OrdinaryITPostAd

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন - মিটারের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন? কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে হয়। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
এছাড়াও এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি মিটারের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কিভাবে জানা যাই সে সম্পর্কে জানতে পারবে। আমাদের বাসা বাড়ির জন্য অনেক সময় নতুন মিটারের প্রয়োজন হয়। আমাদের জানা না থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের দালালের সাহায্য নিতে হয়। এতে করে অনেক টাকা হয়। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নিজেই নতুন মিটারের আমাদের করতে পারবেন।

নতুন মিটারের আবেদনের জন্য বেশ কিছু হোক কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মোবাইল নম্বর, ভোটার আইডি কার্ড, হাউজ ওয়্যারিং প্রমান, জমির তথ্য ইত্যাদি। এসব কাগজপত্র প্রদানের পাশাপাশি একটি আবেদন পূরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই সমস্ত কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন - পল্লী বিদ্যুৎ মিটার অনলাইন আবেদন করুন

আগের দিনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে অনেক ধরনের ঝামেলা পোহাতে হতো। কিন্তু বর্তমানে মিটারের আবেদন অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় তা খুব সহজে এবং ঘরে বসেই করা যাচ্ছে। মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজে আপনি নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

আমাদের যখন নতুন মিটার প্রয়োজন পড়ে তখন আমরা দালালের মাধ্যমে সেটি নেওয়ার চেষ্টা করি। এতে করে একদিকে যেমন অনেক বেশি টাকা ব্যয় হয় অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করেন তবে শুধুমাত্র আবেদন ফি প্রদানের মাধ্যমেই আপনি নতুন মিটার পেয়ে যাবেন এবং আপনাকে তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না।

তবে অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • মোবাইল নম্বর
  • জমির মালিকানা প্রমাণ/ভাড়াটিয়া হলে বাড়িওয়ালার অনুমতি পত্র
  • হাউজ ওয়্যারিং এর প্রমাণ
  • পাসপোর্ট সাইজের কয়েক কপি ছবি
উপরিউক্ত কাগজপত্র গুলো সাথে রেখে আপনি নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে পল্লী বিদ্যুতের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে গুগল থেকে http://www.rebpbs.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপরই শুধুমাত্র আপনি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে নতুন মিটার আবেদনের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেটি হল সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। আপনাকে এই সময়ের মধ্যেই আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এই সময় ব্যতীত অন্য সময়ে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে। আপনি অনলাইনে নতুন মিটারের জন্য যেভাবে আবেদন করবেন তার নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হলো-

অনলাইন আবেদন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম http://www.rebpbs.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

