলের ভুসি থেকে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়ার জন্য এটিকে সকালে খালি পেটে খাওয়াই উত্তম। সকালে খালি পেটে খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ইসুবগুলের ভুসি দারুণ কাজ করে। কেউ যদি নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন তবে সে খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাবেন। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।

এর জন্য আপনাকে এক গ্লাস পানিতে ১/২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিতে হবে। কেননা বেশিক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে এটির কার্যকারিতা কমে যায়। ইসবগুল পায়খানায় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে পায়খানাকে নরম করে। হলে তা খুব সহজেই দেহ থেকে বের হয়ে যায়।

তবে একদিনে অতিরিক্ত পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খাওয়া উচিত নয়। এতে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। ইসবগুলের ভুসি কতটুকু খেতে হবে তা বয়স, ওজন ও অসুস্থতার ওপর নির্ভর করে। তবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সকালে এবং বিকালে এক গ্লাস পানিতে ১/২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে পারেন। এর বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়

শরীরের ওজন নিয়ে আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকি। বিশেষ করে যারা অত্যাধিক মোটা/চিকন তারা যে কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে চিন্তা করেন এটি খেলে তার শরীর আরো মোটা/চিকন হয়ে যাবে কিনা। এরই ধারাবাহিকতায় অনেকের বিভিন্ন সমস্যার কারণে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার প্রয়োজন হলে চিন্তা করেন এটি খেলে মোটা হব কিনা।

তাদের জন্য বলে রাখা ভালো ইসবগুলের ভুসি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে না বরং এটি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর জন্য ১/২ চামচ ইসবগুলের ভুসি এক গ্লাস পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে এতে ২/৩ চামচ লেবুর রস যোগ করতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে।

এটি খাওয়ার ফলে একদিকে যেমন অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। অন্যদিকে এতে লেবুর রস থাকার কারণে তার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। পেট ভরা থাকার কারণে খাওয়া কম লাগবে। ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে না। এছাড়াও ইসবগুলের ভুসি খাদ্যনালী পরিষ্কার রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এটি ওজন বাড়াতে নয় বরং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অপকারিতা

সব জিনিসেরই ভালো এবং খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। ইসবগুলের ভুসিরও তেমনে অনেক উপকারী দিক থাকার পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে রূপকারের তুলনায় অপকারিতা অনেক কম। তাহলে চলুন এসব গুলোর বসে অপকারিতা জেনে নেওয়া যাক-
  • ইসবগুলের ভুসি পেট ব্যথা কমানোর কাজ করলেও অতিরিক্ত পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি খেলে তা পেট ব্যথা ও পেট কামড়ানোর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • ইসবগুল যেহেতু পায়খানাকে নরম করে তাই ডায়রিয়ার সময় এটি পানিতে খাওয়া উচিত নয়। এতে ডায়রিয়া আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণ ইসুবগুলের ভুসি খেলে তা গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে। যদি কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে থাকে তবে এটি সমস্যারও বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার কারণে এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের এটি থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত ইসবগুলের ভুসি খেলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • দীর্ঘক্ষন ভিজিয়ে রেখে ইসুবগুলের ভুসি খেলে কার কার্যকারিতা কমে যায়। এর ফলে তেমন প্রকার পাওয়া যায় না।
ইসবগুলের যত অপকারিতাই থাকুক না কেন যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১/২ চামচ ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যায় তবে এর থেকে শুধু উপকারিতায় পাওয়া যাবে। তেমন কোন অপকারিতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই নিয়মিত পরিণত পরিমাণ ইসুবগুলের ভুসি খেতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

ইসবগুলের ভুসি সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খাওয়া হয়ে থাকে। তবে নিয়মিত টানা এক সপ্তাহ খাওয়ার পরও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। একটানা দীর্ঘদিন ধরে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া উচিত নয়। এতে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইসবগুলের ভুসি গ্রহণ করা।

প্রিয় পাঠক, আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনি এটি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। সেই সাথে ইসবগুলের ভুসি খেতে আপনার কেমন লাগে তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। এতক্ষণ এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url