এরপর আপনাকে আবেদন লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করার পর কয়েকটি লেখা দেখতে পাবেন। এবার সেখান থেকে আবেদন করুন লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনার সামনে একটা আবেদন ফরম চলে আসবে।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
আবেদন ফরমটি চলে আসলে আপনাকে লাল (*) চিহ্নগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য তথ্য গুলো আপনি চাইলে পূরণ করতে পারেন না চাইলে দরকার নাই। এর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার এলাকা অনুযায়ী বিদ্যুৎ অফিসের বিবরণ অর্থাৎ সমিতির নাম ও জোনাল অফিস লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে।
সমিতির নাম ও জোনাল অফিস সিলেক্ট
এরপর আপনি কোথায় সংযোগ নিবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি বাসা বাড়ির জন্য নিয়ে থাকেন তবে আপনাকে এলিট-এ (আবাসিক) সিলেক্ট করতে হবে। আবার আপনি যদি অফিসের জন্য আবেদন করেন তবে আপনাকে অফিস লিখাটি সিলেক্ট করতে হবে। মোটকথা আপনি যেটার জন্য আবেদন করবেন সে অনুযায়ী সংযোগের ট্যারিফ সিলেক্ট করুন।
ট্যারিফ সিলেক্ট
এরপর আবেদনকারীর পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম বাংলায় পূরণ করতে হবে। এরপর জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেইল (যদি থাকে), টিআইএন নাম্বার (যদি থাকে), পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে) ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। এরপর আপনার জাতীয়তা ও লিঙ্গ সিলেক্ট করতে হবে।
আবেদনকারীর পূর্ণ বিবরণ
উপরোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনি স্থায়ী ঠিকানা এবং প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থলের বিবরণ নামের দুটি জায়গা দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের বিবরণ সঠিকভাবে সিলেক্ট করতে হবে। স্থায়ী ঠিকানার জায়গায় আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যে ঠিকানা দেয়া আছে সেটি সিলেক্ট করতে হবে। এবং প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের বিবরণে আপনি যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
স্থায়ী ঠিকানা এবং প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের বিবরণ
এরপর আপনাকে জিওগ্রাফিক তথ্য অর্থাৎ নিকটবর্তী পোল থেকে আপনার সংযোগস্থল কতটা দূরে তার একটি বিবরণ ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে। উক্ত পোল থেকে আপনার নিকটবর্তী যে প্রতিবেশী বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে তার হিসাব নং/এসএমএস হিসাব নং ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে।
জিওগ্রাফিক তথ্য
এরপর আপনাকে আবেদন প্রকৃতি নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি স্থায়ীভাবে/অস্থায়ীভাবে/সাময়িকভাবে সংযোগ নিতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনার লোড এবং চাহিদাকৃত লোড কত হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
আবেদন প্রকৃতি নির্ধারণ
এরপর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। এ পর্যায়ে আপনাকে ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জমির খারিজ আপলোড করতে হবে। এরপর নিচে যেগুলো শর্ত দেয়া রয়েছে সেগুলোর সাথে আপনি একমত আছেন সেই মর্মে খালি ঘরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। সবশেষে আপনি একটি ক্যাপচা কোড দেখতে পাবেন সেটি পূরণ করতে হবে এবং সংরক্ষণ করুন জায়গায় ক্লিক করতে হবে। এভাবে আপনি আপনার আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান
শুধু আবেদন পত্র সঠিকভাবে পূরণ করলেই হবে না আপনাকে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। সেই সাথে আপনাকে একটি ট্রাকিং নম্বর ও পিন নম্বর প্রদান করা হবে। সেগুলো যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কেননা পরবর্তীতে আপনার এই ট্রাকিং নম্বর ও পিন নম্বর প্রয়োজন হবে। এরপর আবেদন পত্রটি প্রিন্ট দিয়ে নিতে হবে।

এরপর আপনাকে আবারো আবেদনে ক্লিক করে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনার প্রদত্ত ট্রাকিং নম্বর এবং পিন নম্বর দিয়ে সাবমিট করতে হবে। আপনি পিন নম্বর ও ট্রাকিং নম্বর দিয়ে সাবমিট করার পর আপনার কাছে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিতের তথ্য চাইবে।
হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত
এক্ষেত্রে আপনি হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত হয়েছে সিলেক্ট করে গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের রশিদ/মেমো আপলোড করতে হবে। এরপর আপনার সংযোগস্থলের ঠিকানা লিখে ক্যাপচা কোড পূরণ করে সমর্পণ করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এরপর আপনাকে জামানত ও ফি প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি দুটি পদ্ধতিতে ফি জমা দিতে পারেন। একটি হলো অনলাইনের মাধ্যমে এবং অপরটি হলো সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বা নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে। অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে জামানত ও ফি জমা অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার ট্রাকিং নম্বর ও পিন নম্বর প্রদান করে রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারেন। তবে সরাসরি অফিসে গিয়ে ফি পরিশোধ করায় সবচেয়ে ভালো।
জামানত ও ফি প্রদান

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান - মিটারের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা

প্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা অনেকেই নতুন মিটারের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু আপনারা মিটারের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত নন। এজন্য আপনারা নানা রকম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। আপনাদের সবার কথা মাথায় রেখে এই পর্বে আমি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান/মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা কিভাবে জানবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

মিটার আবেদন অনুসন্ধান/মিটারের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে http://www.rebpbs.com ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও আপনি যে কোন ব্রাউজে ঢুকে মিটার আবেদন অনুসন্ধান লিখে সার্চ দেয়ার পর যে ওয়েবসাইটটি সবার প্রথমে থাকবে সেটিতে প্রবেশ করতে হবে। অথবা আমার এই আর্টিকেল থেকে সরাসরি সে ওয়েবসাইটের প্রবেশ করতে পারবেন।
মিটার আবেদন অনুসন্ধান
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আবেদন লেখার উপরে ক্লিক করলে ৬ নম্বর স্থানে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন লেখাটি দেখতে পাবেন।
আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
এবার সেই লেখাতে ক্লিক করলে ট্র্যাকিং নম্বর ও পিন নম্বর প্রদান করে সাবমিট করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনি সঠিকভাবে ট্র্যাকিং নম্বর ও পিন নম্বর প্রদান করে সাবমিট করলে আপনি আপনার মিটারের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আবেদন অনুসন্ধান করুন
এছাড়াও আপনার মিটার কোন কোন ধাপ অতিক্রম করেছে বা কোন স্থানে গিয়ে যদি আবেদন বাতিল হয়ে যায় সেটি কোথায় গিয়ে এবং কি কারনে বাতিল হয়েছে সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন। নিচে একটি ছবির মাধ্যমে তা দেখানো হলো।
মিটারের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
উক্ত ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন মিটারটি ৮ নম্বর ধাপ সম্পন্ন করে ৯ নম্বর ধাপে অবস্থান করছে। অর্থাৎ আর দুটি ধাপ সম্পন্ন হলেই আপনি আপনার মিটারটি পেয়ে যাবেন। যদি কোন ধাপে এসে আবেদন পত্রটি বাতিল হয়ে যায় তবে সেই ধাপে ক্রস (Х) চিহ্ন দেখা যাবে। এভাবে আপনি আপনার মিটারের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম

পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এর জন্য আপনি পল্লী বিদ্যুতের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করতে পারেন। এবার এটি সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিতে পারেন। এর সাথে সাথে আপনাকে একটি আবেদনপত্র প্রদান করতে হবে।

আপনার নতুন মেটার পাওয়ার জন্য যেভাবে খুব সহজে আবেদন পত্রটি লিখবেন তার একটি নমুনা দেওয়া হলো। এটি দেখে আপনি নিজেই আপনার নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্র লিখতে পারবেন।

তারিখঃ ২৩/০৯/২০২৪
বরাবর
বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (এখানে সাব জোনাল অফিসের নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে)
আত্রাই, নওগাঁ।

বিষয়ঃ নতুন মিটারের জন্য আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে আমি (আবেদনকারীর নাম), পিতা/স্বামীর নাম, ঠিকানা। আমি আমার বাড়ি/অফিসের জন্য নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন অনুভব করছি। বর্তমানে আমার পরিবারটি বিদ্যুৎ সেবার বাইরে রয়েছে। এতে করে আমি অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তাই মহাশয়ের নিকট সকল কাগজপত্র সহকারে একটি আবেদন করছি যে আপনি আমাকে নতুন বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করবেন।

অতএব, জনাবের নিকট বিনিত আরো যে, উক্ত বিষয়টি মাথায় রেখে আমার বাড়ি/অফিসে দ্রুত নতুন মিটার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক
(আবেদনকারীর নাম)
ঠিকানাঃ (আবেদনকারী সম্পূর্ণ ঠিকানা)
মোবাইল নম্বরঃ (আবেদনকারীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর)

এখন আপনি আপনার আবেদন ফরমটি এবং আবেদন পত্রটি নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জমা প্রদান করার মাধ্যমে তারা আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার নতুন সংযোগ পেয়ে যাবেন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন

আমরা ইতিপূর্বে কিভাবে অনলাইনে নতুন মিটার আবেদন করতে হয় সেই নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এই পর্বে যদি কোন কারনে আমাদের মিটারে ত্রুটি/নষ্ট হয়ে যায় তবে সেটি পরিবর্তনের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে সেই সম্পর্কে জানব। মিটার পরিবর্তনের জন্য সর্বপ্রথম স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে/সাব জোনাল অফিসে নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি আবেদন পত্র লিখতে হবে।

সে আবেদন পত্রে আপনি আপনার মিটার কি কারনে পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন বা মিটারে কি সমস্যা রয়েছে সে সম্পর্কে লিখে একটি আবেদন পত্র জমা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই আবেদনপত্রটি কিভাবে লিখতে হয় তা জানিনা। তাদের কথা মাথায় রেখেই আবেদন পত্রটি নিচে দেওয়া হলো।

তারিখঃ ২১/০৯/২০২৪
বরাবর
নির্বাহী প্রকৌশলী
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (এখানে সাব জোনাল অফিসের নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে)
আত্রাই, নওগাঁ।

বিষয়ঃ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন

মিটার নংঃ (এখানে আপনার মিটারের নম্বর প্রদান করতে হবে)
কনজিউমার নম্বরঃ (এখানে আপনার মিটারের কনজিউমার নম্বর লিখতে হবে)

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমার বাড়িতে ব্যবহারকৃত মিটারটি প্রায় দুই মাসের অধিক সময় ধরে ঠিকমত কাজ করছে না। মিটার থেকে সঠিক রিডিং নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাগণ তাদের ধারণা অনুযায়ী রিডিং গ্রহণ করছেন। মাঝে মাঝে এটি আমার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও এতে আরো অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। এসব কারণে আমার মনে হয় এই মিটারটি পরিবর্তন করা উচিত।

অতএব মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এইযে, উক্ত বিষয়টি মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব আমার মিটারটি পরিবর্তন করে একটি নতুন মিটার প্রদান করলে আমার খুব উপকার হতো। তাই আমি আশা করি আপনি আমার আবেদনটি যথাসম্ভব গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।

বিনীত নিবেদক
সাব্বির রহমান (আবেদনকারীর নাম)
মোবাইল নাম্বারঃ (ব্যবহৃত সচল মোবাইল নাম্বার)

এবারে আবেদন পত্রটি একটি খামের মধ্যে রেখে তা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিতে হবে। তারা আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করে যদি মিটারটি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তবে সেটি পরিবর্তন করে দেবে।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত

আমরা অনেকে মিটারের জন্য আবেদন করতে চাই। কিন্তু আমরা অনেকেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি কত তা জানি না। তাদের সুবিধার্থে এই পর্বে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফ্রি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

আপনি খুব কম খরচে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ১১৫ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করে থাকেন তবে রকেটের মাধ্যমে অথবা আপনি যদি সরাসরি অফিসে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দেন তবে সেখানে আপনাকে ১১৫ টাকা জমা দিতে হবে। এছাড়াও আপনাকে নিরাপত্তা জামানত হিসাবে প্রতি কিলোওয়াট হিসাব করে টাকা জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে দুই কিলোওয়াট বা তার নিচে হলে ৪০০ টাকা এবং ২ কিলোওয়াটের উপরে হলে ৬০০ টাকা জমা দিতে হবে। আপনি টাকা জমা প্রদান করলেই কেবল আপনার মিটার আবেদনের কাজ সম্পন্ন হবে।

লেখকের মন্তব্য

আমাদের অনেক সময় বাড়ি/অফিসের জন্য নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন পড়ে। এর জন্য সর্বপ্রথম আমাদের মিটারের জন্য একটি আবেদন করতে হয়। পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন খরচ অনেক কম। কিন্তু কিভাবে আবেদন করতে হয় সেটি না জানার কারণে আমরা অনেক সময় দালালের সাহায্য গ্রহণ করি। এতে আমাদের অনেক টাকা ব্যয় হয়।

তাই আপনি যদি উপরিউক্ত নিয়মগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারেন তবে আপনাকে কোন দালাল ধরার প্রয়োজন পড়বে না। আপনি নিজেই খুব সহজে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেই সাথে আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কেও জানতে পারবেন। তাই দালাল ধরে নয় নিজে নিজেই আবেদন করার চেষ্টা করুন।

প্রিয় পাঠক, আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনি এটি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। এতক্ষণ এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।

comment url